প্রসেনজিৎ বেরা শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের কাছেই শিবমন্দিরের পাশ দিয়ে বৈশাখের সন্ধ্যায় ফেরিনি গলিতে ঢুকেছেন প্রার্থী। গলিঘুঁজির গোলকধাঁধায় আধো-আলো আধো-অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে চলছে বাড়ি বাড়ি প্রচার। সেই তস্য গলিতে প্রার্থীকে সামনে দেখেই খালি গায়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক প্রৌঢ় বলে উঠলেন, 'বক্সার এসেছে! বক্সার শোভনদেব (Sovondeb Chattopadhyay)।'
এই ২০২১ সালেও কি পুরোনো দিনের লোকেরা আপনাকে 'বক্সার' বলেই সম্বোধন করে? একপক্ষ আগে চলে যাওয়া বসন্তে ৭৭ বছরে পা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রশ্নটা শুনে ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী হেসে বললেন, 'সেই কৈশোরে ভবানীপুরের বক্সিং ক্লাবে দস্তানা পরে ঢুকেছি। এই ক্লাব আমার বাবার হাতে তৈরি। তাই পুরোনো লোকেরা এখনও আমাকে বক্সার শোভনদেব বলেই সম্বোধন করে।'
ভবানীপুরের পুরোনো মহল্লার ২৫-এ রূপনারায়ণ নন্দন লেনে থাকেন শোভনদেব। এই বাড়ির পাশেই ভবানীপুর বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন, যার প্রতিষ্ঠাতা শোভনদেবের বাবা কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়। ভবানীপুরে একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে আছে চট্টোপাধ্যায় পরিবার। এখনও মাঝে মাঝে শখ করে হাতে দস্তানা পরে বক্সিংয়ের রিংয়ে ঢুকে 'মিলেনিয়াল'দের সঙ্গে মহড়া নেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী। বক্সিংয়ের রিংয়ে তিনি বহু যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু নিজের পাড়াতেই কি এ বার তিনি রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছেড়ে যাওয়া ভবানীপুরে প্রার্থী (West Bengal Election 2021) হয়েছেন দীর্ঘদিন ট্রেড ইউনিয়ন করা শোভনদেব। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল তাঁকে মোটেই স্বস্তিতে রাখছে না। ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে ছ'টি ওয়ার্ড থেকে লিড নিয়েছিল BJP। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা, সেই ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও এগিয়ে ছিল BJP। এমনকী, তৃণমূলনেত্রী যে বুথে ভোট দেন, সেই মিত্র ইনস্টিটিউশনের বুথেও চারশোর বেশি ভোট লিড নিয়েছিল গেরুয়া বাহিনী। ভবানীপুর টিপিক্যাল কসমোপলিটান বিধানসভা। যেখানে বহু ওয়ার্ডে অন্তত ৪০ শতাংশের কাছাকাছি অ-বাংলাভাষী ভোটার রয়েছে। বর্ধিষ্ণু পুরোনো বাঙালি মহল্লা রয়েছে। পার্ক স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিটের অভিজাত আবাসন রয়েছে। বর্ডিগার্ড লাইন্সের পুলিশ আবাসন রয়েছে। সেই সঙ্গে ৭৭ ও ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওয়ার্ড রয়েছে। একই সঙ্গে ফেরিনি গলির মতো নিম্নবিত্ত মহল্লাও রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে সবাইকে চমকে গিয়ে তৃণমূলের এই খাসতালুকে একের পর এক ওয়ার্ডে পদ্ম ফুটেছে। তাই রাসবিহারী বিধানসভা থেকে শোভনদেব নিজের পাড়ায় ফিরলেও সেই চেনা বক্সিংয়ের রিং কিন্তু বিলকুল বদলে গিয়েছে।
ভবানীপুরের রং পুরোপুরি পাল্টে দিতে এ বার একেবারে কোমর বেঁধে নেমেছে BJP। একদা তৃণমূলের সেলিব্রিটি ব্রিগেডের অন্যতম মুখ রুদ্রনীল প্রার্থী হয়েছেন। স্বয়ং অমিত শাহ এখানে এসে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেছেন। রোড শো করে সভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। রুদ্রনীল নিজেও গত কয়েক সপ্তাহে টো টো করে ভবানীপুরের একের পর এক মহল্লায় ঘুরেছেন। প্রচার করতে গিয়ে ইট-পাথর পড়েছে, কটূক্তি উড়ে এসেছে, কিন্তু হাল ছাড়েননি 'সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ'-এর অজিত।
যদিও লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে BJPর উত্থানকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন না শোভনদেব। তাঁর যুক্তি, 'লোকসভা নির্বাচনে দেশের প্রধানমন্ত্রী কে হবে সেই দিকে তাকিয়ে মানুষ ভোট দেয়। সেখানে বিরোধীপক্ষের তেমন কোনও মুখ না-থাকাতেই এখানে BJPকে মানুষ সমর্থন করেছে। রাজ্যের ভোট হয় কে মুখ্যমন্ত্রী হবে সেই দিকে তাকিয়ে, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে BJPর কোনও মুখ নেই। এ ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী উন্নয়ন করেছেন, তা-ও মানুষ জানে। তাই লোকসভার ফলের পুনরাবৃত্তির কোনও সম্ভাবনা নেই।'
এই যুক্তি দিলেও ভবানীপুরে নিজের পাড়াতেই তৃণমূল সংগঠন কিন্তু পুরোপুরি শোভনদেবের নিয়ন্ত্রণে চলে না। এখানে মদন মিত্রের অনুগামীরা রয়েছেন। যাঁদের অনেকে এলগিন রোড, হরিশ মুখার্জি রোডে দেওয়াল লিখনের রুটিন কাজ সেরেই এতদিন কামারহাটিতে দাদার ভোট নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তৃণমূল ছেড়ে BJPতে যাওয়া রুদ্রনীল এই সমীকরণগুলো বিলক্ষণ জানেন। মমতার যে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে শোভনদেব লড়াইতে নেমেছেন, সেই যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে রুদ্রনীল বলছেন, 'একটাই ইস্যু- চোর-জোচ্চোর-সিন্ডিকেটের সরকার থাকবে কি না? শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছে। ওঁকে জেতা আসন থেকে সরিয়ে এখানে পাঠানো হয়েছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজের বুথে হেরে গিয়েছেন। শোভনদেববাবু প্রতিবাদ করতে পারেননি। মুখ বুজে সহ্য করেছেন। আমাদের ভোট আরও বাড়বে, এমনকী সংখ্যালঘু এলাকা থেকেও আমরা সমর্থন পাচ্ছি।' শোভনদেব অবশ্য এ বারের লড়াইকে কঠিনতম বলে মানছেন না। তাঁর কথায়, 'রাসবিহারী অথবা বারুইপুরের থেকে ভবানীপুর আমার নিজের এলাকা। প্রতিটি মানুষ এখানে আমাকে চেনে। তাই এই লড়াই কঠিন একেবারেই নয়।'
জোড়াফুল বনাম পদ্মফুলের এই হাইপ্রোফাইল লড়াইতে সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী সাদাব খান আপাতদৃষ্টিতে পিছিয়ে রয়েছেন। কিন্তু যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি যদি সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাতে পারেন, তা হলে ভবানীপুরে কোন ফুল ফুটবে, তাতে নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারেন সাদাবই। খিদিরপুরের বড় এলাকা নিয়ে তৈরি ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু ভোট টেনে ২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ১৭ হাজার ভোটের লিড পেয়েছিলেন। হেরে গিয়েছিলেন দীপা দাশমুন্সি। ৬৩ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে অল্প সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। সাদাবের কথায়, 'আমি ২৫ দিন ধরে ডোর টু ডোর প্রচার করেছি। ৭৭, ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোট তো পাবই, অন্য ওয়ার্ড থেকেও মানুষের সমর্থন পাব।' কলকাতা শহরে ফরোয়ার্ড ব্লকের সামান্য যে শক্তি এখনও রয়েছে, তা-ও এই ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে। বামেরা এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে কোমর বেঁধে নেমেছে। যদিও এই ফ্যাক্টরকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শোভনদেব। তাঁর কথায়, 'শুধু ভবানীপুর নয়, সারা রাজ্যেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে। ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস ১ শতাংশ ভোটও পাবে কি না সন্দেহ।'
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
এই ২০২১ সালেও কি পুরোনো দিনের লোকেরা আপনাকে 'বক্সার' বলেই সম্বোধন করে? একপক্ষ আগে চলে যাওয়া বসন্তে ৭৭ বছরে পা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রশ্নটা শুনে ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী হেসে বললেন, 'সেই কৈশোরে ভবানীপুরের বক্সিং ক্লাবে দস্তানা পরে ঢুকেছি। এই ক্লাব আমার বাবার হাতে তৈরি। তাই পুরোনো লোকেরা এখনও আমাকে বক্সার শোভনদেব বলেই সম্বোধন করে।'
ভবানীপুরের পুরোনো মহল্লার ২৫-এ রূপনারায়ণ নন্দন লেনে থাকেন শোভনদেব। এই বাড়ির পাশেই ভবানীপুর বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন, যার প্রতিষ্ঠাতা শোভনদেবের বাবা কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়। ভবানীপুরে একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে আছে চট্টোপাধ্যায় পরিবার। এখনও মাঝে মাঝে শখ করে হাতে দস্তানা পরে বক্সিংয়ের রিংয়ে ঢুকে 'মিলেনিয়াল'দের সঙ্গে মহড়া নেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী। বক্সিংয়ের রিংয়ে তিনি বহু যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু নিজের পাড়াতেই কি এ বার তিনি রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছেড়ে যাওয়া ভবানীপুরে প্রার্থী (West Bengal Election 2021) হয়েছেন দীর্ঘদিন ট্রেড ইউনিয়ন করা শোভনদেব। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল তাঁকে মোটেই স্বস্তিতে রাখছে না। ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে ছ'টি ওয়ার্ড থেকে লিড নিয়েছিল BJP। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা, সেই ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও এগিয়ে ছিল BJP। এমনকী, তৃণমূলনেত্রী যে বুথে ভোট দেন, সেই মিত্র ইনস্টিটিউশনের বুথেও চারশোর বেশি ভোট লিড নিয়েছিল গেরুয়া বাহিনী। ভবানীপুর টিপিক্যাল কসমোপলিটান বিধানসভা। যেখানে বহু ওয়ার্ডে অন্তত ৪০ শতাংশের কাছাকাছি অ-বাংলাভাষী ভোটার রয়েছে। বর্ধিষ্ণু পুরোনো বাঙালি মহল্লা রয়েছে। পার্ক স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিটের অভিজাত আবাসন রয়েছে। বর্ডিগার্ড লাইন্সের পুলিশ আবাসন রয়েছে। সেই সঙ্গে ৭৭ ও ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওয়ার্ড রয়েছে। একই সঙ্গে ফেরিনি গলির মতো নিম্নবিত্ত মহল্লাও রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে সবাইকে চমকে গিয়ে তৃণমূলের এই খাসতালুকে একের পর এক ওয়ার্ডে পদ্ম ফুটেছে। তাই রাসবিহারী বিধানসভা থেকে শোভনদেব নিজের পাড়ায় ফিরলেও সেই চেনা বক্সিংয়ের রিং কিন্তু বিলকুল বদলে গিয়েছে।
ভবানীপুরের রং পুরোপুরি পাল্টে দিতে এ বার একেবারে কোমর বেঁধে নেমেছে BJP। একদা তৃণমূলের সেলিব্রিটি ব্রিগেডের অন্যতম মুখ রুদ্রনীল প্রার্থী হয়েছেন। স্বয়ং অমিত শাহ এখানে এসে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেছেন। রোড শো করে সভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। রুদ্রনীল নিজেও গত কয়েক সপ্তাহে টো টো করে ভবানীপুরের একের পর এক মহল্লায় ঘুরেছেন। প্রচার করতে গিয়ে ইট-পাথর পড়েছে, কটূক্তি উড়ে এসেছে, কিন্তু হাল ছাড়েননি 'সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ'-এর অজিত।
যদিও লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে BJPর উত্থানকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন না শোভনদেব। তাঁর যুক্তি, 'লোকসভা নির্বাচনে দেশের প্রধানমন্ত্রী কে হবে সেই দিকে তাকিয়ে মানুষ ভোট দেয়। সেখানে বিরোধীপক্ষের তেমন কোনও মুখ না-থাকাতেই এখানে BJPকে মানুষ সমর্থন করেছে। রাজ্যের ভোট হয় কে মুখ্যমন্ত্রী হবে সেই দিকে তাকিয়ে, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে BJPর কোনও মুখ নেই। এ ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী উন্নয়ন করেছেন, তা-ও মানুষ জানে। তাই লোকসভার ফলের পুনরাবৃত্তির কোনও সম্ভাবনা নেই।'
এই যুক্তি দিলেও ভবানীপুরে নিজের পাড়াতেই তৃণমূল সংগঠন কিন্তু পুরোপুরি শোভনদেবের নিয়ন্ত্রণে চলে না। এখানে মদন মিত্রের অনুগামীরা রয়েছেন। যাঁদের অনেকে এলগিন রোড, হরিশ মুখার্জি রোডে দেওয়াল লিখনের রুটিন কাজ সেরেই এতদিন কামারহাটিতে দাদার ভোট নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তৃণমূল ছেড়ে BJPতে যাওয়া রুদ্রনীল এই সমীকরণগুলো বিলক্ষণ জানেন। মমতার যে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে শোভনদেব লড়াইতে নেমেছেন, সেই যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে রুদ্রনীল বলছেন, 'একটাই ইস্যু- চোর-জোচ্চোর-সিন্ডিকেটের সরকার থাকবে কি না? শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছে। ওঁকে জেতা আসন থেকে সরিয়ে এখানে পাঠানো হয়েছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজের বুথে হেরে গিয়েছেন। শোভনদেববাবু প্রতিবাদ করতে পারেননি। মুখ বুজে সহ্য করেছেন। আমাদের ভোট আরও বাড়বে, এমনকী সংখ্যালঘু এলাকা থেকেও আমরা সমর্থন পাচ্ছি।' শোভনদেব অবশ্য এ বারের লড়াইকে কঠিনতম বলে মানছেন না। তাঁর কথায়, 'রাসবিহারী অথবা বারুইপুরের থেকে ভবানীপুর আমার নিজের এলাকা। প্রতিটি মানুষ এখানে আমাকে চেনে। তাই এই লড়াই কঠিন একেবারেই নয়।'
জোড়াফুল বনাম পদ্মফুলের এই হাইপ্রোফাইল লড়াইতে সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী সাদাব খান আপাতদৃষ্টিতে পিছিয়ে রয়েছেন। কিন্তু যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি যদি সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাতে পারেন, তা হলে ভবানীপুরে কোন ফুল ফুটবে, তাতে নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারেন সাদাবই। খিদিরপুরের বড় এলাকা নিয়ে তৈরি ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু ভোট টেনে ২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ১৭ হাজার ভোটের লিড পেয়েছিলেন। হেরে গিয়েছিলেন দীপা দাশমুন্সি। ৬৩ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে অল্প সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। সাদাবের কথায়, 'আমি ২৫ দিন ধরে ডোর টু ডোর প্রচার করেছি। ৭৭, ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোট তো পাবই, অন্য ওয়ার্ড থেকেও মানুষের সমর্থন পাব।' কলকাতা শহরে ফরোয়ার্ড ব্লকের সামান্য যে শক্তি এখনও রয়েছে, তা-ও এই ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে। বামেরা এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে কোমর বেঁধে নেমেছে। যদিও এই ফ্যাক্টরকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শোভনদেব। তাঁর কথায়, 'শুধু ভবানীপুর নয়, সারা রাজ্যেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে। ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস ১ শতাংশ ভোটও পাবে কি না সন্দেহ।'
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।