এই সময়: বাংলায় তিন কেন্দ্রের ভোট করাতে পৌঁছে গেল মোট ৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর আগে ১৫ কোম্পানি এসে গিয়েছিল এলাকা টহলদারির জন্য। আরও ৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হল ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটের জন্য। আরও সামান্য কিছু বাহিনী আসতে পারে। কমিশন সূত্রের খবর, ভবানীপুরের ২৮৮টি বুথের জন্য আপাতত ১৫ কোম্পানি, জঙ্গিপুরের ৩৬৩টি বুথের জন্য ১৮ কোম্পানি এবং সামশেরগঞ্জের ৩২৯টি বুথের জন্য ১৯ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করার প্রস্তাব রয়েছে। যদিও ভবানীপুরে বাহিনী কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন করে আসা ৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে সিআরপিএফ ১৯, বিএসএফ ১৫, সিআইসিএফ ৫, আইটিবিপি ৫ এবং এসএসবি ৮ কোম্পানি রয়েছে।
তিন কেন্দ্রের ভোট ঘিরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ছড়াছড়ি নজিরবিহীন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কমিশনের অবশ্য ব্যাখ্যা, বিধানসভা ভোটের মতোই তিন কেন্দ্রের নির্বাচনের একটি বুথেও রাজ্য বা কলকাতা পুলিশ থাকবে না। প্রতিটি বুথে ভোট করানো হবে বাহিনী দিয়েই। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ পর্ব মিটলেই তিন কোম্পানি বাহিনী গণনা কেন্দ্রের জন্য রেখে দিয়ে বাকি সব ফেরত পাঠাতে হবে।
পাশাপাশি, কমিশন একই সঙ্গে বুথে ও গণনা কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টদের জন্য কোভিড-বিধি কিছুটা শিথিল করেছে। যদি কোনও এজেন্টের দু'টি কোভিড টিকার ডোজ না-নেওয়া থাকে, তা হলে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে রিপোর্টের মান্যতা অনুযায়ী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বুথে বা গণনা কেন্দ্রে বসতে পারবেন এজেন্টরা। কমিশন প্রথমে নির্দেশ দিয়েছিল, কোভিডের টিকার দুই ডোজ না-থাকলে কোনও সরকারি ও রাজনৈতিক কর্মীকে ভোটের কাজে যুক্ত হতে দেওয়া হবে না। কিন্তু রাজ্যে টিকা সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল না।
অনেকেই টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন দেরিতে। তাঁদের অনেককে নিয়মমাফিক টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে ৩০ সেপ্টেম্বরের পর। এই ধরনের ভোটকর্মীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি। শেষে কমিশন তা যুক্তিসম্মত বলে মান্যতা দিল।
প্রচারের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়ে শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে বামেরা। বাম প্রতিনিধি দলের পক্ষে রবিন দেব অভিযোগ করেন, কমিশন ভবানীপুরের দিকে যতটা নজর দিচ্ছে, অন্য দুই আসনের দিকে কমিশনের ততটা নজর নেই।
তিন কেন্দ্রের ভোট ঘিরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ছড়াছড়ি নজিরবিহীন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কমিশনের অবশ্য ব্যাখ্যা, বিধানসভা ভোটের মতোই তিন কেন্দ্রের নির্বাচনের একটি বুথেও রাজ্য বা কলকাতা পুলিশ থাকবে না। প্রতিটি বুথে ভোট করানো হবে বাহিনী দিয়েই। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ পর্ব মিটলেই তিন কোম্পানি বাহিনী গণনা কেন্দ্রের জন্য রেখে দিয়ে বাকি সব ফেরত পাঠাতে হবে।
পাশাপাশি, কমিশন একই সঙ্গে বুথে ও গণনা কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টদের জন্য কোভিড-বিধি কিছুটা শিথিল করেছে। যদি কোনও এজেন্টের দু'টি কোভিড টিকার ডোজ না-নেওয়া থাকে, তা হলে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে রিপোর্টের মান্যতা অনুযায়ী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বুথে বা গণনা কেন্দ্রে বসতে পারবেন এজেন্টরা। কমিশন প্রথমে নির্দেশ দিয়েছিল, কোভিডের টিকার দুই ডোজ না-থাকলে কোনও সরকারি ও রাজনৈতিক কর্মীকে ভোটের কাজে যুক্ত হতে দেওয়া হবে না। কিন্তু রাজ্যে টিকা সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল না।
অনেকেই টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন দেরিতে। তাঁদের অনেককে নিয়মমাফিক টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে ৩০ সেপ্টেম্বরের পর। এই ধরনের ভোটকর্মীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি। শেষে কমিশন তা যুক্তিসম্মত বলে মান্যতা দিল।
প্রচারের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়ে শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে বামেরা। বাম প্রতিনিধি দলের পক্ষে রবিন দেব অভিযোগ করেন, কমিশন ভবানীপুরের দিকে যতটা নজর দিচ্ছে, অন্য দুই আসনের দিকে কমিশনের ততটা নজর নেই।