এই সময়: লক্ষ্মীপুজো মিটেছে। কিন্তু এখনও কমেনি সবজির দাম। উল্টে কিছু-কিছু আনাজের দাম বেড়ে গিয়েছে। যার জন্য পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং ঘনঘন বৃষ্টিপাতকেই দুষছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে শীতকালীন সবজি উঠলে এবং ফের বৃষ্টি না-হলে দাম কমবে বলে মনে করছেন ব্যসায়ীরা। পাশাপাশি নাগরিকদের ভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে ভিন রাজ্য থেকে সবজি আমদানির দাবি উঠেছে। যদিও শনিবার রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, 'পরিবহণ খরচ বাদ দিয়ে অন্য রাজ্য থেকে সবজি আনলেও দাম বর্তমানে যা রয়েছে তার থেকে কমবে না। কারণ অন্য রাজ্যেও এক অবস্থা।'
কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় গত এক মাসে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে টোম্যাটোর। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে টোম্যাটোর দাম ছিল কেজি প্রতি ২৭ টাকা। তা-ই এখন কোথাও ৮০, কোথাও ১০০ টাকায় বিকোচ্ছে। আবার পেঁয়াজের দাম গত মাসেও ছিল ২৮ টাকা প্রতি কেজি। সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে। দাম কমেনি আলুর। আর বেগুন, পটলের মতো সবজির দর ক্রমশ বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার সল্টলেক, ব্যারাকপুর এবং হাওড়ার একাধিক বাজারে যান রাজ্যের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (ইবি) অফিসাররা। সবজির দাম বাড়ার নেপথ্যে বড় ব্যবসায়ীরা যে কারণগুলির উল্লেখ করছেন, খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে এ দিন সেগুলির সত্যতা যাচাই করেন ইবি-র কর্তারা। শুক্রবারও পুরুলিয়ার বড়হাট সবজি বাজারে হানা দিয়েছিলেন ইবি ও কৃষি দপ্তরের কর্তারা।
ইবি সূত্রে খবর, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং বৃষ্টির কারণে সবজি র ক্ষতি হওয়ার ফলেই এ বার এই অবস্থা বলে ব্যবসায়ীদের বড় অংশ এ দিন জানান। সবজি র দাম যে হারে বাড়ছে, তা নিয়ে শনিবার ইবি-র আধিকারিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক ক্রেতা।
সল্টলেকের এ কে ব্লকের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অরবিন্দ চক্রবর্তী বলেন, 'ফি বছর লক্ষ্মীপুজোর আগে সবজি র দাম বাড়লেও দিনকয়েকের মধ্যে তা কমে যায়। কিন্তু এ বার বাড়ছে। অথচ পেনশন বাড়ছে না। ফলে সংসার চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি। আগের থেকে সবজি কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছি।'
মানিকতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা অনিল মণ্ডলের কথায়, 'দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি থেকে কলকাতার বাজারে সবজি আসে। তবে এ বার যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তার জেরে সবজি র ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে সবজি না-উঠলে অবস্থার উন্নতি হবে না। দাম বাড়ার কারণে অনেকেই সবজি কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছেন। এ দিকে চড়া দামে আনাজ কিনেও আমাদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।' একই আক্ষেপ আরও অনেক ব্যবসায়ীর।
কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় গত এক মাসে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে টোম্যাটোর। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে টোম্যাটোর দাম ছিল কেজি প্রতি ২৭ টাকা। তা-ই এখন কোথাও ৮০, কোথাও ১০০ টাকায় বিকোচ্ছে। আবার পেঁয়াজের দাম গত মাসেও ছিল ২৮ টাকা প্রতি কেজি। সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে। দাম কমেনি আলুর। আর বেগুন, পটলের মতো সবজির দর ক্রমশ বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার সল্টলেক, ব্যারাকপুর এবং হাওড়ার একাধিক বাজারে যান রাজ্যের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (ইবি) অফিসাররা। সবজির দাম বাড়ার নেপথ্যে বড় ব্যবসায়ীরা যে কারণগুলির উল্লেখ করছেন, খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে এ দিন সেগুলির সত্যতা যাচাই করেন ইবি-র কর্তারা। শুক্রবারও পুরুলিয়ার বড়হাট সবজি বাজারে হানা দিয়েছিলেন ইবি ও কৃষি দপ্তরের কর্তারা।
ইবি সূত্রে খবর, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং বৃষ্টির কারণে সবজি র ক্ষতি হওয়ার ফলেই এ বার এই অবস্থা বলে ব্যবসায়ীদের বড় অংশ এ দিন জানান। সবজি র দাম যে হারে বাড়ছে, তা নিয়ে শনিবার ইবি-র আধিকারিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক ক্রেতা।
সল্টলেকের এ কে ব্লকের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অরবিন্দ চক্রবর্তী বলেন, 'ফি বছর লক্ষ্মীপুজোর আগে সবজি র দাম বাড়লেও দিনকয়েকের মধ্যে তা কমে যায়। কিন্তু এ বার বাড়ছে। অথচ পেনশন বাড়ছে না। ফলে সংসার চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি। আগের থেকে সবজি কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছি।'
মানিকতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা অনিল মণ্ডলের কথায়, 'দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি থেকে কলকাতার বাজারে সবজি আসে। তবে এ বার যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তার জেরে সবজি র ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে সবজি না-উঠলে অবস্থার উন্নতি হবে না। দাম বাড়ার কারণে অনেকেই সবজি কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছেন। এ দিকে চড়া দামে আনাজ কিনেও আমাদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।' একই আক্ষেপ আরও অনেক ব্যবসায়ীর।