এই সময়: টানা বর্ষণে কার্যত মাথায় হাত কলকাতার পুরোনো বাড়ির বাসিন্দাদের। বৃষ্টির জেরে একের পর এক পুরোনো বাড়ি ভেঙে পড়ছে। ভগ্নস্তূপের নীচে চাপা পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। মাথার ছাদ টুকু হারিয়ে অনেকে আশ্রয়হীন অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন। আবার দোকানঘর ভেঙে যাওয়ায় অনেকের রুটি-রুজি বন্ধ। গৃহহারা মানুষদের অধিকাংশেরই পুনর্বাসন পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার তরফে তাঁদের বলা হচ্ছে আইনি জটিলতার কথা। এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। তার স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছে 'দ্য ক্যালকাটা হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন'।
তাদের দাবি, বিপজ্জনক বাড়ি মেরামতির জন্য মালিকরা যাতে টাকা খরচ করতে পারেন, সেই জন্য বাড়ি ভাড়ার অঙ্ক বাড়ানো দরকার। বিপজ্জনক বাড়ি খালি করার জন্য সেখানে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া, ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণের কাজ বন্ধ রাখতে হবে পুরসভাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের মডেল রেন্ট অ্যাক্ট চালু করার জন্যও আর্জি জানিয়েছেন পুরোনো বাড়ির মালিকরা। সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি, তিন মাসের বেশি ভাড়া বকেয়া থাকলে সেটাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হোক।
দ্য ক্যালকাটা হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুকুমার রক্ষিত বলেন, 'পুরোনো বাড়ি সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করলেও সেই জন্য কলকাতার বাড়িওয়ালাদের কোনও মতামত নেওয়া হয়নি। আমরা চাই, সরকার সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে একটা স্থায়ী সমাধান সূত্র বের করুক। তা না-হলে বিপজ্জনক বাড়িতে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।'
পুরসভার নথি বলছে, এ বারের বর্ষায় কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পড়েছে মোট ২৮টি পুরোনো বাড়ি। শুধু দুর্গাপুজোর পুজোর মরসুমেই, গত তিন সপ্তাহে অন্তত এক ডজন বাড়ি ভেঙেছে শহরে। ওই সব ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। পুরোনো বাড়ি ভেঙে পড়ায় সমস্যায় ভাড়াটেরাও। অনেক সময়ে তাঁরাও প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দিন কয়েক আগে কলকাতা শহরে ভেঙে পড়া একটি পুরোনো বাড়ির এক ভাড়াটে পুনর্বাসনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গত মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে সেই মামলার শুনানি হয়। ওই ব্যক্তিকে পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য প্রোমোটারদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এক শীর্ষকর্তা জানাচ্ছেন, গোটা শহরে প্রায় ২৯৫০টি পুরোনো, বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে মোট ১৫৫টি বাড়ি অতি বিপজ্জনক। সেগুলি যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে। প্রতি বছর বর্ষাতেই কলকাতা শহরে বাড়ি ভাঙার ঘটনা ঘটে। এ বার বৃষ্টি বেশি হওয়ায় বাড়ি ভাঙার সংখ্যাও বেড়েছে। পুরসভার হিসেবে, বিপজ্জনক বাড়ি সব চেয়ে বেশি সংখ্যায় রয়েছে বড়বাজার, শোভাবাজার, বাগবাজার, বউবাজার, গিরিশ পার্ক, শিয়ালদহ, ওয়াটগঞ্জ এবং কবিতীর্থ এলাকায়। পুরসভার ব্যাখ্যা, ওই সব তল্লাটে পুরোনো বাড়িগুলি ইট, চুন-সুরকি দিয়ে বানানো। বৃষ্টির সময়ে ইট ফুলে-ফেঁপে যায়। এর পর রোদ উঠলে চুন-সুরকি আলগা হতে থাকে। তখন দেওয়ালে ফাটল তৈরি হয় এবং সেই জন্য শেষমেশ বাড়ি ভেঙে পড়ে।
পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ওই আধিকারিকের বক্তব্য, 'বাড়ি ভাঙা থেকে নতুন বাড়ি তৈরি হওয়া- এই মাঝখানের সময়ে সেখানকার বাসিন্দারা কোথায় থাকবেন, সেই বিষয়ে আইনে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা নেই। পুর আইনের ৪১২-ক ধারায় বলা আছে, বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য যে খরচ হবে, সেটা ডেভেলপার তার নির্মাণ থেকে তুলতে পারবে। তবে অনেক সময়ে ডেভেলপাররা অতিরিক্ত লাভের জন্য তাঁদের দায়িত্ব এড়িয়ে যান। এক্ষেত্রে পুরসভার তেমন কিছু করার নেই।'
তাদের দাবি, বিপজ্জনক বাড়ি মেরামতির জন্য মালিকরা যাতে টাকা খরচ করতে পারেন, সেই জন্য বাড়ি ভাড়ার অঙ্ক বাড়ানো দরকার। বিপজ্জনক বাড়ি খালি করার জন্য সেখানে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া, ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণের কাজ বন্ধ রাখতে হবে পুরসভাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের মডেল রেন্ট অ্যাক্ট চালু করার জন্যও আর্জি জানিয়েছেন পুরোনো বাড়ির মালিকরা। সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি, তিন মাসের বেশি ভাড়া বকেয়া থাকলে সেটাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হোক।
দ্য ক্যালকাটা হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুকুমার রক্ষিত বলেন, 'পুরোনো বাড়ি সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করলেও সেই জন্য কলকাতার বাড়িওয়ালাদের কোনও মতামত নেওয়া হয়নি। আমরা চাই, সরকার সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে একটা স্থায়ী সমাধান সূত্র বের করুক। তা না-হলে বিপজ্জনক বাড়িতে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।'
পুরসভার নথি বলছে, এ বারের বর্ষায় কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পড়েছে মোট ২৮টি পুরোনো বাড়ি। শুধু দুর্গাপুজোর পুজোর মরসুমেই, গত তিন সপ্তাহে অন্তত এক ডজন বাড়ি ভেঙেছে শহরে। ওই সব ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। পুরোনো বাড়ি ভেঙে পড়ায় সমস্যায় ভাড়াটেরাও। অনেক সময়ে তাঁরাও প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দিন কয়েক আগে কলকাতা শহরে ভেঙে পড়া একটি পুরোনো বাড়ির এক ভাড়াটে পুনর্বাসনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গত মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে সেই মামলার শুনানি হয়। ওই ব্যক্তিকে পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য প্রোমোটারদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এক শীর্ষকর্তা জানাচ্ছেন, গোটা শহরে প্রায় ২৯৫০টি পুরোনো, বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে মোট ১৫৫টি বাড়ি অতি বিপজ্জনক। সেগুলি যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে। প্রতি বছর বর্ষাতেই কলকাতা শহরে বাড়ি ভাঙার ঘটনা ঘটে। এ বার বৃষ্টি বেশি হওয়ায় বাড়ি ভাঙার সংখ্যাও বেড়েছে। পুরসভার হিসেবে, বিপজ্জনক বাড়ি সব চেয়ে বেশি সংখ্যায় রয়েছে বড়বাজার, শোভাবাজার, বাগবাজার, বউবাজার, গিরিশ পার্ক, শিয়ালদহ, ওয়াটগঞ্জ এবং কবিতীর্থ এলাকায়। পুরসভার ব্যাখ্যা, ওই সব তল্লাটে পুরোনো বাড়িগুলি ইট, চুন-সুরকি দিয়ে বানানো। বৃষ্টির সময়ে ইট ফুলে-ফেঁপে যায়। এর পর রোদ উঠলে চুন-সুরকি আলগা হতে থাকে। তখন দেওয়ালে ফাটল তৈরি হয় এবং সেই জন্য শেষমেশ বাড়ি ভেঙে পড়ে।
পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ওই আধিকারিকের বক্তব্য, 'বাড়ি ভাঙা থেকে নতুন বাড়ি তৈরি হওয়া- এই মাঝখানের সময়ে সেখানকার বাসিন্দারা কোথায় থাকবেন, সেই বিষয়ে আইনে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা নেই। পুর আইনের ৪১২-ক ধারায় বলা আছে, বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য যে খরচ হবে, সেটা ডেভেলপার তার নির্মাণ থেকে তুলতে পারবে। তবে অনেক সময়ে ডেভেলপাররা অতিরিক্ত লাভের জন্য তাঁদের দায়িত্ব এড়িয়ে যান। এক্ষেত্রে পুরসভার তেমন কিছু করার নেই।'