এই সময়: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণে শিশু বা কচিকাঁচারা বেশি সংখ্যায় আক্রান্ত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ থেকে স্বাস্থ্যকর্তারা। সে কথা মাথায় রেখে তৃতীয় ঢেউয়ের থাবা থেকে শিশুদের রক্ষায় যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে স্বাস্থ্যভবন। তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি কমিটি। এ বার স্বাস্থ্যভবন এই বিষয়ে আর একটি পদক্ষেপ করল। করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনও শিশু সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে কী কী খাবার দেওয়া হবে, সেই তালিকাও তৈরি করে দিল স্বাস্থ্যভবন। ওই তালিকা অনুযায়ী করোনা-আক্রান্ত শিশুদের খাবার দিতে হবে বলে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনের এক কর্তা জানিয়েছেন। আবার এ দিনই কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'তৃতীয় ঢেউ যাতে শহরের বাচ্চাদের কোনও ক্ষতি করতে না-পারে, সেই জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, তা নেওয়া হচ্ছে।'
সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত ১ থেকে ৫ বছরের বাচ্চাদের খাবারের জন্য দৈনিক বরাদ্দ ৯৫ টাকা এবং ৫ থেকে ১২ বছর বয়সিদের খাবারের জন্য হাসপাতালগুলিকে দেওয়া হবে দৈনিক ১৩৮ টাকা। করোনায় আক্রান্ত ওই শিশুদের দেখভালের দায়িত্বে ওয়ার্ডে যিনি থাকবেন, তাঁর খাবারের জন্য সারা দিনে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭৫ টাকা। স্বাস্থ্যভবন জানিয়েছে, ১ থেকে ১২ বছর বয়সিদের বয়স ভেদে প্রাতরাশ থেকে রাতের খাবারে পাউরুটি, ডিমসেদ্ধ, সুজি, কলা ও অন্যান্য ফল, দুধ, ভাত, ডাল, শাকসব্জি, মাছ, মুরগির মাংস, দই দিতে হবে।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ডায়াটেশিয়ান অরিজিৎ দে। তিনি বলছেন, 'করোনা এমনিতেই খুব দুর্বল করে দেয়। ফলে, বাচ্চাদের জন্য পৃথক ভাবে খাবারের চার্ট তৈরি করার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তালিকায় যে সব খাবার রাখা হয়েছে, তা ভীষণই পুষ্টিকর।'
চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, 'পরীক্ষার অনেক আগে থেকে যারা ভালো ভাবে পড়াশোনা করে, তাদের ফল সব সময়েই ভালো হয়। শেষ মুর্হূতে প্রস্তুতি নিলে ভালো রেজাল্ট হয় না। করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই স্বাস্থ্যভবন যে ভাবে প্রস্তুতি শুরু করেছে, তা অত্যন্ত সদর্থক পদক্ষেপ।'
সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত ১ থেকে ৫ বছরের বাচ্চাদের খাবারের জন্য দৈনিক বরাদ্দ ৯৫ টাকা এবং ৫ থেকে ১২ বছর বয়সিদের খাবারের জন্য হাসপাতালগুলিকে দেওয়া হবে দৈনিক ১৩৮ টাকা। করোনায় আক্রান্ত ওই শিশুদের দেখভালের দায়িত্বে ওয়ার্ডে যিনি থাকবেন, তাঁর খাবারের জন্য সারা দিনে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭৫ টাকা। স্বাস্থ্যভবন জানিয়েছে, ১ থেকে ১২ বছর বয়সিদের বয়স ভেদে প্রাতরাশ থেকে রাতের খাবারে পাউরুটি, ডিমসেদ্ধ, সুজি, কলা ও অন্যান্য ফল, দুধ, ভাত, ডাল, শাকসব্জি, মাছ, মুরগির মাংস, দই দিতে হবে।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ডায়াটেশিয়ান অরিজিৎ দে। তিনি বলছেন, 'করোনা এমনিতেই খুব দুর্বল করে দেয়। ফলে, বাচ্চাদের জন্য পৃথক ভাবে খাবারের চার্ট তৈরি করার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তালিকায় যে সব খাবার রাখা হয়েছে, তা ভীষণই পুষ্টিকর।'
চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, 'পরীক্ষার অনেক আগে থেকে যারা ভালো ভাবে পড়াশোনা করে, তাদের ফল সব সময়েই ভালো হয়। শেষ মুর্হূতে প্রস্তুতি নিলে ভালো রেজাল্ট হয় না। করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই স্বাস্থ্যভবন যে ভাবে প্রস্তুতি শুরু করেছে, তা অত্যন্ত সদর্থক পদক্ষেপ।'