অ্যাপশহর

আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব কলকাতার ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও

কেন এমন দাবি উঠছে? এক বিভাগীয় প্রধান জানাচ্ছেন, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ওডিশা থেকে যে পড়ুয়ারা জয়েন্ট এন্ট্রাসে ভালো ফল করছেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে অনেক সময় পিছিয়ে পড়ছেন। পরীক্ষার ফল খারাপ হচ্ছে।

EiSamay.Com 20 Apr 2020, 1:20 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুরের পর এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখাতেও রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য সিংহভাগ আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব উঠল।
EiSamay.Com demand for reservation for state students in cu’s engineering colleges
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়


গত শিক্ষাবর্ষ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংর ৯০ ভাগ আসন বাংলার পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে যাদবপুরে। বাকি ১০ শতাংশে ভর্তি হন ভিন রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়ারা। এ বার কলকাতার ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার অধিকাংশ বিভাগই চাইছে মোট আসনের ৮০ শতাংশ সংরক্ষিত থাক এ রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য। বাকি ২০ শতাংশ থাক ভিন রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য।

ইঞ্জিনিয়ারিংর ডিন মধুছন্দা মৈত্র বলেন, ‘লকডাউনের আগে বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে শাখার সচিব একটি বৈঠক করেন। সেখানেই এই প্রস্তাব ওঠে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষই নেবেন।’ সিদ্ধান্ত নিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে এ নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। কিন্তু লকডাউনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। তাই ডোমিসাইল নীতি নিয়ে আলোচনাও আপাতত স্থগিত।

যাদবপুরের ক্ষেত্রে যখন ডোমিসাইল নীতি কার্যকর হয়, তখন বেশ কিছু বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছিল। এ ক্ষেত্রেও তা হয়েছে। অনেকের যুক্তি, এ ভাবে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি ভিন রাজ্যের পড়ুয়াদের ভর্তির সুযোগ কমে আসে, তা হলে তার প্রভাব পড়তে পারে জাতীয় শিক্ষানীতিতে। অন্য রাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলিও যদি এ ভাবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য আসনের বড় অংশ সংরক্ষিত করে, তা হলে বাংলা থেকে যে পড়ুয়ারা অন্যত্র পড়াশোনা করতে যান, তাঁদের সুযোগ কমবে।

যদিও যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, ‘এ রাজ্য থেকে ছেলেমেয়েরা মূলত কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে পড়তে যান। সেখানে এ ভাবে রাজ্যওয়াড়ি সংরক্ষণের নিয়ম নেই। কিন্তু আমাদের রাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলির ৮০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। তাই এ রাজ্যের পড়ুয়াদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ বাড়ানো দরকার।’ তবে একই সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলেছেন পার্থপ্রতিম। জয়েন্ট বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভাস্কর গুপ্তর বক্তব্য, ‘যাদবপুর, কলকাতার মতো প্রতিষ্ঠানের জাতীয় গুরুত্ব আছে। ভিন রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিলে সেই গুরুত্ব কমতে পারে। বিভিন্ন র৵াঙ্কিংয়েও তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা।’ কারণ বিভিন্ন র৵াঙ্কিংয়ে দেখা হয়, নানা রাজ্য থেকে পড়ুয়ারা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আছেন কি না। এই প্রশ্নে গত কয়েকটি র৵াঙ্কিংয়ে বেশ ভালো ফল করেছে কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল