এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর ফের প্রাসঙ্গিক 'কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ' সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনযুদ্ধ। এবার বিষয়টি নিয়ে কলম ধরলেন জনপ্রিয় লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘তালিবান ও এক বিস্মৃত বঙ্গনারী' শীর্ষক একটি প্রতিবেদন লিখেছেন তিনি। লেখার বেশিরভাগটাই সুস্মিতার জবানিতে। ১৯৯৫ সালের অগাস্ট মাসে ভারতীয় দূতাবাসে পোস্টেড অফিসারের সঙ্গে সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে শবনম খানের কথোপকথন তুলে ধরেছেন দেবারতি। কী ভাবে সাহসিনী আফগানিস্তান থেকে ভারতে ফিরেছিলেন, তা ফুটিয়ে তুলেছেন লেখিকা। ওই পালিয়ে আসার ইতিহাসকে ‘দ্য গ্রেট এসকেপ’ তকমাও দেওয়া হয়েছে। তালিবানের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সুস্মিতা কী ভাবে সংগঠনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন, এদিন দেবারতি তা মনে করিয়ে দিয়েছেন আট থেকে আশিকে। পাশাপাশি, আজকের পরিস্থিতিতে মালালার প্রতিবাদ কেন টুইটে আটকে? প্রশ্ন তুলেছেন 'ডাকাতরাজা'র লেখিকা। তাঁর কথায়, '...কারওকে ছোট না করেই বলছি, তালিবানি স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা নোবেল প্রাইজ বিজেতা মালালা ইউসুফজাই বহুবছর ধরেই ইংল্যান্ডে। প্রথম বিশ্বে আধুনিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত মালালার প্রতিবাদ এখন কিছু বক্তৃতাও টুইটেই আটকে থাকে। কিন্তু একজন বাঙালি মেয়ে অতদিন আগে অতদূরে গিয়ে এতকিছু করে এসেছেন, বন্দুকের সামনে ভয় না পেয়ে লড়েছেন, লড়তে গিয়ে প্রাণও দিয়েছেন, তাঁকে বিশ্ব তো বটেই, আমরাও প্রায় ভুলে গিয়েছি'। এই প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিটাল-কে দেবারতি বলেন, 'মালালা ইউসুফজাই তালিবানের বিরুদ্ধে কথা বলে নোবেল পেলেন। অথচ এখন তাঁকে আর দেখা যায় না। তিনি UK-তে থাকেন। অথচ তাঁকে নিয়ে হইচই হয়। আর সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত লড়াই করতে প্রাণ দিয়েছিলেন, অথচ তাঁকে কেউ মনে রাখল না! ভেবে আশ্চর্য হয়ে যাই'।
এদিন সুস্মিতার খুনের ঘটনা উল্লেখ করে দেবারতি লিখেছেন, ‘...দীর্ঘ আঠেরো বছর পর সুস্মিতা আবার গিয়েছিলেন নিজের শ্বশুরবাড়িতে। সবাই বারণ করেছিল। কিন্তু বাধ্য যে তিনি কোনদিনই ছিলেন না... মেয়েদের যেখানে একা বেরনো বারণ, যেখানে তিনতলা উঁচু পাঁচিলের মধ্যে থাকতে হয় অষ্টপ্রহর, যেখানে বোরখা থেকে কোনভাবে মুখ একটু বেরিয়ে গেলে গুলি ফুঁড়ে দেয় খুলি, সেখানে নার্সিং? শিক্ষা? বই লিখে বিশ্বকে স্বরূপ জানিয়ে দেওয়া? ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০১৩ সেখানেই তালিবান জঙ্গীরা রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে তাঁকে অপহরণ করে। পরের দিন এক পুকুরে পাওয়া যায় তাঁর ক্ষতবিক্ষত লাশ। তাঁর স্বামী ও পরিবারের বাকিদের পাওয়া যায় দড়িবাঁধা অবস্থায়। কিন্তু তালিবানরা এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। তবে কে খুন করল সুস্মিতাকে? পরিবার না অন্য কেউ? আজও তা রহস্য'!
উল্লেখ্য, ওই লেখাটি প্রকাশ্যে আসার পরেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনদের বেশিরভাগই ওই সাহসী পোস্টের জন্য দেবারতির তারিফ করেছেন। তবে কটাক্ষও করেছেন অনেকে। নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে লেখিকার বার্তা, 'যথারীতি কিছু মানুষ লিখতে শুরু করে দিয়েছেন, এটা লিখে কত পেলেন? দিনারে পেলেন না ডলারে? যেমন, অঘোরে ঘুমিয়ে শিব লেখার পর বলা শুরু হয়েছিল, হিন্দুত্ববাদকে গ্লোরিফাই করার জন্য কত পেলেন? আমি একটা যথেষ্ট ভাল সরকারি চাকরি করি। বইয়েরও ভাল রয়্যালটি পাই। ফেসবুকের লেখাগুলোর জন্য কেউ কিছু দেয় টেয় না'।
এদিন সুস্মিতার খুনের ঘটনা উল্লেখ করে দেবারতি লিখেছেন, ‘...দীর্ঘ আঠেরো বছর পর সুস্মিতা আবার গিয়েছিলেন নিজের শ্বশুরবাড়িতে। সবাই বারণ করেছিল। কিন্তু বাধ্য যে তিনি কোনদিনই ছিলেন না... মেয়েদের যেখানে একা বেরনো বারণ, যেখানে তিনতলা উঁচু পাঁচিলের মধ্যে থাকতে হয় অষ্টপ্রহর, যেখানে বোরখা থেকে কোনভাবে মুখ একটু বেরিয়ে গেলে গুলি ফুঁড়ে দেয় খুলি, সেখানে নার্সিং? শিক্ষা? বই লিখে বিশ্বকে স্বরূপ জানিয়ে দেওয়া? ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০১৩ সেখানেই তালিবান জঙ্গীরা রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে তাঁকে অপহরণ করে। পরের দিন এক পুকুরে পাওয়া যায় তাঁর ক্ষতবিক্ষত লাশ। তাঁর স্বামী ও পরিবারের বাকিদের পাওয়া যায় দড়িবাঁধা অবস্থায়। কিন্তু তালিবানরা এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। তবে কে খুন করল সুস্মিতাকে? পরিবার না অন্য কেউ? আজও তা রহস্য'!
উল্লেখ্য, ওই লেখাটি প্রকাশ্যে আসার পরেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনদের বেশিরভাগই ওই সাহসী পোস্টের জন্য দেবারতির তারিফ করেছেন। তবে কটাক্ষও করেছেন অনেকে। নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে লেখিকার বার্তা, 'যথারীতি কিছু মানুষ লিখতে শুরু করে দিয়েছেন, এটা লিখে কত পেলেন? দিনারে পেলেন না ডলারে? যেমন, অঘোরে ঘুমিয়ে শিব লেখার পর বলা শুরু হয়েছিল, হিন্দুত্ববাদকে গ্লোরিফাই করার জন্য কত পেলেন? আমি একটা যথেষ্ট ভাল সরকারি চাকরি করি। বইয়েরও ভাল রয়্যালটি পাই। ফেসবুকের লেখাগুলোর জন্য কেউ কিছু দেয় টেয় না'।