অ্যাপশহর

সম্পর্কের টানাপোড়ন নাকি মাদকের নেশা! একবালপুরে তরুণী খুনের কাণ্ডে গ্রেফতার দম্পতি

তদন্তকারীদের ধারণা, একাধিক লোকও জড়িত থাকতে পারে এ ঘটনায়। কারণ, ওই তরুণীর চেহারা যথেষ্ট শক্তপোক্ত ছিল। সে ক্ষেত্রে একা কারও পক্ষে বস্তায় ভরে দেহ নিয়ে এসে ফেলার সম্ভবনা কম। আবার যেখানে দেহ উদ্ধার হয়, তার একেবারে কাছে কোনও জায়গাতেও খুন করা হয়ে থাকতে পারে।

EiSamay.Com 22 Nov 2020, 12:24 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: একবালপুরে তরুণীকে খুন করে দেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে দিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত অধরাই ছিল অভিযুক্ত। তবে রবিবার ভোর রাতে এই খুনের কাণ্ডে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মিশন রোড ও ড. সুধীর বসু রোডের কাছে মহম্মদ সাজিদ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জুম বেগমকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
EiSamay.Com arrested
ছবিটি প্রতীকী


প্রসঙ্গত, এই খুনের কিনারা করতে একবালপুর থানার পাশাপাশি লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারাও তদন্ত করছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, রোহিত ও ইমরান নামে নিহত সাবা খাতুন ওরফে নয়নার দুই পরিচিত যুবক, সাবার বান্ধবী সোনম ও তাঁর মা রেশমা এবং আরও দুই পরিচিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের রাতে তাঁদের অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে। এঁদের মধ্যে কয়েক জনকে শনিবার লালবাজারে এনেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। তাঁদের সূত্র ধরেই সাজিদের নাম সামনে আসে।

তবে পুলিশের সন্দেহ ছিল, তরুণী খুনের পিছনে পরিচিত কেউ রয়েছে। এ ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের আগে সম্ভবত শারীরিক সম্পর্কও হয়েছিল। তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে ময়নাতদন্তে। মিলেছে নিগ্রহের প্রমাণও। সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

নিগ্রহের পর খুন তরুণীকে, ইঙ্গিত শারীরিক সম্পর্কেরও

জানা গিয়েছে, বুধবার রাত দশটার আগেই তাঁর ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে সন্ধে থেকে রাত দশটার আগেই খুনটি হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। পরে গভীর রাতে দেহটি ফেলে যাওয়া হয়। সন্ধের পর সাবা কোথায় ছিলেন, ফোনের শেষ টাওয়ার লোকেশন থেকে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে সন্দেহভাজনের তালিকায় থাকা লোকজনের মোবাইলের তথ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নয়নার পরিচিত দুই যুবক রোহিত ওরফে সাজিদ এবং ওয়াসিম বিল্ডার ওরফে ইমরানকে। ইমরান বুধসন্ধায় সাবাকে ফোন করেছিলেন বলে খবর। তার পর যে বান্ধবীর বাড়িতে থাকতেন সাবা, সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে যান। অন্য দিকে রোহিতের বাড়ির সামনে থেকে দেহটি উদ্ধার হয়। রোহিতই পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন। দেহ উদ্ধারের সময়ে রোহিত ও ইমরান--দু'জনই হাজির ছিলেন। তরুণীর পরিচয়ও তাঁরাই পুলিশকে জানান। রোহিতের সঙ্গে সাবার ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে খবর। দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি এলাকার অন্য দুই যুবক, সাবার বান্ধবী, তাঁর মা রেশমা, সাবার আত্মীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তে সাবার হাতে সিগারেটের ছ্যাঁকার চিহ্ন মিলেছে। খুনের আগে যে তাঁকে নির্যাতন করা হয়, তা স্পষ্ট। শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিতও মিলেছে। যদিও তা বলপূর্বক কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনা নিয়ে এখনও খানিক ধন্দে তদন্তকারীরা।

তবে ঠিক কী কারণে সাবাকে খুন করা হতে পারে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। সম্পর্কের টানাপোড়নের জেরে খুন নাকি অন্য কারণে, জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই তরুণীর মাদকের নেশার পাশাপাশি তাঁর শৃঙ্খলাহীন জীবনযাপনের বিষয়ে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সে দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল