অ্যাপশহর

একা দূষণে রক্ষা নেই... মাস্কে মুখ ঢাকছে শহর

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের একটি সার্জিক্যাল দোকানের মালিক দীপক আগরওয়াল বলছিলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে মাস্কও অনেকে নিত্য ব্যবহার করেন। তাই এন-৯৫ মাস্কের মতো দামি পণ্যও আমার দোকানে গড়ে ১০-১৫টা করে বিক্রি হয় প্রতি মাসে।। গত সপ্তাহে সেই সংখ্যাটাই একলাফে অনেক বেড়ে গিয়েছে।

EiSamay.Com 4 Feb 2020, 10:43 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গাড়ির ধোঁয়া থেকে শুরু করে ধুলো। দূষণ ঠেকাতে এমনিই অনেকে সারা বছর মাস্ক পরে ঘোরেন রাস্তাঘাটে। সর্দিকাশি-সহ হরেক সংক্রমণ থেকে বাঁচতেও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করেন। ফলে ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের বাদ দিয়েও আজকাল মাস্কের ক্রেতার সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। নভেল করোনাভাইরাস (এনসিওভি) আতঙ্কের আবহে সেই ক্রেতার সংখ্যাই একলাফে বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ।
EiSamay.Com নভেল করোনাভাইরাস (এনসিওভি) আতঙ্কে
নভেল করোনাভাইরাস (এনসিওভি) আতঙ্কে


ইতিমধ্যেই এ দেশে তিন জন এনসিওভি সংক্রমিত বলে চিহ্নিত। সংক্রমণ থাকতে পারে, এমন সন্দেহে পর্যবেক্ষণে আছেন আরও অনেকে। তার মধ্যে এ রাজ্যেই রয়েছেন অন্তত ১৪ জন। সে খবর প্রকাশ্যে আসায় গত কয়েক দিনে এন-৯৫ মাস্কের মতো দামি মাস্কও বিক্রি হচ্ছে দেদার। অবস্থা এমন যে, বহু সার্জিক্যাল দোকানে রীতিমতো আকাল দেখা দিয়েছে মাস্কের। বিশেষ করে এন-৯৫ মাস্কের যা করোনাভাইরাস-সহ বিভিন্ন ফ্লুয়ের ভাইরাসকে ঠেকাতে সক্ষম।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের একটি সার্জিক্যাল দোকানের মালিক দীপক আগরওয়াল বলছিলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে মাস্কও অনেকে নিত্য ব্যবহার করেন। তাই এন-৯৫ মাস্কের মতো দামি পণ্যও আমার দোকানে গড়ে ১০-১৫টা করে বিক্রি হয় প্রতি মাসে।। গত সপ্তাহে সেই সংখ্যাটাই একলাফে অনেক বেড়ে গিয়েছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার মিলিয়েই হাজারখানেক এন-৯৫ মাস্ক বিক্রি করেছি।’ কলেজ স্ট্রিটের একটি দোকানের কর্মী বীরেশ্বর দেয়াশী জানান, অনেক প্যাথ ল্যাবও কর্মীদের জন্য এন-৯৫ মাস্ক কিনছে। ফলে বিক্রি বেড়েছে বহুগুণে।’

কেন বিশেষ এই মাস্কের এমন চাহিদা? কী-ই বা এর বিশেষত্ব?

কলকাতা মেডিক্যালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক সৌগত ঘোষের ব্যাখ্যা, ‘শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার জন্য সব মাস্কেই ছিদ্র থাকে। সেই ছিদ্র এন-৯৫ মাস্কে এত কম যে তা দিয়ে ২.৫ মাইক্রন সাইজের ধূলিকণা কিংবা ভাইরাসও ঢুকতে পারে না। ফলে বায়ুবাহিত জীবাণুকে প্রতিরোধ করা যায় অনেকাংশে।’ পথশিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে মেডিক্যাল সংলগ্ন দোকানে মাস্ক কিনতে এসেছিলেন কুণাল বসুরায়। তাঁর কথায়, ‘অনেকগুলি মাস্ক দরকার। তাই পাইকারি বাজার বাগরি মার্কেট ও মেহতা বিল্ডিংয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে মাস্ক মেলেনি। সবাই বলল, স্টক শেষ। তাই এখানে এসেছি।’

আরও পড়ুন: চিন ফেরত পড়শিকে নিয়ে চিন্তায় পাড়া

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল