অ্যাপশহর

রথে সায় হাইকোর্টের, আজ ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য

বিজেপির রথযাত্রায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়ে আপত্তি জানিয়ে সম্ভবত আজ, শুক্রবারই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করছে রাজ্য সরকার। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ গত দু'দিন ধরে শুনানির পর বৃহস্পতিবার ওই কর্মসূচিতে অনুমোদন দেয়। তার পরেই রাজ্যের তরফে আবেদন করা হয়, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষ ছাড়াও জানুয়ারিতেই গঙ্গাসাগর মেলা থাকায় এখনই যেন এই কর্মসূচিতে অনুমোদন দেওয়া না হয়। আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশও চায় রাজ্য। কিন্তু আদালত তাতে সায় না-দেওয়ায় দ্রুত রায়ের প্রতিলিপি দেওয়ার আবেদন করে রাজ্য সরকার।

EiSamay 21 Dec 2018, 9:44 am
এই সময়: বিজেপির রথযাত্রায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়ে আপত্তি জানিয়ে সম্ভবত আজ, শুক্রবারই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করছে রাজ্য সরকার। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ গত দু'দিন ধরে শুনানির পর বৃহস্পতিবার ওই কর্মসূচিতে অনুমোদন দেয়। তার পরেই রাজ্যের তরফে আবেদন করা হয়, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষ ছাড়াও জানুয়ারিতেই গঙ্গাসাগর মেলা থাকায় এখনই যেন এই কর্মসূচিতে অনুমোদন দেওয়া না হয়। আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশও চায় রাজ্য। কিন্তু আদালত তাতে সায় না-দেওয়ায় দ্রুত রায়ের প্রতিলিপি দেওয়ার আবেদন করে রাজ্য সরকার।
EiSamay.Com BJPWestBengal4743712380-115202743_6


আদালত বিজেপির রথযাত্রায় অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের অনড় মনোভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে। যদিও গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার অনুমতি দিতে গিয়ে আদালত জানিয়েছে, যদি কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়, তার দায় নিতে হবে বিজেপিকেও। একইসঙ্গে রথ যেদিন যে-জেলায় ঢুকবে, তার ১২ ঘণ্টা আগে সেই জেলার পুলিশকে তা জানাতে হবে। রাতেই বিজেপির রাজ্য নেতারা রথযাত্রার পরিবর্তিত পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, 'কর্মীদের মনোবল অটুট আছে।' প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, রাজ্য সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নতুন করে যাত্রায় স্থগিতাদেশ না-দিলে কোচবিহার থেকে প্রথম যাত্রাটি শুরু হবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় যাত্রাটি ২৯ তারিখ তারাপীঠ থেকে। এবং গঙ্গাসাগর থেকে তৃতীয় যাত্রাটি শুরু হবে আগামী ২ জানুয়ারি। তিনটি যাত্রার উদ্বোধনেই অমিত শাহ হাজির থাকবেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতের রায় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি খানিক অসন্তোষ প্রকাশ করে জবাব এড়িয়ে যান। কিন্তু কংগ্রেস ও বাম শিবির বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, 'নিশ্চয় প্রশাসন এবং আমাদের আইন বিভাগ দেখবে। বিজেপি প্রতিদিনই তো আইনশৃঙ্খলার অবনতি করার এবং বিশৃঙ্খলা পাকাবার চেষ্টা করছে। এদের যা ভাষা তা কোনও সভ্য সমাজে বলা যায় না।' তাঁর হুঁশিয়ারি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে ব্যাহত করার চেষ্টা হলে শক্ত হাতে তার মোকাবিলা হবে।'

বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের পাল্টা অভিযোগ, 'বিজেপির রথে ক্রমাগত বাধা দিয়ে ওই দলকেই আরও অক্সিজেন জোগাচ্ছে তৃণমূল সরকার।' বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বিজেপির তৈরি করে দেওয়া সংলাপেই লিপ দিয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দু'জনেই একই পথের পথিক।'

আদালতের বক্তব্য, ২৯ অক্টোবর যখন বিজেপি রথযাত্রার জন্য আবেদন করেছিল, তখন কোনও গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল না। আদালতে মামলা এবং ৫ ডিসেম্বর নির্দেশ দেওয়ার পর একটি জেলার এসপি-ডিএম-এর কাছ থেকে গোয়েন্দা রিপোর্ট এল। অথচ বিজেপি বারবার আবেদনের চিঠি দেওয়ার পরেও কোনও জবাব পর্যন্ত দেওয়া হল না রাজ্যের তরফে।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল