ভবানীপুরে ভোটে বাধা নেই, কমিশনকে জরিমানা হাইকোর্টের
ভবানীপুর উপ নির্বাচন (Bhawanipur By Poll) করতে কোনও বাধা নেই। মঙ্গলবার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট সূচি মেনেই ভোট হবে ভবানীপুরে। জানুন বিস্তারিত...
EiSamay.Com 28 Sep 2021, 11:39 am
হাইলাইটস
- ভবানীপুর উপ নির্বাচনে আর কোনও বাধা রইল না।
- নির্বাচন কমিশনকে কিছু জরিমানা করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর।
- ১৭ নভেম্বর কমিশনকে করা জরিমানা নিয়ে শুনানি হবে।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ভবানীপুর উপ নির্বাচনে আর কোনও বাধা রইল না। মঙ্গলবার ভবানীপুর উপ নির্বাচন মামলায় এমনটাই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনকে কিছু জরিমানা করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর। এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার রায়দান হয়। অর্থাৎ আগামী পরশু, বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট সূচি মেনেই ভবানীপুরে উপ নির্বাচন হবে। এছাড়াও আদালত জানিয়েছে, মুখ্যসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কিছু পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। কমিশন এবং মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। আগামী ১৭ নভেম্বর কমিশনকে করা জরিমানা নিয়ে শুনানি হবে।
কেন এই মামলা
এখনই রাজ্যে ভোট না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। এমনটাই উল্লেখ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যসচিব। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, ভবানীপুর আসনের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিল বিরোধী দলগুলি। এরপরই হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এর আগে আদালতে দাবি করেছিলেন, মুখ্যসচিবের ওই বক্তব্য নির্বাচন কমিশন তার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে। ফলে এর দায় কমিশনকেই নিতে হবে। তাঁর বক্তব্য ছিল, বেছে বেছে একটি বিধানসভার জন্য মুখ্যসচিব এমন সুপারিশ করতে পারেন না। মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, নির্বাচন না হলে সাংবিধানক সংকট তৈরি হবে, এমন কোনও কথা নেই। একজনকে মুখ্যমন্ত্রীকে করার দায় মুখ্যসচিবের নয়। সংবিধান সকলের জন্য সমান। প্রথম দফায় দ্রুত শুনানির আর্জি স্থগিত রাখে আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
ব্যাটলগ্রাউন্ড ভবানীপুরে উপ নির্বাচন শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে আইনি জটিলতা থেকে মুক্ত হল আসন। এর আগে এই মামলায় গত শুক্রবার একটি ত্রুটিপূর্ণ হলফনামা জমা দেয় কমিশন। আদালতের তোলা প্রশ্নের জবাব সেই হলফনামায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বিচারপতিরা। এমনকী ভবানীপুরে উপ নির্বাচন নিয়ে কমিশনের জমা করা সেই হলফনামা গ্রহণ করা হয়নি বলেও জানা যায়। শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায় রায়দান। তবে এই মামলার শুনানিতে আরও একটি প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, গোটা দেশে ভোটে জিতে আসন অন্যের জন্য ছেড়ে দেওয়া বা নতুন করে ভোট করানোর পরিস্থিতি তৈরির প্রবণতা রয়েছে। এর জন্য সাধারণ মানুষের টাকা খরচ হচ্ছে। আদালতের প্রশ্ন, এমন ক্ষেত্রে নতুন করে ভোটের খরচ কেন জনগণের টাকায় হবে? আগামী দিনে বৃহত্তর স্বার্থে এই নিয়ে শুনানি হবে বলেও জানায় কলকাতা হাইকোর্ট।
কেন এই মামলা
এখনই রাজ্যে ভোট না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। এমনটাই উল্লেখ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যসচিব। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, ভবানীপুর আসনের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিল বিরোধী দলগুলি। এরপরই হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এর আগে আদালতে দাবি করেছিলেন, মুখ্যসচিবের ওই বক্তব্য নির্বাচন কমিশন তার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে। ফলে এর দায় কমিশনকেই নিতে হবে। তাঁর বক্তব্য ছিল, বেছে বেছে একটি বিধানসভার জন্য মুখ্যসচিব এমন সুপারিশ করতে পারেন না। মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, নির্বাচন না হলে সাংবিধানক সংকট তৈরি হবে, এমন কোনও কথা নেই। একজনকে মুখ্যমন্ত্রীকে করার দায় মুখ্যসচিবের নয়। সংবিধান সকলের জন্য সমান। প্রথম দফায় দ্রুত শুনানির আর্জি স্থগিত রাখে আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
ব্যাটলগ্রাউন্ড ভবানীপুরে উপ নির্বাচন শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে আইনি জটিলতা থেকে মুক্ত হল আসন। এর আগে এই মামলায় গত শুক্রবার একটি ত্রুটিপূর্ণ হলফনামা জমা দেয় কমিশন। আদালতের তোলা প্রশ্নের জবাব সেই হলফনামায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বিচারপতিরা। এমনকী ভবানীপুরে উপ নির্বাচন নিয়ে কমিশনের জমা করা সেই হলফনামা গ্রহণ করা হয়নি বলেও জানা যায়। শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায় রায়দান। তবে এই মামলার শুনানিতে আরও একটি প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, গোটা দেশে ভোটে জিতে আসন অন্যের জন্য ছেড়ে দেওয়া বা নতুন করে ভোট করানোর পরিস্থিতি তৈরির প্রবণতা রয়েছে। এর জন্য সাধারণ মানুষের টাকা খরচ হচ্ছে। আদালতের প্রশ্ন, এমন ক্ষেত্রে নতুন করে ভোটের খরচ কেন জনগণের টাকায় হবে? আগামী দিনে বৃহত্তর স্বার্থে এই নিয়ে শুনানি হবে বলেও জানায় কলকাতা হাইকোর্ট।