দখল কোয়ার্টারের তথ্য না দেওয়ায় জরিমানা ২৫ হাজার
জোর করে সরকারি আবাসন,কোয়ার্টার দখলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ বার Calcutta High Court-এর কাছে জরিমানার মুখে পড়তে হল রাজ্যকে। বার বার নির্দেশের পরও তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে।
Ei Samay 24 Sep 2021, 2:48 pm
হাইলাইটস
- বার বার নির্দেশের পরেও তথ্য দিতে না পারায় রাজ্যকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করলো কলকাতা হাইকোর্ট।
- ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এ নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
- রাজ্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার চূড়ান্ত তালিকা আদালতে পেশ করতে বেশ কয়েক বারই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই সময়: সরকারি কোয়ার্টার কারা অন্যায় ভাবে দখল করে রয়েছেন এবং তা নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বার বার নির্দেশের পরেও সেই তথ্য দিতে না পারায় রাজ্যকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করলো কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এ নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সরকারি আবাসন এবং সরকারি সম্পত্তি কত জন দখল করে রেখেছেন অবসরের পরেও, রাজ্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার চূড়ান্ত তালিকা আদালতে পেশ করতে বেশ কয়েক বারই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত শুনানিতেও বিরক্ত হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে, বিভিন্ন দফতর দফায় দফায় হলফনামা দিলেও রাজ্য কেন সামগ্রিক রিপোর্ট দিচ্ছে না!
এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারী চন্দ্রাবতী দেবী স্বামীর মৃত্যুর ২৭ বছর পরেও সরকারি কোয়ার্টার দখল করে থাকায় তাঁর পারিবারিক পেনশন কমে যায়। এই নিয়ে প্রথমে ট্রাইব্যুনালে মামলা করলেও সুফল পাননি বৃদ্ধা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর স্বামী মফিল তেওয়ারি ১৯৯৩ সালে পুলিশের চাকরি থেকে অবসর নেন। রাজ্য সরকারের দাবি, স্বামীর অবসর এবং মৃত্যুর পরেও সরকারি আবাসনে রয়েছেন চন্দ্রাবতী, তাই তাঁর পেনশন কম। তবে এরই মধ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর তাঁকে কোয়ার্টার থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
এ দিন ওই বৃদ্ধার আইনজীবী অলোক ঘোষ অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার ১৯৮৪ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট অকুপেন্সি আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা সঠিক নয়। বিনা নোটিসে বেআইনি ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানতে চান, শুধুমাত্র মামলাকারীর ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য নাকি সব ক্ষেত্রেই? কেন সরকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যের জিপি অনির্বাণ রায়কে। তিনি জরিমানা মকুবের আবেদন করলেও আদালত তা খারিজ করে। ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানিতে রাজ্য রিপোর্ট দেয় কি না, এখন সেটাই দেখার।
এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারী চন্দ্রাবতী দেবী স্বামীর মৃত্যুর ২৭ বছর পরেও সরকারি কোয়ার্টার দখল করে থাকায় তাঁর পারিবারিক পেনশন কমে যায়। এই নিয়ে প্রথমে ট্রাইব্যুনালে মামলা করলেও সুফল পাননি বৃদ্ধা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর স্বামী মফিল তেওয়ারি ১৯৯৩ সালে পুলিশের চাকরি থেকে অবসর নেন। রাজ্য সরকারের দাবি, স্বামীর অবসর এবং মৃত্যুর পরেও সরকারি আবাসনে রয়েছেন চন্দ্রাবতী, তাই তাঁর পেনশন কম। তবে এরই মধ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর তাঁকে কোয়ার্টার থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
এ দিন ওই বৃদ্ধার আইনজীবী অলোক ঘোষ অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার ১৯৮৪ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট অকুপেন্সি আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা সঠিক নয়। বিনা নোটিসে বেআইনি ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানতে চান, শুধুমাত্র মামলাকারীর ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য নাকি সব ক্ষেত্রেই? কেন সরকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যের জিপি অনির্বাণ রায়কে। তিনি জরিমানা মকুবের আবেদন করলেও আদালত তা খারিজ করে। ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানিতে রাজ্য রিপোর্ট দেয় কি না, এখন সেটাই দেখার।