প্রসেনজিৎ বেরা
রবিবার উত্তর কলকাতার রেডিমেড পোশাকের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার হরি সাহা হাটের পুরোনো ব্যবসায়ী নির্মল সাহা বিকিকিনি সামলাতে সামলাতে দেখেন, বিহার থেকে একদল ব্যবসায়ী মাল নিতে এসেছেন। বৃহত্তর কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, নদিয়ার সীমা ছাড়িয়ে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে ব্যবসায়ীরা হরি সাহার হাটে বহু বছর ধরে আসছেন। কিন্তু এখন ট্রেন, বাস চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় অসম-বিহার তো দূর, নদিয়া, বীরভূম, বর্ধমানের ব্যবসায়ীদের আনাগোনা ছিল সীমিত। সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকে অবশ্য জেলার ব্যবসায়ীদের ভিড় বাড়ছিল। নির্মলের কথায়, 'ব্যবসা অন্তত ৭০ শতাংশ ফিরে এসেছে।'
উত্তরে হরি সাহা, দক্ষিণে মেটিয়াবুরুজ আর হাওড়ায় মঙ্গলাহাট - এই তিন পাইকারি বাজার থেকে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ের মতো দূরের রাজ্য ছাড়াও বিহার, ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশের একাংশ ও গোটা পূর্ব ভারতের খুচরো ব্যবসায়ীরা রেডিমেড পোশাক কেনেন। শুধু হরি সাহার হাটে পাইকারি বিকিকিনির ১৭০০ স্থায়ী স্টল রয়েছে। অস্থায়ী ছোট ও ফুটপাথের খুচরো বিক্রেতাদের ধরলে ৮-১০ হাজার ব্যবসায়ী কারবার করেন। এই তিন বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিশ্চিত, ধীরে হলেও পুজোর বাজার ঠিক সময়ে জমে উঠবে।
মঙ্গলাহাট দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় বড় ব্যবসায়ীরা সরাসরি জেলা ও ভিন রাজ্যে মাল পাঠাতেন। এখন প্রশাসন শুধু রাতে হাট খোলার অনুমতি দিয়েছে। দিনে হাট খোলার অনুমতি মিললে খুচরো ব্যবসায়ীদের ঢল নামবে বলে আশা সেখানকার পুরোনো ব্যবসায়ী কানাই পোদ্দারের। ব্যবসায়ীদের সংগঠন হাওড়া হাট সমন্বয় কমিটির সহ সম্পাদক পোড়খাওয়া এই ব্যবসায়ীর কথায়, 'প্রশাসন যদি দিনের বেলায় হাট চালাতে দেয়, তবে পুজোর কেনাবেচা একধাক্কায় বহুগুণ বেড়ে যাবে।'
মেটিয়াবুরুজের হাট থেকে মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড় ইত্যাদি রাজ্যে মাল যায়। এই পাইকারি বাজারে ছোট-বড় প্রায় ৩৫ হাজার ব্যবসায়ী রয়েছেন। ব্যবসা ফিরেছে ৩০-৩৫ শতাংশ। মেটিয়াবুরুজের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রেডিমেড গারমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার ও ট্রেডারস অ্যাসোসিয়েসনের সম্পাদক আলমগীর ফকিরের কথায়, 'মূলত ক্যাজুয়াল পোশাকের ব্যবসা ফিরেছে। ফ্যান্সি পোশাকের চাহিদা এখনও তৈরি হয়নি। তবে আগের তুলনায় পরিস্থিতি ভালো।' মেটিয়াবুরুজের হাটের ৮০-৮৫ শতাংশ ব্যবসা ভিন রাজ্যের সঙ্গে। তাই ট্রেন চললে এবং অন্য রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে উৎসবের মরসুমে ব্যবসা আগের জায়গায় ফিরবে বলে মনে করছেন আলমগীর।
লকডাউনে রাজ্যের লক্ষাধিক দর্জি ওস্তাগর কার্যত কর্মহীন অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু এখন পাইকারি হাটে খুচরো ব্যবসায়ীদের ভিড় বাড়ায় মেটিয়াবুরুজ, মহেশতলা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওস্তাগরদের কাছে বাড়ছে বরাত। ওস্তাগর ও দর্জিদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল টেলার্স ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক আসাদুল্লা গায়েনের বক্তব্য, 'পুজোর অর্ডার কতটা আসবে, তা নিয়ে এক সময়ে সবাই খুব দুশ্চিন্তায় ছিল। কিন্তু জুলাইয়ের শেষ, অগস্ট থেকে কাজ শুরু হয়। এখন ভালো অর্ডার আসছে।'
রবিবার উত্তর কলকাতার রেডিমেড পোশাকের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার হরি সাহা হাটের পুরোনো ব্যবসায়ী নির্মল সাহা বিকিকিনি সামলাতে সামলাতে দেখেন, বিহার থেকে একদল ব্যবসায়ী মাল নিতে এসেছেন। বৃহত্তর কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, নদিয়ার সীমা ছাড়িয়ে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে ব্যবসায়ীরা হরি সাহার হাটে বহু বছর ধরে আসছেন। কিন্তু এখন ট্রেন, বাস চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় অসম-বিহার তো দূর, নদিয়া, বীরভূম, বর্ধমানের ব্যবসায়ীদের আনাগোনা ছিল সীমিত। সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকে অবশ্য জেলার ব্যবসায়ীদের ভিড় বাড়ছিল। নির্মলের কথায়, 'ব্যবসা অন্তত ৭০ শতাংশ ফিরে এসেছে।'
উত্তরে হরি সাহা, দক্ষিণে মেটিয়াবুরুজ আর হাওড়ায় মঙ্গলাহাট - এই তিন পাইকারি বাজার থেকে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ের মতো দূরের রাজ্য ছাড়াও বিহার, ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশের একাংশ ও গোটা পূর্ব ভারতের খুচরো ব্যবসায়ীরা রেডিমেড পোশাক কেনেন। শুধু হরি সাহার হাটে পাইকারি বিকিকিনির ১৭০০ স্থায়ী স্টল রয়েছে। অস্থায়ী ছোট ও ফুটপাথের খুচরো বিক্রেতাদের ধরলে ৮-১০ হাজার ব্যবসায়ী কারবার করেন। এই তিন বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিশ্চিত, ধীরে হলেও পুজোর বাজার ঠিক সময়ে জমে উঠবে।
মঙ্গলাহাট দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় বড় ব্যবসায়ীরা সরাসরি জেলা ও ভিন রাজ্যে মাল পাঠাতেন। এখন প্রশাসন শুধু রাতে হাট খোলার অনুমতি দিয়েছে। দিনে হাট খোলার অনুমতি মিললে খুচরো ব্যবসায়ীদের ঢল নামবে বলে আশা সেখানকার পুরোনো ব্যবসায়ী কানাই পোদ্দারের। ব্যবসায়ীদের সংগঠন হাওড়া হাট সমন্বয় কমিটির সহ সম্পাদক পোড়খাওয়া এই ব্যবসায়ীর কথায়, 'প্রশাসন যদি দিনের বেলায় হাট চালাতে দেয়, তবে পুজোর কেনাবেচা একধাক্কায় বহুগুণ বেড়ে যাবে।'
মেটিয়াবুরুজের হাট থেকে মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড় ইত্যাদি রাজ্যে মাল যায়। এই পাইকারি বাজারে ছোট-বড় প্রায় ৩৫ হাজার ব্যবসায়ী রয়েছেন। ব্যবসা ফিরেছে ৩০-৩৫ শতাংশ। মেটিয়াবুরুজের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রেডিমেড গারমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার ও ট্রেডারস অ্যাসোসিয়েসনের সম্পাদক আলমগীর ফকিরের কথায়, 'মূলত ক্যাজুয়াল পোশাকের ব্যবসা ফিরেছে। ফ্যান্সি পোশাকের চাহিদা এখনও তৈরি হয়নি। তবে আগের তুলনায় পরিস্থিতি ভালো।' মেটিয়াবুরুজের হাটের ৮০-৮৫ শতাংশ ব্যবসা ভিন রাজ্যের সঙ্গে। তাই ট্রেন চললে এবং অন্য রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে উৎসবের মরসুমে ব্যবসা আগের জায়গায় ফিরবে বলে মনে করছেন আলমগীর।
লকডাউনে রাজ্যের লক্ষাধিক দর্জি ওস্তাগর কার্যত কর্মহীন অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু এখন পাইকারি হাটে খুচরো ব্যবসায়ীদের ভিড় বাড়ায় মেটিয়াবুরুজ, মহেশতলা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওস্তাগরদের কাছে বাড়ছে বরাত। ওস্তাগর ও দর্জিদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল টেলার্স ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক আসাদুল্লা গায়েনের বক্তব্য, 'পুজোর অর্ডার কতটা আসবে, তা নিয়ে এক সময়ে সবাই খুব দুশ্চিন্তায় ছিল। কিন্তু জুলাইয়ের শেষ, অগস্ট থেকে কাজ শুরু হয়। এখন ভালো অর্ডার আসছে।'