এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ১২ বছর পর পেনশন চালু হল ইরা বসুর (Ira Basu)। পেনশনে ছাড়পত্র পেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শ্যালিকা। হাতে পেনশনের নথি পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইরা বসু। পাশাপাশি, নিজের সমস্ত সম্পত্তির নমিনি হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন নিজের বোনঝি অর্থাৎ বুদ্ধদেব (Budhhadeb Bhattacharya) ও মীরা ভট্টাচার্যের কন্যা সুচেতনাকে। খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুচেতনা। বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন ইরা বসুর কোনও সম্পত্তি তিনি গ্রহণ করবেন না। একইসঙ্গে সুচেতনা (Suchetana Bhattacharya) জানিয়েছেন, বুদ্ধদেব ও মীরা ভট্টাচার্য ইরা বসুর ব্যবহারে অত্যন্ত বিরক্ত। বুধবার সাংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতিতে সুচেতনা ভট্টাচার্য বলেন, 'বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে আমি অবহিত হলাম যে অর্থদফতর ইরা বসুর পেনশন চালু করেছে। সুখের খবর। এও জানতে পারলাম যে আমাকে তিনি নমিনি করেছেন। আমি এই মর্মে দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই যে ইরা বসুর স্থাবর ও অস্থাবর কোনও সম্পত্তি আমি কোনওভাবে কোনওদিনই গ্রহণ করব না।' একইসঙ্গে সুচেতনা বলেন, 'ইরা বসুর বর্তমান ব্যবহারে আমার বাবা-মা এবং আমি অত্যন্ত বিরক্ত হচ্ছি। আশা করব তিনি সুস্থ নীরোগ জীবনযাপন করবেন এবং অনুরোধ করব তিনি যেন ভবিষ্যতে তাঁর কোনও কার্যকলাপে আমাদের নাম অন্তর্ভুক্ত না করেন।' সুচেতনার এই বিবৃতিতে কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়, ইরা বসুর সঙ্গে কোনও সম্পর্কই রাখতে চায় না ভট্টাচার্য পরিবার।
উল্লেখ্য, এর আগে ইরা বসু সম্পর্কে বিবৃতি দিয়েছিলেন খোদ মীরা ভট্টাচার্য। ইরাকে নিজের বোন হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি বলেছিলেন, 'ওঁর কোনও অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা নেই। চাইলেই নিজের বাড়িতে ফিরে বসবাস করতে পারেন। অজানা কারণে ফুটপাতে বসবাস করছেন ইরা। তবে প্রাপ্তবয়স্ক যে কোনও মানুষের নিজের মতো বাঁচার এই অধিকার আছে।' বোনের উপর নিজের সমস্ত ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, 'ইরা স্বেচ্ছায় এই জীবন বেছে নিয়েছেন। তিনি অতি অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মেধাবী ও শিক্ষিতা। দীর্ঘকাল শিক্ষকতা করেছেন খড়দহ প্রিয়নাথ স্কুলে। ওঁর নিজস্ব বাড়ি আছে। ঠিকানা বিবি ৮৪ সল্টলেক, কলকাতা। ওঁর কোনও অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা নেই। উনি চাইলেই নিজের বাড়িতে ফিরে বসবাস করতে পারেন। ' একইসঙ্গে এমন পরিস্থিতিতে পারিবারিক সম্মানহানির ক্ষোভও ধরা পড়ে মীরার কথায়। তিনি বলেন, 'ইরা পরিবারের কারও কথা কোনওদিন শোনেননি। নিজের ইচ্ছামতো জীবনযাপন করেছেন। এই আচরণের জন্য উনি পরিবারের সকলকে অসম্মানিত করছেন।’
প্রসঙ্গত, পরনে ধুলো কাদা মাখা নোংরা নাইটি, উস্কোখুস্কো, জটপড়া চুল। ডানলপ মোড়ের বাসিন্দা ওই মহিলা যখন নিজেকে বুদ্ধদেবের শ্যালিকা বসে দাবি করেন তখন সকলেই হতবাক হয়ে যায়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা থাকছেন ফুটপাতে? কী কারণে তাঁর এমন অবস্থা। খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। জানা যায় ডানলপ মোড়ের ফুটপাথই তাঁর বর্তমান ঠিকানা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালে। কিন্তু, সেখানে না থেকে উনি ফিরে আসেন নিজের খড়দহের বাড়িতে। জানা যায়, প্রাক্তন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা ২০০৯ থেকে পেনশন পাননি। সেই পেনশন জটিলতাই কাটল এদিন। ২০০৯ সালের ১ মে অবসর গ্রহণ নিয়েছিলেন ইরাদেবী। ইরা বসুর পেনশনে ছাড়পত্র দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। হাসপাতালে দেখা করতে গিয়ে পেনশন সমস্যার শীঘ্র সমাধান হবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাসে ১৩ হাজার ৯৮৫ টাকা পেনশন পাবেন তিনি। ১২ বছরের বকেয়া পেনশন এবং প্রাপ্য গ্র্যাচুইটিও তাঁকে দেওয়া হবে। সেই পেনশনের কাগজে তিনি নমিনি করেছিলেন সুচেতনা ভট্টাচার্যকে। কিন্তু, সেই সম্পত্তি নিয়ে অগ্রাহ্য করলে বুদ্ধ-কন্যা।
উল্লেখ্য, এর আগে ইরা বসু সম্পর্কে বিবৃতি দিয়েছিলেন খোদ মীরা ভট্টাচার্য। ইরাকে নিজের বোন হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি বলেছিলেন, 'ওঁর কোনও অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা নেই। চাইলেই নিজের বাড়িতে ফিরে বসবাস করতে পারেন। অজানা কারণে ফুটপাতে বসবাস করছেন ইরা। তবে প্রাপ্তবয়স্ক যে কোনও মানুষের নিজের মতো বাঁচার এই অধিকার আছে।' বোনের উপর নিজের সমস্ত ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, 'ইরা স্বেচ্ছায় এই জীবন বেছে নিয়েছেন। তিনি অতি অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মেধাবী ও শিক্ষিতা। দীর্ঘকাল শিক্ষকতা করেছেন খড়দহ প্রিয়নাথ স্কুলে। ওঁর নিজস্ব বাড়ি আছে। ঠিকানা বিবি ৮৪ সল্টলেক, কলকাতা। ওঁর কোনও অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা নেই। উনি চাইলেই নিজের বাড়িতে ফিরে বসবাস করতে পারেন। ' একইসঙ্গে এমন পরিস্থিতিতে পারিবারিক সম্মানহানির ক্ষোভও ধরা পড়ে মীরার কথায়। তিনি বলেন, 'ইরা পরিবারের কারও কথা কোনওদিন শোনেননি। নিজের ইচ্ছামতো জীবনযাপন করেছেন। এই আচরণের জন্য উনি পরিবারের সকলকে অসম্মানিত করছেন।’
প্রসঙ্গত, পরনে ধুলো কাদা মাখা নোংরা নাইটি, উস্কোখুস্কো, জটপড়া চুল। ডানলপ মোড়ের বাসিন্দা ওই মহিলা যখন নিজেকে বুদ্ধদেবের শ্যালিকা বসে দাবি করেন তখন সকলেই হতবাক হয়ে যায়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা থাকছেন ফুটপাতে? কী কারণে তাঁর এমন অবস্থা। খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। জানা যায় ডানলপ মোড়ের ফুটপাথই তাঁর বর্তমান ঠিকানা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালে। কিন্তু, সেখানে না থেকে উনি ফিরে আসেন নিজের খড়দহের বাড়িতে। জানা যায়, প্রাক্তন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা ২০০৯ থেকে পেনশন পাননি। সেই পেনশন জটিলতাই কাটল এদিন। ২০০৯ সালের ১ মে অবসর গ্রহণ নিয়েছিলেন ইরাদেবী। ইরা বসুর পেনশনে ছাড়পত্র দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। হাসপাতালে দেখা করতে গিয়ে পেনশন সমস্যার শীঘ্র সমাধান হবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাসে ১৩ হাজার ৯৮৫ টাকা পেনশন পাবেন তিনি। ১২ বছরের বকেয়া পেনশন এবং প্রাপ্য গ্র্যাচুইটিও তাঁকে দেওয়া হবে। সেই পেনশনের কাগজে তিনি নমিনি করেছিলেন সুচেতনা ভট্টাচার্যকে। কিন্তু, সেই সম্পত্তি নিয়ে অগ্রাহ্য করলে বুদ্ধ-কন্যা।