অ্যাপশহর

জল্পনায় শিলমোহর, তৃণমূলে ফিরলেন সব্যসাচী দত্ত

পুরনো দলে ফিরলেন সব্যসাচী দত্ত... বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়রের পুরনো দলে ফেরত আসা নিয়ে ভোটের পর থেকেই সরগরম ছিল বঙ্গ রাজনীতির ময়দান।

EiSamay.Com 8 Oct 2021, 4:46 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন ধরে বেসুরো ঠেকছিল তাঁর সুর। অবশেষে ঘরওয়াপসি সব্যসাচী দত্তের। বিধানসভায় মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন সব্যসাচী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথের দিনই পুরনো দলে ফিরলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র। দুর্গাপুজো থেকে লখিমপুর খেরি নিয়ে তাঁর সাম্প্রতিক বক্তব্যে BJP বিরোধী সুরই ধরা পড়ছিল। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবারই পুরনো দলে ফিরলেন সব্যসাচী দত্ত।
EiSamay.Com sabyasachi partha


পদ্মশিবিরের রক্তক্ষরণ অব্যহত। ক্ষত আরও গাঢ় করে এবার ফের জোড়াফুলে আরও এক নেতা। ভোটের ফল বেরনোর পর মুকুল রায়ের পদ্ম শিবির ছেড়ে পুরনো দলে ফিরতেই একের পর এক তৃণমূল ত্যাগী BJPতে যোগ দেওয়া নেতাদের গলায় ঘরে ফেরার সুর। এদিন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরেই তৃণমূলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন সব্যসাচী। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন ফিরহাদ হাকিম ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

বিধায়ক হিসেবে শপথ মমতার, সঙ্গে আরও ২ বিজয়ী

দলে যোগ দেওয়ার পর সব্যসাচী দত্ত বলেন, 'BJP বিরোধী আন্দোলনের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। দলের সঙ্গে মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, যা থেকে আবেগতাড়িত হয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। দল যেভাবে বলবে সেভাবেই আগামী দিনে কাজ করব। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের আবার আমাকে দলে গ্রহণ করলেন। বাকিরাও সবাই স্বাগত জানালেন। ' সূত্রের খবর, সব্যসাচীর দলে ফেরা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই দলের মধ্যে চলছিল আলোচনা। এমনকী দলীয় সূত্রে খবর, সব্যসাচী দত্তের প্রত্যাবর্তন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সুজিত বসুকে ফোন করেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। দলনেত্রীর নিজে ফোন করায় কোনও নত মস্তকে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বলে খবর।

জোড়া টিকা নিলেই সিঁদুর খেলা-অঞ্জলিতে ছাড়, পুজো নিয়ে গাইডলাইন হাইকোর্টের

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দুর্গাপুজোর আগে বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন। ২মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে সব্যসাচী দত্তকে সেভাবে সক্রিয়ভাবে BJP-র হয়ে ময়দানে নামতে দেখা যায়নি। তারপরই গত কয়েকদিন ধরে প্রথমে দুর্গাপুজো নিয়ে পদ্মশিবিরকে কটাক্ষ করতে শোনা যায় প্রাক্তন বিধাননগর মেয়রকে। তারপর লখিমপুর খৈরির ঘটনা নিয়ে সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘কোনও আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়া পদ্ধতি হতে পারে না। এটা গণতান্ত্রিক দেশ, এত তালিবান নয়। লখিমপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক, দোষীদের ফাঁসি হওয়া উচিত।' উল্লেখ্য, গতকাল BJPর সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন যে, ‘১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপই করেছে।’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল