মমতার পাশেই বাম ও কংগ্রেস
মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Banerjee) বদলি বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাশে দাঁড়াল বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।
Ei Samay 30 May 2021, 7:22 am
হাইলাইটস
- মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে বদলি করা ঘিরে বিতর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড
- সংবিধানের উপর 'ভয়ঙ্কর আঘাত' বলে মনে করছে কংগ্রেস
- রাজ্য সিপিএম নেতৃত্বও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে
এই সময়: মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে বদলি করা ঘিরে বিতর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংবিধানের উপর 'ভয়ঙ্কর আঘাত' বলে মনে করছে কংগ্রেস। রাজ্য সিপিএম নেতৃত্বও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে। দিনকয়েক আগেই আলাপনের কার্যকালের মেয়াদ বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। কোভিড পরিস্থিতিতে কাজের সুবিধার জন্য মমতার প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁর কার্যকাল বেড়েছিল তিন মাস।
এরই মধ্যে শুক্রবার ইয়াস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে কলাইকুন্ডায় পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে রিভিউ মিটিং ছিল। কিন্তু মমতা মিটিংয়ে যোগ দেননি। কলাইকুন্ডা পৌঁছে মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষেই দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে রওনা হন। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে তাবড় বিজেপি নেতা মমতাকে নিশানা করে ময়দানে নেমে পড়েন। এ সবের মধ্যেই আলাপনকে আচমকা দিল্লিতে ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে বদলির চিঠি আসে শুক্র-সন্ধ্যায়। এই দপ্তরটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অধীন। মুখ্যসচিবের কার্যকাল বাড়ানো সত্ত্বেও কেন এই 'ইউ-টার্ন', প্রধানমন্ত্রী ও সরকারকে তা প্রকাশ্যে জানাতে হবে বলে শনিবার দীর্ঘ বিবৃতিতে দাবি করেছেন কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর দিনকয়েক বাদে নারদ মামলায় আচমকা রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ তৃণমূলের তিন বিধায়কের গ্রেপ্তারি নিয়েও সিবিআইয়ের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেস। কিন্তু আলাপন-বিতর্কে মোদী সরকারকে আরও জোরালো ভাষায় তুলোধোনা করেছে তারা। পাশাপাশি রেখেছে নারদের উল্লেখও।
বিবৃতিতে সুরজেওয়ালা লিখেছেন - পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে আচমকা একতরফা ভাবে 'রি-কল' করার সিদ্ধান্ত দেশের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। চার দিন আগে এই মুখ্যসচিবকেই তিন মাসের এক্সটেনশন দিয়েছে কেন্দ্র। দেশের সংবিধান ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরে এ এক ভয়ঙ্কর আঘাত। আইএএস, আইপিএস অফিসারদের কেন্দ্র এ রকম একতরফা ভাবে 'রি-কল' করলে দেশে নৈরাজ্য তৈরি হবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন সুরজেওয়ালা। এতে সংবিধানও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, 'রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এ ভাবে পদচ্যুত করা হলে কোনও আইএএস বা আইপিএস অফিসার রাজ্য সরকারের নির্দেশ শুনবেন কেন? কেন রাজ্য সরকারের নীতি ও প্রকল্প রূপায়ণ করবেন?'
কলাইকুন্ডার বৈঠকই কেন্দ্র-রাজ্যের এই সংঘাতের কারণ বলে মনে করছেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, 'এই ঘটনা অপ্রীতিকর। যে অফিসারের কার্যকালের মেয়াদ কয়েক দিন আগে বাড়ানো হলো, তাঁকেই আবার বলা হচ্ছে, তুমি এখনই কেন্দ্রের কাজে যোগ দাও। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েই ওই আমলার এক্সটেনশন হয়েছিল। আমার ধারণা, কলাইকুন্ডার বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি এই সংঘাত তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বৈঠকে কাউকে ডাকতেই পারেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের পরে গুজরাটে গিয়ে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতাকে ডাকেননি। কাউকে খাতির করব, কাউকে করব না, এটা ঠিক নয়।'
সমালোচনায় সরব সিপিএম-ও। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'কেন্দ্র গা-জোয়ারি করছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে মুখ্যসচিবের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। মেয়াদ বৃদ্ধিও হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করছি। রাজ্যের উচিত এই নির্দেশ অমান্য করা।'
মমতার পাশে দাঁড়িয়েছে নকশালপন্থী সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-ও। লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য টুইটে লেখেন - ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত রাজ্য থেকে এই ভাবে মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠিয়ে আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মতো আচরণ করছে কেন্দ্র। মোদী-শাহের বাংলা দখলের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এখন মানুষকে এই ভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ইস্যুতে লেখালিখি শুরু হয়েছে। কলাইকুন্ডার বৈঠক নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতাকে নিশানা করেছিল। শনিবার আলাপন-বিতর্কে নেটিজেনরা বিজেপিকে নিশানা করেছেন। এক সময়ে এই ইস্যু টুইটারে 'ট্রেন্ড' করে। 'মোদীর পদত্যাগ'-এর দাবিও ট্রেন্ডিং হয়।
এরই মধ্যে শুক্রবার ইয়াস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে কলাইকুন্ডায় পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে রিভিউ মিটিং ছিল। কিন্তু মমতা মিটিংয়ে যোগ দেননি। কলাইকুন্ডা পৌঁছে মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষেই দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে রওনা হন। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে তাবড় বিজেপি নেতা মমতাকে নিশানা করে ময়দানে নেমে পড়েন। এ সবের মধ্যেই আলাপনকে আচমকা দিল্লিতে ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে বদলির চিঠি আসে শুক্র-সন্ধ্যায়। এই দপ্তরটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অধীন। মুখ্যসচিবের কার্যকাল বাড়ানো সত্ত্বেও কেন এই 'ইউ-টার্ন', প্রধানমন্ত্রী ও সরকারকে তা প্রকাশ্যে জানাতে হবে বলে শনিবার দীর্ঘ বিবৃতিতে দাবি করেছেন কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর দিনকয়েক বাদে নারদ মামলায় আচমকা রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ তৃণমূলের তিন বিধায়কের গ্রেপ্তারি নিয়েও সিবিআইয়ের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেস। কিন্তু আলাপন-বিতর্কে মোদী সরকারকে আরও জোরালো ভাষায় তুলোধোনা করেছে তারা। পাশাপাশি রেখেছে নারদের উল্লেখও।
বিবৃতিতে সুরজেওয়ালা লিখেছেন - পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে আচমকা একতরফা ভাবে 'রি-কল' করার সিদ্ধান্ত দেশের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। চার দিন আগে এই মুখ্যসচিবকেই তিন মাসের এক্সটেনশন দিয়েছে কেন্দ্র। দেশের সংবিধান ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরে এ এক ভয়ঙ্কর আঘাত। আইএএস, আইপিএস অফিসারদের কেন্দ্র এ রকম একতরফা ভাবে 'রি-কল' করলে দেশে নৈরাজ্য তৈরি হবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন সুরজেওয়ালা। এতে সংবিধানও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, 'রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এ ভাবে পদচ্যুত করা হলে কোনও আইএএস বা আইপিএস অফিসার রাজ্য সরকারের নির্দেশ শুনবেন কেন? কেন রাজ্য সরকারের নীতি ও প্রকল্প রূপায়ণ করবেন?'
কলাইকুন্ডার বৈঠকই কেন্দ্র-রাজ্যের এই সংঘাতের কারণ বলে মনে করছেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, 'এই ঘটনা অপ্রীতিকর। যে অফিসারের কার্যকালের মেয়াদ কয়েক দিন আগে বাড়ানো হলো, তাঁকেই আবার বলা হচ্ছে, তুমি এখনই কেন্দ্রের কাজে যোগ দাও। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েই ওই আমলার এক্সটেনশন হয়েছিল। আমার ধারণা, কলাইকুন্ডার বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি এই সংঘাত তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বৈঠকে কাউকে ডাকতেই পারেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের পরে গুজরাটে গিয়ে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতাকে ডাকেননি। কাউকে খাতির করব, কাউকে করব না, এটা ঠিক নয়।'
সমালোচনায় সরব সিপিএম-ও। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'কেন্দ্র গা-জোয়ারি করছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে মুখ্যসচিবের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। মেয়াদ বৃদ্ধিও হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করছি। রাজ্যের উচিত এই নির্দেশ অমান্য করা।'
মমতার পাশে দাঁড়িয়েছে নকশালপন্থী সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-ও। লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য টুইটে লেখেন - ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত রাজ্য থেকে এই ভাবে মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠিয়ে আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মতো আচরণ করছে কেন্দ্র। মোদী-শাহের বাংলা দখলের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এখন মানুষকে এই ভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ইস্যুতে লেখালিখি শুরু হয়েছে। কলাইকুন্ডার বৈঠক নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতাকে নিশানা করেছিল। শনিবার আলাপন-বিতর্কে নেটিজেনরা বিজেপিকে নিশানা করেছেন। এক সময়ে এই ইস্যু টুইটারে 'ট্রেন্ড' করে। 'মোদীর পদত্যাগ'-এর দাবিও ট্রেন্ডিং হয়।