অ্যাপশহর

পচা খাবার, বাতি নিভল রেস্তোরাঁর

অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করার অভিযোগে শহর কলকাতার একটি নামী রেস্তোরাঁ বন্ধ করার নির্দেশ দিল আদালত৷

Ei Samay 13 Jul 2017, 7:47 am
এই সময়: অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করার অভিযোগে শহর কলকাতার একটি নামী রেস্তোরাঁ বন্ধ করার নির্দেশ দিল আদালত৷ একই সঙ্গে দমদমের মতিঝিল রোডের ওই অভিজাত রেস্তোরাঁ ইন্ডিয়া লর্ডের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি)৷ ডিজি (ইবি) বিজয়কুমার জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল ওই রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে৷ তার ভিত্তিতেই গত মে মাসে সেখানে হানা দেন দক্ষিণ দমদম পুরসভা এবং ইবির কর্মীরা৷ বাজেয়ান্ত করা খাবার পরীক্ষা করে দেখা যায় তা বাসি এবং পচা৷ এই ঘটনার পর ওই হোটেলের ম্যানেজার প্রদীপ রায় এবং চিফ ম্যানেজার তরুণ ঘটককে গ্রেন্তার করে পুলিশ৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় রেস্তোরাঁটি৷
EiSamay.Com barrackpur court ordered to close the restaurant of dumdum as it served rotton food
পচা খাবার, বাতি নিভল রেস্তোরাঁর


এর পর বুধবার ব্যারাকপুর আদালতে রেস্তোরাঁর ফের চালু করার আবেদন জানানো হলেও বিচারক তা নাকচ করে জানান, রেস্তোরাঁ বন্ধই থাকবে৷ অখাদ্য খাবার সরবরাহ করার অপরাধে এর আগে রাজ্যে কোনও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার নজির নেই বলেই ইবি সূত্রে দাবি করা হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, ওই রেস্তোরাঁর মালিক বরুণ চৌধুরী বর্তমানে সুইডেনে রয়েছেন৷ তল্লাশি চালানোর পর বাজেয়ান্ত খাবারের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছিল, এ দিন আদালতে তা -ও জমা দেয় ইবি৷ দক্ষিণ দমদম পুরসভার পুর পারিষদ দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় (জনস্বাস্থ্য ) বুধবার বলেন, ‘আমরা ইন্ডিয়া লর্ডস নামে ওই রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্সও বাতিল করেছি৷’ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মন্তব্য, ‘এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ খুব ভালো কাজ করছে৷ এই অভিযান ও ব্যবস্থা নেওয়ার রীতি আগামী দিনেও চালু থাকবে৷ ’১৯ মে পরিকল্পনা করেই ইন্ডিয়া লর্ডে ঢুকেছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার দুই কর্মী বিশ্বরূপ চট্টোপাধ্যায় এবং অমিত পাল৷ অর্ডার দিয়েছিলেন তন্দুরি চিকেন ও রুমালি রুটি৷ সেই খাবার টেবিলে আসতেই চিকেনের মধ্যে আরশোলা দেখতে পান বিশ্বরূপ৷ তার পরেই তিনি চুপচাপ ফোন করে ঘটনার কথা জানান দক্ষিণ দমদম পুরসভার খাদ্য দন্তরে৷ এর পরেই ইবি কর্তারা এসে তল্লাশি করতে ফ্রিজের মধ্যে রাখা বাসি খাবার, ব্যবহারের দিন পেরিয়ে যাওয়া সর্ষের তেল, গৃহস্থ বাড়িতে ব্যবহূত একাধিক গ্যাস সিলিন্ডার মেলে৷ দোকানের ফুড লাইসেন্স ছিল না, ট্রেড লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণও করা হয়নি৷ এর পরেই দোকানের ম্যানেজার প্রদীপ কুমার রায়কে গ্রেন্তার করা হয়৷ ধৃতের বিরুদ্ধে ৪২০ (প্রতারণা ), ১২০ (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ) ২৭২ (জেনেশুনে ভেজাল খাবার বিক্রি ) সহ আরও বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করে পুর কর্তৃপক্ষ এবং ইবি৷

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল