এই সময়: ৮ মার্চের মধ্যে রাজ্যে আসতে চলেছে আরও ১৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রথম দফায় ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা ছিল রাজ্যে। সোমবার পর্যন্ত এসেছে ১১৮ কোম্পানি। সেই সঙ্গে পাহাড় ও জঙ্গলমহল থেকে কমিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানো হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ২৫ মার্চের মধ্যে রাজ্যে মোট ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট করার জন্য ঢুকে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । রাজ্যে গত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে 'অশান্তি'র আশঙ্কা থাকত পাহাড় ও জঙ্গলমহলে। তাই পাহাড় ও জঙ্গলমহলে আগেভাগেই বাড়তি বাহিনী পাঠিয়ে দিত নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এ বার কমিশন বাহিনী মোতায়েনের সেই বিন্যাসটাকেই বদলে দিল। কমানো হল উত্তরবঙ্গের পাহাড় এলাকা এবং জঙ্গলমহলের দুই জেলা পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের জন্য বরাদ্দ বাহিনী। সর্বাধিক হারে বাড়ানো হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য বরাদ্দ বাহিনীর সংখ্যা। প্রথমে এই জেলার জন্য ৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ করা হয়েছিল। যা আচমকাই বাড়িয়ে এক ধাক্কায় ১৮ কোম্পানি করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়ার জন্যও ২৫ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে। যা করতে গিয়ে পাহাড় থেকে ৯ কোম্পানি এবং জঙ্গলমহলের দুই জেলা ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া থেকে ৪ কোম্পানি করে মোট ৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কমানো হয়েছে।
কিন্তু কেন এই বদল?
নির্বাচন কমিশনের কর্তারা এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি। কমিশন সূত্রের ব্যাখ্যা, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগে থেকেই উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা দু'টিকে সংবেদনশীল অঞ্চল হিসেবে দেখা হচ্ছিল। সম্প্রতি এই দুই জেলাতেই রাজনৈতিক অশান্তি অনেকটাই বেড়েছে। তাই এ বার গোড়া থেকেই নির্বাচন কমিশন বিশেষ সতর্ক। এ জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিন দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। যদিও রাজ্যের শাসকদল কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে মোটেই ভালো চোখে দেখেননি। খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রকাশ্যে। তাঁর অভিযোগ, শাসকদলের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই এই ব্যবস্থা। সোমবারও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় অভিযোগ করেছেন, 'নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। তাই সেখানে তিন দফায় ভোট। এর পিছনে রাজনীতি রয়েছে। সন্দেহ হচ্ছে, বিজেপি অফিস থেকে যে পদক্ষেপ করতে বলা হচ্ছে, তাই করছে কমিশন। এতে কিছু এসে যায় না। প্রতিবাদ আমরা জানাব।'
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।
কিন্তু কেন এই বদল?
নির্বাচন কমিশনের কর্তারা এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি। কমিশন সূত্রের ব্যাখ্যা, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগে থেকেই উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা দু'টিকে সংবেদনশীল অঞ্চল হিসেবে দেখা হচ্ছিল। সম্প্রতি এই দুই জেলাতেই রাজনৈতিক অশান্তি অনেকটাই বেড়েছে। তাই এ বার গোড়া থেকেই নির্বাচন কমিশন বিশেষ সতর্ক। এ জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিন দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। যদিও রাজ্যের শাসকদল কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে মোটেই ভালো চোখে দেখেননি। খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রকাশ্যে। তাঁর অভিযোগ, শাসকদলের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই এই ব্যবস্থা। সোমবারও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় অভিযোগ করেছেন, 'নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। তাই সেখানে তিন দফায় ভোট। এর পিছনে রাজনীতি রয়েছে। সন্দেহ হচ্ছে, বিজেপি অফিস থেকে যে পদক্ষেপ করতে বলা হচ্ছে, তাই করছে কমিশন। এতে কিছু এসে যায় না। প্রতিবাদ আমরা জানাব।'
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।