কমলেশ চৌধুরী
ভয়াবহ বিপর্যয়ের সাক্ষী বাংলা। অচেনা তাণ্ডবের মুখোমুখি রাজধানী কলকাতা। তবু প্রাথমিক ময়নাতদন্ত বলছে, শেষবেলায় উম্পুন নিজের গতি না-বাড়ালে ক্ষতি আরও মারাত্মক হতে পারত। তাতে কিছুটা হলেও রেহাই মিলেছে, অভিমত আবহবিদদের।
পূর্বাভাস কাঁটায় কাঁটায় মিলিয়ে বুধবার বাংলায় তাণ্ডব চালিয়েছে উম্পুন। সুন্দরবনের কাছে বকখালিতে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারে। দুর্যোগ ঠিক কতটা ভয়াবহ, তার প্রমাণ যেন রাতের নিকষ অন্ধকার কলকাতা। দেশের কোনও মেট্রো-শহরে সাম্প্রতিক অতীতে এ ভাবে ধ্বংসলীলা চলেনি।
উপকূলে ঢোকার মুখে বা পরে ঘূর্ণিঝড়ের নিজস্ব গতি কেমন থাকে, তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে বিপর্যয়ের মাত্রা। ১৯৯৯ সালে ওডিশার পারাদ্বীপে আছড়ে পড়া সুপার সাইক্লোনে ক্ষতি হয়েছিল বিপুল। মৃত্যু হয়েছিল দশ হাজার মানুষের। ক্ষতির একটি কারণ ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগের ঝড়। অন্য কারণটি অবশ্যই ভুবনেশ্বর, কটক, পারাদ্বীপের উপর ঘূর্ণিঝড়ের ৩০ ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা। দু’পাশে দু’টি বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের চাপে নড়াচড়া করতে পারেনি সুপার সাইক্লোন।
উম্পুনও যে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হল, তার পিছনেও মায়ানমার লাগোয়া একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের হাত। তার ঘেরাটোপেই ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পর ধীরগতিতে এগিয়েছে উম্পুন। ১৬ মে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সদ্য ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া উম্পুন ছিল দিঘা থেকে ১২০০ কিলোমিটার দূরে। এর ঠিক ১৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয় উম্পুন। এত দ্রুত শক্তিবৃদ্ধি বিশেষ দেখা যায় না। গতি ধীর থাকায় দফায় দফায় শক্তি বাড়ায় ঘূর্ণিঝড়। গতি কতটা কম ছিল? ১৮ মে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দিঘা থেকে উম্পুনের দূরত্ব কমে দাঁড়ায় ৮৬০ কিলোমিটার। অর্থাৎ, ৪৮ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় সরে মাত্র ৩৪০ কিলোমিটার। আবার সেই উম্পুনই বঙ্গোপসাগরে বাঁক নেওয়ার পর গতি বাড়ায়। পরের ৪৮ ঘণ্টায় ৮৬০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে সরাসরি ঢুকে পড়ে বাংলায়। উপকূলে ঢোকার পর গতি আরও বাড়ে। ঘণ্টায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে বনগাঁ হয়ে বাংলাদেশের পথে এগোয় উম্পুন। মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, ‘গতি আর কিছুটা ধীরে হলেই বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালাত ঝড়। তা হলে ক্ষতির বহর আরও বাড়তে পারত।’
ভয়াবহ বিপর্যয়ের সাক্ষী বাংলা। অচেনা তাণ্ডবের মুখোমুখি রাজধানী কলকাতা। তবু প্রাথমিক ময়নাতদন্ত বলছে, শেষবেলায় উম্পুন নিজের গতি না-বাড়ালে ক্ষতি আরও মারাত্মক হতে পারত। তাতে কিছুটা হলেও রেহাই মিলেছে, অভিমত আবহবিদদের।
পূর্বাভাস কাঁটায় কাঁটায় মিলিয়ে বুধবার বাংলায় তাণ্ডব চালিয়েছে উম্পুন। সুন্দরবনের কাছে বকখালিতে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারে। দুর্যোগ ঠিক কতটা ভয়াবহ, তার প্রমাণ যেন রাতের নিকষ অন্ধকার কলকাতা। দেশের কোনও মেট্রো-শহরে সাম্প্রতিক অতীতে এ ভাবে ধ্বংসলীলা চলেনি।
উপকূলে ঢোকার মুখে বা পরে ঘূর্ণিঝড়ের নিজস্ব গতি কেমন থাকে, তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে বিপর্যয়ের মাত্রা। ১৯৯৯ সালে ওডিশার পারাদ্বীপে আছড়ে পড়া সুপার সাইক্লোনে ক্ষতি হয়েছিল বিপুল। মৃত্যু হয়েছিল দশ হাজার মানুষের। ক্ষতির একটি কারণ ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগের ঝড়। অন্য কারণটি অবশ্যই ভুবনেশ্বর, কটক, পারাদ্বীপের উপর ঘূর্ণিঝড়ের ৩০ ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা। দু’পাশে দু’টি বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের চাপে নড়াচড়া করতে পারেনি সুপার সাইক্লোন।
উম্পুনও যে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হল, তার পিছনেও মায়ানমার লাগোয়া একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের হাত। তার ঘেরাটোপেই ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পর ধীরগতিতে এগিয়েছে উম্পুন। ১৬ মে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সদ্য ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া উম্পুন ছিল দিঘা থেকে ১২০০ কিলোমিটার দূরে। এর ঠিক ১৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয় উম্পুন। এত দ্রুত শক্তিবৃদ্ধি বিশেষ দেখা যায় না। গতি ধীর থাকায় দফায় দফায় শক্তি বাড়ায় ঘূর্ণিঝড়। গতি কতটা কম ছিল? ১৮ মে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দিঘা থেকে উম্পুনের দূরত্ব কমে দাঁড়ায় ৮৬০ কিলোমিটার। অর্থাৎ, ৪৮ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় সরে মাত্র ৩৪০ কিলোমিটার। আবার সেই উম্পুনই বঙ্গোপসাগরে বাঁক নেওয়ার পর গতি বাড়ায়। পরের ৪৮ ঘণ্টায় ৮৬০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে সরাসরি ঢুকে পড়ে বাংলায়। উপকূলে ঢোকার পর গতি আরও বাড়ে। ঘণ্টায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে বনগাঁ হয়ে বাংলাদেশের পথে এগোয় উম্পুন। মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, ‘গতি আর কিছুটা ধীরে হলেই বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালাত ঝড়। তা হলে ক্ষতির বহর আরও বাড়তে পারত।’