অ্যাপশহর

শাহি নিদানে মার খাবে কে? কর্মীই নেই পদ্ম শিবিরে

West Bengal BJP - কে চাঙ্গা করতে Amit Shah-নিদান দিয়ে গিয়েছেন রাস্তায় নেমে মার খাওয়ার। কিন্তু কর্মী শূন্য রাজ্য বিজেপি। কে বা খাবে মার, কে করবে মিছিল। উত্তর খুঁজছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। ফলে West Bengal BJP - কে চাঙ্গা করতে অমিত শাহের দাওয়াই আদৌ কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে ঘোর সংশয় তৈরি হয়েছে গেরুয়া (BJP)শিবিরে ।

Ei Samay 10 May 2022, 3:20 pm

হাইলাইটস

  • অমিত শাহ (Amit Shah) রাস্তায় নেমে মার খাওয়ার নিদান দিয়ে গিয়েছেন।
  • বঙ্গ-বিজেপিকে(West Bengal BJP) চাঙ্গা করার এটাই নাকি একমাত্র দাওয়াই।
  • কিন্তু মারটা খাবে কে? কে-ই বা পুলিশের লাঠির সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াবে? কে রোদে পুড়ে রাজপথে মিছিল করবে?
EiSamay.Com state bjp
bjp
এই সময়: এ যেন সেই শ্রীকান্তর 'লাও তো বটে, কিন্তু আনে কে?'
অমিত শাহ (Amit Shah) রাস্তায় নেমে মার খাওয়ার নিদান দিয়ে গিয়েছেন। বঙ্গ-বিজেপিকে(West Bengal BJP) চাঙ্গা করার এটাই নাকি একমাত্র দাওয়াই। কিন্তু মারটা খাবে কে? কে-ই বা পুলিশের লাঠির সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াবে? কে রোদে পুড়ে রাজপথে মিছিল করবে? নিদান দিয়ে দিল্লি ফিরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home minister) ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সরকারি কাজে। কিন্তু এ সব প্রশ্নের সদুত্তর এখনও খুঁজে পাননি বাংলার শীর্ষ বিজেপি নেতারা। কারণ, কর্মীই তো নেই, যাদের ভোকাল টনিক দিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামাবেন সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরা! বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির ঝান্ডা হাতে যাঁরা মার খেয়েছিলেন, তাঁদের সিংহভাগই নিষ্ক্রিয়, এমনটা দলের রাজ্য নেতৃত্বের নজরেও এসেছে। যাঁরা এখনও নিজেদের গা থেকে বিজেপির পরিচয় মুছে ফেলেননি, তাঁরা শুধু দলীয় নেতৃত্বের মুখের কথায় পড়ে পড়ে মার খেতে রাজি নন। ফলে অমিত শাহের দাওয়াই আদৌ কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে ঘোর সংশয় তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরে (BJP)।
সৌরভ-ঘরণী ডোনা রাজনীতিতে? মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ
বিজেপির এক পদাধিকারীর কথায়, "লড়াই আন্দোলন করার জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক কর্মী। সেটাই আমাদের নেই। আবার আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই লড়াকু কর্মী তৈরি হয়। কর্মী নেই বলে আন্দোলন নেই। আবার আন্দোলন নেই বলে কর্মীও নেই।" বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলাতেও সেই একই সুর। তিনি বলছেন, "আন্দোলন করতাম বলেই তো আমাদের কর্মীর মারা খেয়েছেন। তাঁদের বাড়ি ভাঙা হয়েছে। ভোটের পর কর্মীদের একাংশ নিষ্ক্রিয়। তাঁদের আবার সক্রিয় করে তুলতে হবে। তার জন্য নানা আন্দোলন কর্মসূচির পরিকল্পনা হচ্ছে।"

Cossipore News: গলায় ফাঁস লেগে ঝোলার কারণে মৃত্যু অর্জুনের, হাইকোর্টে পেশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
আসলে অমিত শাহ যে লড়াই-আন্দোলনের দাওয়াই দিয়ে গিয়েছেন, তা আগেই পরখ করার চেষ্টা করেছিলেন সুকান্ত মজুমদারা। কিন্তু কর্মী-সঙ্কটের কারণে তার সুফল মেলেনি। গত মাসেই নবান্ন অভিযান করার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির (BJP)। দলের অন্দরের খবর, 'ফ্লপ' করার আশঙ্কায় তা স্থগিত রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিকালে দলের শাখা সংগঠনগুলির বেশ কিছু কর্মসূচি বাতিল হয়েছে পর্যাপ্ত কর্মী না-মেলায়। সূত্রের খবর, কর্মী-সঙ্কটের বিষয়টি শাহকেও জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি কেন্দ্রীয় সমাবেশের বদলে বুথে বুথে ছোট জনসভা করার পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও দলের এক বর্ষীয়ান নেতার গলায় সন্দেহের সুর- "উনি বঙ্গ-বিজেপির (BJP) সাংগঠনিক পরিস্থিতি আঁচ করতে পারছেন না। বিধানসভা ভোটের আগে আমাদের আশি হাজারের বেশি বুথে কমিটি ছিল। এখন পাঁচ হাজার বুথেও বিজেপির কমিটি আছে কি না, সন্দেহ। কলকাতায় দু'একটি বড় সমাবেশ যদিও বা করা যায়, রাজ্যের প্রতিটি বুথে জনসভা করার মতো সাংগঠনিক শক্তি আমাদের নেই।"

সৌরভ-পত্নী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যসভায়? জোর জল্পনা
অমিত শাহের (Amit Shah) মার খাওয়ার নিদানের কথা পৌঁছে গিয়েছে বিজেপির নিচুতলার নেতা-কর্মীদের কাছেও। নিছক শাহের 'ভোকাল টনিক'-এ উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁরা সবাই হই হই করে রাস্তায় নেমে পড়বেন, এমনটা আশা করছেন না বঙ্গ বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ, গত এক বছরে দলের বহু কর্মীর বিরুদ্ধে নানা ধারায় মামলা হয়েছে। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে বিশেষ সহযোগিতা জোটেনি তাঁদের। উত্তর কলকাতার এক বিজেপি কর্মীর কথায়, "আমার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা চলছে। নিয়মিত থানায় গিয়ে হাজিরাও দিতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই সব কাজ ফেলে ছুটতে হচ্ছে কোর্টে। জলের মতো টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। দলের নেতাদের এ সব কথা বললে, তাঁরা উদাস চোখে চেয়ে থাকেন। এ বার নেতারা বরং একটু মার খান, জেলে যান।"

Kolkata, Asansol হবে বিশ্বমানের রেলওয়ে স্টেশন
শাহের সফর শেষেই ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট করেছেন আসানসোলের বিজেপি (BJP) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি লিখেছেন, "বাংলা জয় করতে হলে, আগে বাংলার মানুষের মন জয় করতে হবে।" বাংলার মানুষের মন জয় অনেক পরের কথা, আপাতত রাজ্য বিজেপি নেতারা দলীয় কর্মীদের মন কী ভাবে জয় করবেন, তা ভেবেই দিশাহারা!

পরের খবর