এই সময়: কলম্বিয়ার ড্রাগ সম্রাট পাবলো এসকোবারের সাম্রাজ্য কী ভাবে ধ্বংস করেছিল গোয়েন্দা সংস্থা, ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সেই ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিরিজ ‘নারকোস’-এ। চিনা মাদক কারবারিদের জেরা করতে শহরে এলেন সেই ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মার্কিন গোয়েন্দারা। এত দিন মায়ানমারে তৈরি হত অ্যামফেটামাইন, মেথঅ্যামফেটামাইন। এই সাইকোট্রপিক ড্রাগ কি এ রাজ্যেও তৈরি হচ্ছে? পাঁচ চিনা নাগরিককের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কেজি মাদক ট্যাবলেট উদ্ধার ও মুর্শিদাবাদে একটি কারখানার হদিস মেলায় সে প্রশ্নই উঠেছিল। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন গোয়েন্দারাও। সে কারণেই তাঁদের শহরে আসা। দিল্লিতে অফিস রয়েছে এই গোয়েন্দা সংস্থার। সেখান থেকেই তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার ভবানীভবনে আসে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন একজন চিনা দো-ভাষীও।
কলকাতা স্টেশন থেকে প্রায় দুশো কেজি মাদক ট্যাবলেট উদ্ধার হওয়ার পর মুর্শিদাবাদের নওদায় একটি কারখানার হদিস পায় সিআইডি। সেখান তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় আরও ২ কেজি অ্যামফেটামাইন। ওই কারখানায় মাদক তৈরি হত কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারের তথ্য সামনে আসায় মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৯ জুন কলকাতা স্টেশন থেকে জিআরপির জালে ধরা পড়ে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত পাঁচ চিনা নাগরিক। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩৯ কোটি টাকার পার্টি ড্রাগ। জানা যায় ধৃতরা সকলেই হংকংয়ের বাসিন্দা। ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় মুর্শিবাদবাদের বেলডাঙার ট্রেনের টিকিট। সেই সূত্রে চার বছর ধরে চলা নওদার কারখানাটির সন্ধান মেলে। জানা যায়, বিভিন্ন দেশে মাদক পাচারে যুক্ত চক্রটি। এর আগে ২০০৩ সালেও এই মাদক উদ্ধার হয়েছিল। গ্রেপ্তার করা হয় মায়ানমারের এক চক্রীকে।
মার্কিন গোয়েন্দাদের ওই দলটি এ দিন দুপুর ১১টা নাগাদ ভবানীভবনে আসে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এনসিবির গোয়েন্দারাও। তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী কী তথ্য উঠে এসেছে, তা নিয়ে সিআইডির আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়। পরে ধৃতদের জেরাও করেন ওই মার্কিন গোয়েন্দারা। প্রায় প্রতিটি দেশেই শাখা রয়েছে ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের। এই গোয়েন্দা সংস্থার দপ্তর রয়েছে দিল্লিতে। এই সংস্থা প্রয়োজনে মাদক সংক্রান্ত যে কোনও তদন্তে অংশ নিতে পারে। তদন্তকারীদের দাবি, শুধু ভারত নয়, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যামফেটামাইনের মতো পার্টি ড্রাগ। তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ এই মাদকদের দিকে ঝুঁকছে। নওয়দায় যে কারখানাটির খোঁজ মিলেছে, সেখানে অন্য ব্যবসার আড়ালে মাদক তৈরি হচ্ছিল কি না, তৈরি হলে কাঁচামাল কোথা থেকে আসত, এ রাজ্যকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে অন্য দেশে মাদক পাচার করা হচ্ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
কলকাতা স্টেশন থেকে প্রায় দুশো কেজি মাদক ট্যাবলেট উদ্ধার হওয়ার পর মুর্শিদাবাদের নওদায় একটি কারখানার হদিস পায় সিআইডি। সেখান তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় আরও ২ কেজি অ্যামফেটামাইন। ওই কারখানায় মাদক তৈরি হত কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারের তথ্য সামনে আসায় মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৯ জুন কলকাতা স্টেশন থেকে জিআরপির জালে ধরা পড়ে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত পাঁচ চিনা নাগরিক। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩৯ কোটি টাকার পার্টি ড্রাগ। জানা যায় ধৃতরা সকলেই হংকংয়ের বাসিন্দা। ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় মুর্শিবাদবাদের বেলডাঙার ট্রেনের টিকিট। সেই সূত্রে চার বছর ধরে চলা নওদার কারখানাটির সন্ধান মেলে। জানা যায়, বিভিন্ন দেশে মাদক পাচারে যুক্ত চক্রটি। এর আগে ২০০৩ সালেও এই মাদক উদ্ধার হয়েছিল। গ্রেপ্তার করা হয় মায়ানমারের এক চক্রীকে।
মার্কিন গোয়েন্দাদের ওই দলটি এ দিন দুপুর ১১টা নাগাদ ভবানীভবনে আসে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এনসিবির গোয়েন্দারাও। তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী কী তথ্য উঠে এসেছে, তা নিয়ে সিআইডির আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়। পরে ধৃতদের জেরাও করেন ওই মার্কিন গোয়েন্দারা। প্রায় প্রতিটি দেশেই শাখা রয়েছে ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের। এই গোয়েন্দা সংস্থার দপ্তর রয়েছে দিল্লিতে। এই সংস্থা প্রয়োজনে মাদক সংক্রান্ত যে কোনও তদন্তে অংশ নিতে পারে। তদন্তকারীদের দাবি, শুধু ভারত নয়, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যামফেটামাইনের মতো পার্টি ড্রাগ। তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ এই মাদকদের দিকে ঝুঁকছে। নওয়দায় যে কারখানাটির খোঁজ মিলেছে, সেখানে অন্য ব্যবসার আড়ালে মাদক তৈরি হচ্ছিল কি না, তৈরি হলে কাঁচামাল কোথা থেকে আসত, এ রাজ্যকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে অন্য দেশে মাদক পাচার করা হচ্ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।