এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Bandyopadhyay) এবার কড়া চিঠি পাঠাল কেন্দ্র। তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাঁকে কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রকের তরফে একটি কড়া চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে সার্ভিস রুলের আট নম্বর ধারা উল্লেখ করে জানানো হয়েছে তিনি শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য একমাসের সময় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যর প্রাক্তন মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে জানাতে হবে তিনি সশরীরে এই তদন্ত প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হবেন কিনা। জবাব না এলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রের চিঠিতে প্রসঙ্গত, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Bandyopadhyay) ঘিরে রাজ্য-কেন্দ্র টানাপোড়েন শুরু হয় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তী পর্বে। মুখ্যসচিব পদে অবসর নেওয়ার পরও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Banerjee) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ নোটিশ দেয় কেন্দ্র। জানা যাচ্ছে, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে অনুপস্থিতির জন্য নোটিশ বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে চার্জশিটও দিতে পারে মোদী সরকার।
উল্লেখ্য, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে বদলির নির্দেশ দেয় কেন্দ্র সরকার। মুখ্যসচিব পদে তিন মাসের জন্য আলাপনের মেয়াদ বাড়িয়েছিল রাজ্য সরকার। এ নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে চিঠি চালাচালি হয়। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'প্রধানমন্ত্রী, আপনার পা ধরতেও রাজি। এই নোংরা খেলা খেলবেন না।' নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবরে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল মুখ্যসচিবকে দিল্লি যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। তাতেই সিলমোহর পড়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠিতে। এদিকে, সোমবার অবসর নেওয়ার দিন ছিল আলাপনবাবুর। শেষ পর্যন্ত রাজ্য-কেন্দ্র টানাপোড়ের আবহেই অবসর নেন আলাপন। এদিকে, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করেন মমতা। অবসরের পরের দিনই এই পদে দায়িত্ব নেন আলাপন।
রিফ্রেশ করতে থাকুন...
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্য একমাসের সময়সীমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রক। তার মধ্যে জবাব না এলে, প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে না জানিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না বলে চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে ১৬ জুনের তারিখ উল্লেখ থাকলেও সেটি সোমবার এসে পৌঁছেছে আলাপনের হাতে। এই ৩০ দিনের মধ্যে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সামনাসামনি গিয়েও জানাতে পারেন, কেন তাঁকে শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। এছাড়া লিখিতভাবেও নিজের বক্তব্য জানাতে পারেন আলাপন। কিন্তু, ৩০ দিনের মধ্যে উত্তর না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে গঠিত কমিটি কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। উল্লেখ্য, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে বদলির নির্দেশ দেয় কেন্দ্র সরকার। মুখ্যসচিব পদে তিন মাসের জন্য আলাপনের মেয়াদ বাড়িয়েছিল রাজ্য সরকার। এ নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে চিঠি চালাচালি হয়। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'প্রধানমন্ত্রী, আপনার পা ধরতেও রাজি। এই নোংরা খেলা খেলবেন না।' নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবরে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল মুখ্যসচিবকে দিল্লি যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। তাতেই সিলমোহর পড়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠিতে। এদিকে, সোমবার অবসর নেওয়ার দিন ছিল আলাপনবাবুর। শেষ পর্যন্ত রাজ্য-কেন্দ্র টানাপোড়ের আবহেই অবসর নেন আলাপন। এদিকে, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করেন মমতা। অবসরের পরের দিনই এই পদে দায়িত্ব নেন আলাপন।
রিফ্রেশ করতে থাকুন...