অ্যাপশহর

ক্রমশ ছড়াচ্ছে স্কুলের ফি ঘিরে বিক্ষোভের আঁচ

স্কুলের ফি দিতে অপারগ অভিভাবকদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ল কলকাতা থেকে শহরতলিতেও। পূর্ব কলকাতার ইন্দাস ভ্যালি স্কুলে যেমন ফি দিতে না-পারার দাবি তুলে অভিভাবকরা প্রতিবাদে সামিল হন, তেমনই শ্রীরামপুরের বেসরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলের সামনেও অভিভাবকরা জড়ো হন ফি নিয়ে অভিযোগকে সামনে রেখে।

EiSamay.Com 9 Jun 2020, 9:07 am
এই সময়: স্কুলের ফি দিতে অপারগ অভিভাবকদের বিক্ষোভ সোমবার ছড়িয়ে পড়ল কলকাতা থেকে শহরতলিতেও। পূর্ব কলকাতার ইন্দাস ভ্যালি স্কুলে এ দিন যেমন ফি দিতে না-পারার দাবি তুলে অভিভাবকরা প্রতিবাদে সামিল হন, তেমনই শ্রীরামপুরের একটি বেসরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলের সামনেও অভিভাবকরা জড়ো হয়েছিলেন ফি নিয়ে অভিযোগকে সামনে রেখে। সর্বত্র দাবি অবশ্য একই--- লক ডাউনে অনেকের চাকরি গিয়েছে, মাইনে কাটা যাচ্ছে বা ব্যবসায় আয় নেই, তাই স্কুলকে মানবিক হতে হবে। সেশন চার্জ, বাস, স্টেশনারি, জুতো-বই, এক্সট্রা কারিকুলার, বাস, এসির বিলের মতো ‘অপ্রয়োজনীয়’ ফি নেওয়া বন্ধ করতে হবে।
EiSamay.Com Agitation over school fees in Kolkata and Hooghly amid lockdown
ইন্দাস ভ্যালি স্কুলের সামনে ফি নিয়ে বিক্ষোভ অভিভাবকদের


ইন্দাস ভ্যালি স্কুলে অনেক দিন ধরেই অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ জমছিল। এখানে প্রতি তিন মাস অন্তর পড়ুয়াদের ৩৪ থেকে ৪৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি দিতে হয় বলে অভিভাবকদের বক্তব্য। তাঁদের অভিযোগ, এই ফি-র মধ্যে কতটা টিউশন ফি, তা আলাদা করে বলা হয় না বলে তাঁদের। এ নিয়ে তাঁরা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিন স্কুলের সামনে পোস্টার হাতে ঘণ্টা তিনেক বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ এসে অবস্থা সামাল দেয়। অভিভাবকদের বক্তব্য, এক বিক্ষোভকারিণী অসুস্থ হয়ে পড়লেও, স্কুলের কেউ এগিয়ে এসে সাহায্য করেননি।

স্কুলের অধ্যক্ষ অনিতা জর্জকে ফোন এবং এসএমএস করা হলেও তিনি কোনও জবাব দেননি। অভিভাবকরা স্কুলের গেটে ফি কমানোর আবেদন জানিয়ে নিজেদের ফোন নম্বর লিখে চিঠি সাঁটিয়ে এসেছেন। অন্য দিকে, লাগাতার বিক্ষোভের পর জিডি বিড়লা স্কুলের অভিভাবকরা অবশ্য যাদবপুর থানায় নিজেদের অভিযোগের কথা চিঠি লিখে জানিয়েছেন। স্কুলের অভিভাবক ফোরাম জানিয়েছে, পুলিশ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় চেয়েছে।

এদিন বেসরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলেও ফি নিয়ে সরব হলেন অভিভাবকেরা। সোমবার শ্রীরামপুর কেএম শা স্ট্রিটের একটি বেসরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে ফি মকুবের আর্জি জানান অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকলেও কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের মাসিক বেতন জমা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। ফি মকুব নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে রেজিস্ট্রি চিঠি দেওয়ার পরেও স্কুল সেই চিঠির উত্তর দেওয়ার সৌজন্য দেখায়নি বলেও অভিযোগ। অভিভাবকদের দাবি, লকডাউনে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের হাতে টাকা নেই। সেই কারণেই তাঁরা স্কুলের তরফে ফি মকুবের আবেদন রেখেছিলেন। বিক্ষোভের পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেন অনির্দিষ্ট কালের জন্য পূর্বনির্ধারিত বেতন নেওয়া ও পাঠ্যক্রম বন্ধ থাকবে। স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন নোটিস দেওয়ার বিরোধিতা করেন একাধিক অভিভাবক।

যদিও বেসরকারি আইসিএসই স্কুলগুলির সংগঠনের সম্পাদক এবং ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলের অধ্যক্ষ রঞ্জন মিত্র বলেন, ‘ফি ঠিক ভাবে না-পেয়ে অনেক স্কুলই আর্থিক কষ্টে ভুগছে। তারা শিক্ষক-কর্মীদের বেতনও ঠিকমতো দিতে পারছে না।’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল