অ্যাপশহর

স্টেথো গলায় মেডিক্যালে মুন্নাভাই

সকালেই একে সার্জারি আউটডোরে দেখেছিলাম না! এ এখন এখানে কী করছে ?সাদা অ্যাপ্রন , গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে রোগী দেখছেন দিব্যি৷

EiSamay.Com 22 Nov 2017, 8:55 am
এই সময়: সকালেই একে সার্জারি আউটডোরে দেখেছিলাম না! এ এখন এখানে কী করছে ?সাদা অ্যাপ্রন , গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে রোগী দেখছেন দিব্যি৷ কিন্ত্ত ডাক্তার-ডাক্তার ভাব হলেও কেমন যেন সন্দেহজনক ঠেকছিল অন্য জুনিয়র ডাক্তার, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিদের৷ তাঁদের মধ্যে শুরু হয় কানাঘুষো৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালের সুপারের ঘরে৷ সেখানে গিয়েও কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি৷ শেষমেষ পুলিশের হাতেই তুলে দেওয়া হল মুন্নাভাই-এমবিবিএসকে৷ এর আগে রাজ্যজুড়ে ভুয়ো ডাক্তারচক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অনেককে পাকড়াও করেছে পুলিশ৷ কিন্ত্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মতো ব্যস্ত জায়গা থেকে ভুয়ো ডাক্তারের হদিশ মেলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি চোখ কপালে উঠেছে পুলিশেরও৷
EiSamay.Com a young man allegedly masquerading as a doctor was arrested on monday in kolkata medical college
স্টেথো গলায় মেডিক্যালে মুন্নাভাই


বেশ কিছুদিন ধরেই এই যুবক ডাক্তার সেজে মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগে ঘুরছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে৷ বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর পাশাপাশি হাসপাতালে পুলিশ আউটপোস্টও রয়েছে৷ সেখানে সব ধরনের নিরাপত্তার বেড়াজাল পেরিয়ে কী ভাবে একজন ভুয়ো চিকিত্সক জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়ল , সেই প্রশ্ন উঠছেই৷ ডিসি (সেন্ট্রাল ) মিতেশ জৈন জানিয়েছেন , ধৃতের নাম মানবেন্দ্র হালদার (২৮ )৷ বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগরে৷ তিনি কী ভাবে ভিতরে ঢুকলেন , এর পিছনে আরও কেউ আছে কি না , তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে৷

পুলিশ সূত্রের খবর , মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ধৃতকে নিয়ে গিয়ে জেরার সময়েও বিভিন্ন সময়ে এক একরকম কথা বলেছেন মানবেন্দ্র৷ কখনও তিনি নিজেকে এমবিবিএস পাশ বলে দাবি করেছেন৷ কখনও বা বলেছেন , তিনি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্র৷ কিন্ত্ত তার কোনওটির স্বপক্ষেই কোনও নথিপত্র তিনি দেখাতে পারেননি৷ তবে বারবারই তিনি নিজেকে ডাক্তার বলেই দাবি করেছেন৷ তাঁর বাড়ির লোকজনের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে৷ তদন্তকারীরা যেটা নিয়ে বিস্মিত , তা হল , কেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি ডাক্তার সেজে ঢুকে পড়লেন৷ কারণ সরকারি হাসপাতালে তিনি রোগীদের কাছ থেকে ফি নিয়ে দেখবেন , তার সম্ভাবনা কম৷ সেক্ষেত্রে তাঁর পিছনে কোনও দালালচক্র আছে কি না , তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ধৃতের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে কথা বলে পুলিশ আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন , ডাক্তার হওয়ার শখ থেকেই মুন্নাভাইয়ের ভূমিকায় মানবেন্দ্র৷ সেজন্যই স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে হাসপাতালে ঢুকে পড়েছেন তিনি৷ তিনি মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ কি না , তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে৷

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে , গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে ভিতরে ঘুরে বেড়ানোয় নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁকে কেউ সন্দেহ করেননি৷ আউটডোর , ইনডোর , জরুরি বিভাগ -সহ সর্বত্রই ঘোরাঘুরি করতেন তিনি৷ কোথাও কোনও ঘর ফাঁকা থাকলেই ডাক্তারের মতো ভিতরে ঢুকে পড়তেন৷ কিন্ত্ত তাঁর হাবভাব দেখে সন্দেহ হওয়ায় কিছুদিন ধরে তাঁর উপর নজর রাখা হচ্ছিল৷ সোমবার বিকেলে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ হাসপাতালের সুপার শিখা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ‘ওই যুবক হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তার সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছিল৷ যেখানেই ঘর ফাঁকা থাকত , সেখানেই ঢুকে পড়ত সে৷ সেটা নজরে আসায় তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ সে কোনও প্রশ্নেরই ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেনি৷ তাই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ ’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল