অ্যাপশহর

পাঁচ বঙ্গসন্তানের অ্যাপে রোজগার ৮৫০ জনের

কলেজ ক্যাম্পাসের অফিস ছেড়ে তাঁরা রুবি বাইপাসে নতুন অফিস ভাড়া করেছেন। এমনকী লকডাউনের সময়ও এই স্টার্ট-আপ ভালোই ব্যবসা করতে পেরেছে বলে দাবি। স্বপ্ন একদিন গোটা দেশে তাঁদের স্বপ্নে সওয়ার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছবে মানুষ।

Ei Samay 20 Jun 2020, 8:58 am
এই সময়: বাঙালিকে দিয়ে ব্যবসা হয়। শুধু হয়ই না, আড়াই হাজার থেকে আড়াই কোটি টাকা উত্থান পর্যন্ত হয়। প্রমাণ করে দিলেন পাঁচ বঙ্গসন্তান।
EiSamay.Com a new app drivers for me by five bengali youths is creating a buzz
বঙ্গসন্তানের অ্যাপে রোজগার ৮৫০ জনের


রাজর্ষি নাগ, রাজর্ষি বসু, পরমার্থ সাহা, রনিত রায়, প্রাচেতস মিত্র। রাতদিন এক করে খেটে নিজেদের স্বপ্নকে বাস্তব করেছেন। কলেজে পড়ার সময়েই আইইএম, সল্টলেকের কম্পিউটার সায়েন্স-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই পাঁচ প্রাক্তনীর মাথায় এসেছিল ব্যবসার কথা। মাত্র আড়াই হাজার টাকা পুঁজি করে তৃতীয় বর্ষে থাকাকালীন শুরু হয় ব্যবসা। আজ সেই ব্যবসার বার্ষিক টার্নওভার ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। কীসের ব্যবসা? অ্যাপ থেকে বুক করলে নির্দিষ্ট সময়ে ড্রাইভার হাজির হয়ে যান বাড়িতে। অ্যাপটির নাম ‘ড্রাইভার্স ফর মি’।

বাসের ভাড়া ফাঁকি দিয়ে, না-খেয়ে জমানো পকেটমানি পুঁজি করে ব্যবসা এখন প্রায় ৮৫০ মানুষের রুজি-রুটির ব্যবস্থা করেছে। আয় হচ্ছে উদ্যোক্তাদেরও। একজন বাদে বাকি চার চাকরি ছেড়ে ব্যবসায় মন দিয়েছেন।

কলেজের তৃতীয় বর্ষে থাকাকালীন এক বন্ধুকে দেখেছিলেন গাড়ির চালক সঠিক সময়ে না-পাওয়ায় পরীক্ষা দিতে আসতে পারেননি তিনি। সেখান থেকে ভাবনা। যাঁদের গাড়ি রয়েছে, তাঁদের ড্রাইভার সরবরাহ করা। রাজর্ষি নাগ বলছিলেন, ‘আরও একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হচ্ছিল। এমন কাজই শুরু করতে হত যা করলে প্রচুর খরচ হয়ে না যায়। সেই সামর্থ্য আমাদের ছিল না।’ তাই চালক এবং গ্রাহকদের খোঁজে হ্যান্ড বিল নিয়ে বাড়ি বাড়ি বিলিয়েছেন ওঁরা। পার্কিংয়ে ঘুরে ঘুরে চালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ভরসা বলতে ছিল কলেজের সহায়তা। বছর দেড়েক কলেজ ক্যাম্পাসেই অফিস চালিয়েছেন পাঁচজন।

২০১৮ সালের দলের অন্যতম উদ্যোক্তা পরমার্থ চাকরি নিয়ে চলে যান গুজরাটে। ব্যবসা ঠিক করে চলবে কি না, তার কোনও ঠিক ছিল না। তাই একে একে সবাই পরমার্থর পথ ধরেন। কেউ চেন্নাইয়ে, কেউ পুণেতে। একটা সময় অফিসে তালা পড়ল। অথচ তখন অ্যাপ, ওয়েবসাইট লঞ্চ হয়ে গিয়েছে। রাজর্ষির কথায়, ‘অফিস করতে করতেই কী ভাবে আমরা ব্যবসাটাকে টেনে নিয়ে গিয়েছি, তা বলার নয়। বাড়ির চাপেই খানিকটা আমাদের চাকরি নিতে হয়। একটা সময় ভাবছিলাম আর বোধহয় টানতে পারব না।’

যত কষ্টই হোক, উদ্যোগ ভেঙে যেতে দেননি। অবশেষে ২০১৯-এ সেই পরমার্থই প্রথম চাকরি ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে ব্যবসায় মনোনিবেশ করলেন। আদতে বহরমপুরের বাসিন্দা পরমার্থ বলছিলেন, ‘আমি যখন প্রথম চাকরি নিয়ে চলে যাই, তখন স্বাভাবিক ভাবেই আমার নিজের এবং অন্যদেরও মনোবল তলানিতে। তার পরে যখন সাহস করে চাকরিটা ছাড়লাম, কাজে গতি এল।’ এখন কলকাতা ছাড়াও তাঁদের সংস্থা দিল্লি, মুম্বই, পুনে, হায়দরাবাদে ছড়িয়ে পড়েছে।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল