পিয়ালী চক্রবর্তী
মূলত প্রবীণ মহিলারাই টার্গেট। ফাঁকা রাস্তায় বয়স্ক মহিলাদের দেখলেই সুযোগ বুঝে পুলিশ পরিচয়ে তাঁদের গয়না হাতাচ্ছে একটি অপরাধ-চক্র। গত দু’দিনে একই কায়দায় কলকাতা ও বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় অন্তত চারটি কেপমারির ঘটনা ঘটেছে। যেগুলোর পিছনে ‘ইরানি কেপমারদের’ গ্যাং রয়েছে বলে পুলিশের বক্তব্য। এর আগেও শহরে এমন অপরাধ হয়েছে। তবে আনলক-ওয়ান পর্বে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে চক্রটি। এই নিয়ে কলকাতার সব থানাকে সতর্ক করল লালবাজার। পাশাপাশি, সতর্ক করা হয়েছে প্রবীণ নাগরিকদেরও। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ওই কেপমাররা মূলত মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। তা হলে তাদের ইরানি গ্যাং বলার কী মানে? তাদের পূর্বপুরুষ কি কোনও সময়ে ইরানের বাসিন্দা ছিল? লালবাজারের দুঁদে গোয়েন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। ইংরেজ আমলের ভারতে অন্য বহু বিদেশির মতো ইরানিদের ছিল অবাধ প্রবেশাধিকার। জাহাজে করে এ দেশে আসা ইরানিদের একাংশের হাত ধরে শুরু হয় কেপমারি। তারাই ওই অপরাধের আমদানি করেছিল। সেই জন্য পুলিশের ঘুম ছুটিয়ে দেওয়া কেপমারদের বলা হয় ‘ইরানি গ্যাং’।
গত বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন সকাল ১০টা নাগাদ বিধান সরণি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন সত্তরোর্ধ্ব অনিতা মুখোপাধ্যায়। লালবাজার সূত্রের খবর, দুই যুবক পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁকে বলে, ছিনতাই-ডাকাতির জন্য রাস্তায় গয়না পরে বেরোনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। ওই যুবকরাই শুভার্থী পুলিশকর্মীর ভেক ধরে বৃদ্ধার গা থেকে গয়না খুলে তাঁর ব্যাগে ভরে দেয়। আর তার মধ্যেই হাতের কারসাজিতে হাতিয়ে নেয় ৪৫ গ্রাম সোনার গয়না। বৃহস্পতিবার বিধান সরণির ওই ঘটনার আধ ঘণ্টার ব্যবধানে এয়ারপোর্ট-২ নম্বর গেটের কাছে একই রকম অপরাধ-চক্রের শিকার হন মিতা মজুমদার নামে এক মহিলা।
পর পর ওই সব ঘটনা নজরে আসতেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের নজরদারি শাখা বা ওয়াচ সেকশনের তরফে সব থানাকে সতর্ক করে শুক্রবার বার্তা পাঠানো হয়। একটি ক্ষেত্রে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে সন্দেহভাজনদের ছবি কিছুটা দেখা যাচ্ছে। সেই ছবি পাঠানো হয়েছে আশপাশের সব থানায়। ওই ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মোটর বাইক চালক দুষ্কৃতীর মাথায় হেলমেট থাকলেও তার পিছনে বসা সওয়ারি মাথায় ছিল টুপি। তবে দু’জনই মুখ মাস্কে ঢাকা।
পুলিশের বক্তব্য, রাস্তাঘাটে এখনও তুলনামূলক ভাবে লোকজন কম। সেই সুযোগেই হানা দিচ্ছে কেপমাররা। প্রবীণ মহিলারা তাদের কথার ফাঁদে পড়ে কেউ সেই গয়না খুলে ফেলে তাদের হাতেই তুলে দিচ্ছেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা তাঁদের কাগজে মুড়ে ব্যাগে গয়না রাখতে বলছে। ওই টুকু সময়ের মধ্যেই হাতের কারসাজিতে নিজেদের সঙ্গে আনা প্লাস্টিকের চুড়ি, ইমিটেশনের গয়না ব্যাগে ভরে কেপমাররা সরিয়ে ফেলছে আসল গয়না।
লালবাজার জানাচ্ছে, এই ধরনের ঘটনা শহরে নতুন, এমনটা নয়। তবে পর পর এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে, শহরে ফের সক্রিয় হয়েছে ‘ইরানি কেপমাররা’। কারণ, ঠিক এই কায়দায় ওই গ্যাং সক্রিয় বলে অপরাধের রেকর্ড জানাচ্ছে। মূলত মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশের ওই বাসিন্দারা দল বেঁধে দেশের বিভিন্ন শহরে হানা দেয়। আলাদা আলাদা গ্রুপে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ‘অপারেশন’ চালায় তারা। বছর কয়েক আগেই এই ভাবে শহরে সক্রিয় হয়েছিল ইরানি গ্যাং। যাদবপুর, লেক, সার্ভে পার্ক এলাকার মতো তল্লাটে নিজেদের পুলিশ বলে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ইরানি গ্যাং ওই একই কায়দায় কেপমারি করছিল। সেই সময়ে ধরাও পড়ে কয়েক জন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ইরানি গ্যাংয়ের কেপমারির বিষয়ে বিশদ তথ্য জানা যায়।
মূলত প্রবীণ মহিলারাই টার্গেট। ফাঁকা রাস্তায় বয়স্ক মহিলাদের দেখলেই সুযোগ বুঝে পুলিশ পরিচয়ে তাঁদের গয়না হাতাচ্ছে একটি অপরাধ-চক্র। গত দু’দিনে একই কায়দায় কলকাতা ও বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় অন্তত চারটি কেপমারির ঘটনা ঘটেছে। যেগুলোর পিছনে ‘ইরানি কেপমারদের’ গ্যাং রয়েছে বলে পুলিশের বক্তব্য। এর আগেও শহরে এমন অপরাধ হয়েছে। তবে আনলক-ওয়ান পর্বে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে চক্রটি। এই নিয়ে কলকাতার সব থানাকে সতর্ক করল লালবাজার। পাশাপাশি, সতর্ক করা হয়েছে প্রবীণ নাগরিকদেরও।
গত বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন সকাল ১০টা নাগাদ বিধান সরণি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন সত্তরোর্ধ্ব অনিতা মুখোপাধ্যায়। লালবাজার সূত্রের খবর, দুই যুবক পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁকে বলে, ছিনতাই-ডাকাতির জন্য রাস্তায় গয়না পরে বেরোনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। ওই যুবকরাই শুভার্থী পুলিশকর্মীর ভেক ধরে বৃদ্ধার গা থেকে গয়না খুলে তাঁর ব্যাগে ভরে দেয়। আর তার মধ্যেই হাতের কারসাজিতে হাতিয়ে নেয় ৪৫ গ্রাম সোনার গয়না। বৃহস্পতিবার বিধান সরণির ওই ঘটনার আধ ঘণ্টার ব্যবধানে এয়ারপোর্ট-২ নম্বর গেটের কাছে একই রকম অপরাধ-চক্রের শিকার হন মিতা মজুমদার নামে এক মহিলা।
পর পর ওই সব ঘটনা নজরে আসতেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের নজরদারি শাখা বা ওয়াচ সেকশনের তরফে সব থানাকে সতর্ক করে শুক্রবার বার্তা পাঠানো হয়। একটি ক্ষেত্রে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে সন্দেহভাজনদের ছবি কিছুটা দেখা যাচ্ছে। সেই ছবি পাঠানো হয়েছে আশপাশের সব থানায়। ওই ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মোটর বাইক চালক দুষ্কৃতীর মাথায় হেলমেট থাকলেও তার পিছনে বসা সওয়ারি মাথায় ছিল টুপি। তবে দু’জনই মুখ মাস্কে ঢাকা।
পুলিশের বক্তব্য, রাস্তাঘাটে এখনও তুলনামূলক ভাবে লোকজন কম। সেই সুযোগেই হানা দিচ্ছে কেপমাররা। প্রবীণ মহিলারা তাদের কথার ফাঁদে পড়ে কেউ সেই গয়না খুলে ফেলে তাদের হাতেই তুলে দিচ্ছেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা তাঁদের কাগজে মুড়ে ব্যাগে গয়না রাখতে বলছে। ওই টুকু সময়ের মধ্যেই হাতের কারসাজিতে নিজেদের সঙ্গে আনা প্লাস্টিকের চুড়ি, ইমিটেশনের গয়না ব্যাগে ভরে কেপমাররা সরিয়ে ফেলছে আসল গয়না।
লালবাজার জানাচ্ছে, এই ধরনের ঘটনা শহরে নতুন, এমনটা নয়। তবে পর পর এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে, শহরে ফের সক্রিয় হয়েছে ‘ইরানি কেপমাররা’। কারণ, ঠিক এই কায়দায় ওই গ্যাং সক্রিয় বলে অপরাধের রেকর্ড জানাচ্ছে। মূলত মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশের ওই বাসিন্দারা দল বেঁধে দেশের বিভিন্ন শহরে হানা দেয়। আলাদা আলাদা গ্রুপে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ‘অপারেশন’ চালায় তারা। বছর কয়েক আগেই এই ভাবে শহরে সক্রিয় হয়েছিল ইরানি গ্যাং। যাদবপুর, লেক, সার্ভে পার্ক এলাকার মতো তল্লাটে নিজেদের পুলিশ বলে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ইরানি গ্যাং ওই একই কায়দায় কেপমারি করছিল। সেই সময়ে ধরাও পড়ে কয়েক জন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ইরানি গ্যাংয়ের কেপমারির বিষয়ে বিশদ তথ্য জানা যায়।