অ্যাপশহর

ভ্রূণের গঠনে ‘ক্রটি’, গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে তরুণী

গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক অন্তঃসত্ত্বা। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়েছে, ওই তরুণীর গর্ভের ভ্রূণের গঠনে বড়সড় জিনগত ত্রুটি রয়েছে। এর মধ্যে পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ সপ্তাহ। আইন অনুযায়ী, ২০ সপ্তাহের পরে গর্ভপাত করাতে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। সম্প্রতি এ রাজ্যেরই এক মহিলাকে ২৮ সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

EiSamay 11 Jan 2019, 10:47 am
এই সময়: গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক অন্তঃসত্ত্বা। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়েছে, ওই তরুণীর গর্ভের ভ্রূণের গঠনে বড়সড় জিনগত ত্রুটি রয়েছে। এর মধ্যে পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ সপ্তাহ। আইন অনুযায়ী, ২০ সপ্তাহের পরে গর্ভপাত করাতে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। সম্প্রতি এ রাজ্যেরই এক মহিলাকে ২৮ সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সে ক্ষেত্রে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে কড়া নেড়েও বিফল হতে হয় সেই তরুণীকে। এ বার অবশ্য কলকাতা হাইকোর্ট মামলাটি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে শুনানির ব্যবস্থা করেছে। বৃহস্পতিবার আবেদনকারীর আইনজীবী বিষয়টি দ্রুত শুনানির আবেদন করার পর আদালত রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রতোষ মজুমদারকে ডেকে সহযোগিতার পরামর্শ দেয়। শুক্রবার ফের মামলাটি উঠবে। মামলায় যুক্ত সব পক্ষকে ওই দিন উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
EiSamay.Com Calcutta_High_Court_01


দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা যায় তাঁর গর্ভের ভ্রূণের মস্তিষ্ক সাধারণের তুলনায় কম পুষ্ট। এসএসকেএম হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাঁদের রিপোর্টে দ্রুত গর্ভপাতের পক্ষে রায় দেন। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী, ওই ভ্রূণ জন্মালে তাকে বেশি দিন বাঁচানো যাবে না। দ্রুত গর্ভপাত না করালে আরও ক্ষতির আশঙ্কাও প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যেই পেরিয়ে যায় ২৪ সপ্তাহ।

এ দিন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে দ্রুত মামলাটি শোনার জন্য আবেদন করেন আবেদনকারীর আইনজীবী অমিতাভ ঘোষ। তিনি বলেন, '২০ সপ্তাহের পরে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে যেহেতু আইনত বাধা রয়েছে, তাই এখন আদালতের অনুমতি লাগবে। দেরি হলে অন্তঃসত্ত্বার শারীরিক অবস্থারও অবনতি হতে পারে।' এরপরই আদালত দ্রুত মামলাটি শুনানির উদ্যোগ নেয়। বছর সাতেকের বিবাহিত জীবনে এর আগেও একবার গর্ভপাত করাতে হয়েছে ওই তরুণীকে। আবার একই পরিস্থিতি হওয়ায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে পরিবারটি।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, গর্ভপাতের মতো অন্য বেশ কিছু জটিল শারীরিক সমস্যায় দীর্ঘসূত্রিতা কাটাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে স্থায়ী বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে এ রাজ্যেও এলাকা বা জেলাভিত্তিক এই ধরনের বোর্ড গঠনের কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্য কর্তাদের বক্তব্য, আদালত কোনও নির্দেশ দিলেও তা দেবে বোর্ডের পরামর্শ মেনে। তাই সেই বোর্ড গঠনে যাতে বাড়তি সময় অপচয় না হয়, সে দিকে নজর দিয়েই শীর্ষ আদালত সর্বত্র স্থায়ী বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। এখন আদালত শুনানিতে ওই মহিলাকে সেই বোর্ডের কাছে পাঠিয়ে তাঁদের পরামর্শ নেয় কি না, সে দিকে তাকিয়ে আছেন আইনজীবীরা।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল