অ্যাপশহর

শতবর্ষে পাসপোর্ট রিনিউ করলেন শহরের দিয়োগো

অবসরপ্রাপ্ত সাম্মানিক পর্তুগিজ কনসাল জেনারেল দিয়োগোর জন্ম গোয়ায়। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর ১৯৩৪ সালে, মাত্র পনেরো বছর বয়সে কাকার সঙ্গে চলে আসেন কলকাতায়। তারপর সেখানেই বড় হওয়া, চাকরি এবং ধীরে ধীরে বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া। ২ মার্চ ১০০ বছর পেরিয়েছেন দিয়োগো।

EiSamay.Com 13 Jul 2019, 8:10 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর দু’টি ইচ্ছে। এক, প্যারিসে গিয়ে আইফেল টাওয়ারে চড়া। দুই, রোমে গিয়ে পোপকে দেখা। কিন্তু যাবেন কবে? বয়স যে একশো। তাতে অবশ্য দমছেন না দিয়োগো পিয়েদাদে হোসে সিম্প্লিসিও ফার্নান্ডেজ ওরফে দিয়োগো ফার্নান্ডেজ। শতবর্ষ পার করা দিয়োগো শুক্রবার তৃতীয় বারের জন্য রিনিউ করালেন নিজের পাসপোর্ট। আজ না হোক কাল, যাবেনই বিদেশে।
EiSamay.Com diego fernandez renew his passport in third time
৪৫ মিনিটের মধ্যেই নতুন পাসপোর্ট হাতে পেয়ে গেলেন দিয়োগো - এই সময়


অবসরপ্রাপ্ত সাম্মানিক পর্তুগিজ কনসাল জেনারেল দিয়োগোর জন্ম গোয়ায়। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর ১৯৩৪ সালে, মাত্র পনেরো বছর বয়সে কাকার সঙ্গে চলে আসেন কলকাতায়। তারপর সেখানেই বড় হওয়া, চাকরি এবং ধীরে ধীরে বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া। ২ মার্চ ১০০ বছর পেরিয়েছেন দিয়োগো। কিন্তু ইচ্ছের তো বয়স বাড়েনি! দিয়োগোর মেয়ে সেন্ট জেভিয়ার্সের শিক্ষিকা বেভারলি ফার্নান্ডেজ বলেন, ‘বাবার বেশ কিছু ইচ্ছে রয়েছে। যেগুলো উনি পূরণ করতে চান। আর বাবার শরীরে সইলে আমি সেগুলো পূরণ করব। ইতিমধ্যেই কিছু পূরণ করেওছি।’

কী সেগুলো? স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম নির্বাচন থেকে নিজের ভোট দিয়ে আসছেন দিয়োগো। চেয়েছিলেন ১৭ তম লোকসভা নির্বাচনেও ভোট দিতে। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করেছেন মেয়ে। নিজের জন্মস্থান, গোয়ায় একবার ফিরে যেতে চেয়েছিলেন পার্ক স্ট্রিট লাগোয়া ম্যাকলিয়ড স্ট্রিটের বাসিন্দা দিয়োগো। মে মাসে সেখানেও ঘুরে এসেছেন তিনি। ‘বাবা প্রায় ৫০ বছর বাদে গোয়ায় গেলেন। খুব খুশি হয়েছিলেন সেখানে গিয়ে,’ জানান বেভারলি।

সম্প্রতি মেয়ের কাছে ইউরোপে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন দিয়োগো। কিন্তু, ২০ বছরের পুরোনো পাসপোর্টের মেয়াদ পেরিয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরেই। বাবার ইচ্ছেপূরণে তাই রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার বিভূতিভূষণ কুমারের কাছে গত বুধবার পাসপোর্ট রিনিউয়ালের মেইল করেন রেভারলি। দ্রুত উত্তর আসে রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসারের কাছ থেকে। শুক্রবার বেলা তিনটেয় তাঁকে যেতে বলা হয়। দিয়োগোর বয়স এবং শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে ৪৫ মিনিটের মধ্যেই পাসপোর্ট রিনিউ করে দিয়োগোর হাতে তুলে দেন রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার বিভূতিভূষণ কুমার। শুক্রবার বিকেলে বিভূতিভূষণ বলেন, ‘দিয়োগোর মতো উৎসাহী ব্যক্তির পাসপোর্ট রিনিউ করতে পেরে আমরা খুশি। ওঁর ঘটনাটি ব্যতিক্রমী ছিল, তাই আরপিও’ও ব্যতিক্রমী ভূমিকা পালন করেছে। আশা করছি, পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে পূরণ করতে পারবেন তিনি।’ দিয়োগো কবে ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’ কাটাতে পারেন, তা অবশ্য নির্ভর করছে তাঁর স্বাস্থ্যের উপরই।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল