এই সময়, জলপাইগুড়ি: মাসখানেক বাদে পুজো। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাকে সঙ্গী করেই সপরিবারে মর্তে আসছেন মা দুর্গা। গতবার তিনি যখন এসেছিলেন, তখন করোনা থাকলেও ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়নি। আর এবার বহু মানুষ টিকার দুটি ডোজ নিয়ে তৈরি হয়ে রয়েছেন উৎসবে মেতে উঠতে। তবে সবার ভাগ্যে তা যে জুটেছে এমন নয়। করোনার টিকা থেকে এখনও বঞ্চিত রয়ে গিয়েছেন ডুয়ার্সের অসুর সম্প্রদায়ের মানুষেরাই। সোজাভাবে বলতে গেলে, দুর্গা পুজোর একমাস বাকি থাকলেও ভ্যাকসিন পাননি অসুররা। এখানে অসুরের বংশধর প্রেমা, জগন্নাথ, সঙ্গীতাদের কথা বলা হয়েছে। যাঁরা নিজেদের ওই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বলে মনে করেন। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ শেষ করে দ্বিতীয় ডোজের কাজ চলছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিনের কোনও ডোজই জোটেনি অসুর সম্প্রদায়ের মানুষদের।
নাগরাকাটা ব্লকের ভুটান সীমান্তে কেরন চা-বাগানের একফালি গ্রামে অসুর সম্প্রদায়ের বসবাস। এমনিতেই একাধিক সমস্যায় তাঁদের জীবন জর্জরিত। এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কোনওভাবে কাটিয়ে উঠেছেন তাঁরা। সেটা বিদায় নিতে না নিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিঃশ্বাস ফেলছে ঘাড়ে। সামনে দুর্গাপুজো, শ্যামাপুজো থেকে শুরু করে বড়দিন। চা বাগানের এই বাসিন্দারাও মেতে উঠবেন উৎসবের আমেজে। কিন্তু ভ্যাকসিনের ডোজ না পেয়ে তাঁদের অভিযোগ, 'আমাদের কথা তো কেউ মনে রাখে না তাই হয়ত টিকা পাইনি। এই বাগানে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়ার কোনও ব্যবস্থাও করা হয়নি।'
স্থানীয় বাসিন্দা জগন্নাথ অসুর বলেন, 'আমরা কেউ ভ্যাকসিন পাইনি। আমার এবং ছেলের জ্বর। বর্তমানে বাড়িতেই আছি। এমন অনেক অসুর সম্প্রদায়ের মানুষ জ্বর নিয়ে বাড়িতে আছেন। দেখার কেউ নেই। বাইরে যাব কেমন করে তাই ভাবছি।'
জানা গিয়েছে, আশেপাশের গ্রামে হাতেগোনা দু'চারজনের ভ্যাক্সিনেশন হলেও অন্যান্য বাসিন্দারা তাও পাননি। অসুরদের গ্রামজুড়ে বেশ কয়েকটি পরিবার জ্বর, সর্দি-কাশির মতো নানা সমস্যায় রয়েছেন। তাই তাঁরা চাইছেন ওই এলাকাতেও সরকারের তরফ থেকে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
বিষয়টি নিয়ে ওএসডি উত্তরবঙ্গ সুশান্ত রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি ওই গ্রামে টিকাদান না হয়ে থাকে তবে বুধবার ওই এলাকার সব বাসিন্দাদের অবশ্যই ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।'
সঙ্গীতা অসুর, প্রেমা অসুররা বলেন, সারা বছর ধরেই কেউ আমাদের খোঁজখবর নেয় না। শুধু ভোটের আগে সব দলের নেতারা আসেন। ইতিমধ্যে জেলার বেশির ভাগ জায়গাতেই টিকাদান হয়ে গিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। যেভাবে কিছু লোকের জ্বর এসেছে তাতেও আমরা ভয়ে আছি। আমরা চাই এখানে চিকিৎসকরা আসুন। আমাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হোক।'
নাগরাকাটা ব্লকের ভুটান সীমান্তে কেরন চা-বাগানের একফালি গ্রামে অসুর সম্প্রদায়ের বসবাস। এমনিতেই একাধিক সমস্যায় তাঁদের জীবন জর্জরিত। এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কোনওভাবে কাটিয়ে উঠেছেন তাঁরা। সেটা বিদায় নিতে না নিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিঃশ্বাস ফেলছে ঘাড়ে। সামনে দুর্গাপুজো, শ্যামাপুজো থেকে শুরু করে বড়দিন। চা বাগানের এই বাসিন্দারাও মেতে উঠবেন উৎসবের আমেজে। কিন্তু ভ্যাকসিনের ডোজ না পেয়ে তাঁদের অভিযোগ, 'আমাদের কথা তো কেউ মনে রাখে না তাই হয়ত টিকা পাইনি। এই বাগানে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়ার কোনও ব্যবস্থাও করা হয়নি।'
স্থানীয় বাসিন্দা জগন্নাথ অসুর বলেন, 'আমরা কেউ ভ্যাকসিন পাইনি। আমার এবং ছেলের জ্বর। বর্তমানে বাড়িতেই আছি। এমন অনেক অসুর সম্প্রদায়ের মানুষ জ্বর নিয়ে বাড়িতে আছেন। দেখার কেউ নেই। বাইরে যাব কেমন করে তাই ভাবছি।'
জানা গিয়েছে, আশেপাশের গ্রামে হাতেগোনা দু'চারজনের ভ্যাক্সিনেশন হলেও অন্যান্য বাসিন্দারা তাও পাননি। অসুরদের গ্রামজুড়ে বেশ কয়েকটি পরিবার জ্বর, সর্দি-কাশির মতো নানা সমস্যায় রয়েছেন। তাই তাঁরা চাইছেন ওই এলাকাতেও সরকারের তরফ থেকে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
বিষয়টি নিয়ে ওএসডি উত্তরবঙ্গ সুশান্ত রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি ওই গ্রামে টিকাদান না হয়ে থাকে তবে বুধবার ওই এলাকার সব বাসিন্দাদের অবশ্যই ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।'
সঙ্গীতা অসুর, প্রেমা অসুররা বলেন, সারা বছর ধরেই কেউ আমাদের খোঁজখবর নেয় না। শুধু ভোটের আগে সব দলের নেতারা আসেন। ইতিমধ্যে জেলার বেশির ভাগ জায়গাতেই টিকাদান হয়ে গিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। যেভাবে কিছু লোকের জ্বর এসেছে তাতেও আমরা ভয়ে আছি। আমরা চাই এখানে চিকিৎসকরা আসুন। আমাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হোক।'