Jalpaiguri Tragedy : শুকনো নদী খাতে বোল্ডার ফেলা-ই কাল হল! মাল নদীতে হড়পা বানে একাধিক মানুষের ভেসে যাওয়ার ঘটনায় এমন তথ্যই উঠে আসছে। বিসর্জন ঠিকমতো করার জন্যই মাল নদীর (Mal River) শুকনো খাতে বোল্ডার ফেলা হয়েছিল। যাতে যেদিকে বিসর্জন হচ্ছে, সেদিকে যেন স্রোতের টান থাকে। আর এতেই বিপর্যয় ঘটল বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হঠাৎ করে হড়পা বান আসায় যেদিকে বিসর্জন হচ্ছিল, সেদিকেই জলের স্রোত আসে এবং সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। পাশাপাশি বিসর্জনের সময় নদীর তীরে সিভিল ডিফেন্সের (Civil Defence) মাত্র ৮ জন কর্মী ছিল এবং প্রস্তুতিতে খামতি ছিল বলেও অভিযোগ উঠছে। বিপর্যয় ঘটার পর কেবল দড়ি আর নৌকা ছাড়া সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের কাছে কিছু ছিল না বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালেই নদীঘাট পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক এবং উত্তরবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা পার্থ প্রতিম রায়। তাঁদের দাবি, বিসর্জনের সময় ঘাটে যথেষ্ট পরিমাণ সিভিল ডিভেন্সের কর্মী মোতায়েন ছিল এবং উদ্ধারকাজও তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয়েছে।
পাহাড়ি মাল নদীতে (Mal River) হড়পা বান নতুন কোন ঘটনা নয়। মাস খানেক আগেও মাল নদীতে হড়পা বানে তলিয়ে গিয়েছিল আস্ত একটি লরি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসও ছিল দার্জিলিং, সিকিম ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হবে। তারপরেও কী ভাবে শুকনো নদী খাতে বোল্ডার দিয়ে বাধ দেওয়া হল, নদীবক্ষে কী ভাবে এত মানুষকে যেতে দেওয়া হল এবং স্থানীয় প্রশাসন কেন এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আবার দিনের আলো থাকাকালীন বিকেল ৫টার মধ্যেই প্রশাসনের তরফে বিসর্জন সম্পূর্ণ করে দেওয়া উচিত ছিল বলে দাবি বিরোধী দলের। যদিও প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা ছিল, হঠাৎ করে হড়পা বান আসাতেই এই দুর্ঘটনা বলে দাবি রাজ্যের মন্ত্রী বুলচিক বড়াইকের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীর বিকালে মোট ৭০টি প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য মাল নদীর (Mal River) ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩০-৩৫টি প্রতিমার বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছিল। বাকিগুলি লরিতে করে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়েছিল। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হঠাৎ করে আসা হড়পা বানে ১০টি লরি সহ নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বহু মানুষ মুহূর্তের মধ্যে ভেসে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নদীতে জল বাড়তে শুরু করলে প্রাণে বাঁচতে সবাই নদী থেকে ডাঙায় উঠে আসার চেষ্টা করতেই হয় বিপত্তি। অনেকেই তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নদীতে পড়ে যায়। এরপর স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তাড়াহুড়ো না করার ব্যাপারে প্রশাসনের তরফে মাইকিং করা হয়। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি পুলিশ প্রশাসনের আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।
হড়পা বানে দুর্ঘটনার পরই উদ্ধারকাজে নামে জেলা প্রশাসন, দমকল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাত দেড়টা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলে এবং ৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৩ জনকে উদ্ধার করে মালবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। তাঁদের খোঁজে এদিন সকাল থেকে ফের নদীতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির জন্য উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। তবে সিভিল ডিফেন্স ও SDRF-এর উদ্ধারকাজে কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক (Jalpaiguri DM) মৌমিতা গোদারা।
পাহাড়ি মাল নদীতে (Mal River) হড়পা বান নতুন কোন ঘটনা নয়। মাস খানেক আগেও মাল নদীতে হড়পা বানে তলিয়ে গিয়েছিল আস্ত একটি লরি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসও ছিল দার্জিলিং, সিকিম ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হবে। তারপরেও কী ভাবে শুকনো নদী খাতে বোল্ডার দিয়ে বাধ দেওয়া হল, নদীবক্ষে কী ভাবে এত মানুষকে যেতে দেওয়া হল এবং স্থানীয় প্রশাসন কেন এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আবার দিনের আলো থাকাকালীন বিকেল ৫টার মধ্যেই প্রশাসনের তরফে বিসর্জন সম্পূর্ণ করে দেওয়া উচিত ছিল বলে দাবি বিরোধী দলের। যদিও প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা ছিল, হঠাৎ করে হড়পা বান আসাতেই এই দুর্ঘটনা বলে দাবি রাজ্যের মন্ত্রী বুলচিক বড়াইকের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীর বিকালে মোট ৭০টি প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য মাল নদীর (Mal River) ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩০-৩৫টি প্রতিমার বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছিল। বাকিগুলি লরিতে করে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়েছিল। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হঠাৎ করে আসা হড়পা বানে ১০টি লরি সহ নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বহু মানুষ মুহূর্তের মধ্যে ভেসে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নদীতে জল বাড়তে শুরু করলে প্রাণে বাঁচতে সবাই নদী থেকে ডাঙায় উঠে আসার চেষ্টা করতেই হয় বিপত্তি। অনেকেই তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নদীতে পড়ে যায়। এরপর স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তাড়াহুড়ো না করার ব্যাপারে প্রশাসনের তরফে মাইকিং করা হয়। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি পুলিশ প্রশাসনের আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।
হড়পা বানে দুর্ঘটনার পরই উদ্ধারকাজে নামে জেলা প্রশাসন, দমকল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাত দেড়টা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলে এবং ৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৩ জনকে উদ্ধার করে মালবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। তাঁদের খোঁজে এদিন সকাল থেকে ফের নদীতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির জন্য উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। তবে সিভিল ডিফেন্স ও SDRF-এর উদ্ধারকাজে কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক (Jalpaiguri DM) মৌমিতা গোদারা।