অ্যাপশহর

চন্দনাকে কোর্টে এনে মুখ পুড়ল গোয়েন্দা সংস্থার

শিশুবিক্রির মামলায় আচমকা জলপাইগুড়ির বেসরকারি হোমের কর্ত্রী চন্দনা চক্রবর্তী ও দার্জিলিং জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য দেবাশিস চন্দকে আদালতে এনে মুখ পুড়ল সিআইডির৷

EiSamay.Com 15 Mar 2017, 11:21 am
এই সময় , জলপাইগুড়ি : শিশুবিক্রির মামলায় আচমকা জলপাইগুড়ির বেসরকারি হোমের কর্ত্রী চন্দনা চক্রবর্তী ও দার্জিলিং জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য দেবাশিস চন্দকে আদালতে এনে মুখ পুড়ল সিআইডির৷ চন্দনার আইনজীবী অত্রি শর্মার অভিযোগ , তাঁকে না -জানিয়েই আদালতে চন্দনা ও দেবাশিসকে বিচারকের কাছে বয়ান নথিবদ্ধ করানোর জন্য সিআইডি নিয়ে আসে৷ তবে তাঁরা চন্দনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হওয়ায় সিআইডির সেই পরিকল্পনাও ভেস্তে গিয়েছে৷ অত্রি বলেন , ‘কিছুই জানতাম না৷ সিআইডি আচমকা আজ চন্দনা চক্রবর্তীকে আদালতে নিয়ে এসে জবানবন্দি দিতে বলে৷
EiSamay.Com jalpaiguri child trafficking case chandana chakraborty in jalpaiguri court
চন্দনাকে কোর্টে এনে মুখ পুড়ল গোয়েন্দা সংস্থার


বেশ কিছু লোকের নাম করে শিশুচুরির মামলায় তারা জড়িত বলে বিচারকের সামনে বলতে নির্দেশ দিয়েছিল৷ ’চন্দনা ও দেবাশিস দু’জনেই এখন জেল হেফাজতে৷ তাদের হঠাত্ আদালতে সিআইডির আনা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছে৷ বেকায়দায় পড়ে সিআইডি আধিকারিকরা পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করেন৷ আদালত চত্বরে হাজির সিআইডি আধিকারিকরা দাবি করেন , চন্দনার স্বাক্ষরের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য আদালতে আনা হয়েছিল৷ আবার কেউ বলেন , জেরা করার জন্য দেবাশিস ও চন্দনাকে আনা হয়েছিল৷ পরে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থাটির উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রান্ত স্পেশাল সুপারিন্টেডেন্ট অজয় প্রসাদ বলেন , ‘তদন্তের প্রয়োজনেই চন্দনা চক্রবর্তীকে আদালতে আনা হয়েছিল৷ এ ব্যাপারে আর কোনও মন্তব্য করব না৷ ’

শিশুবিক্রির তদন্তে এর আগেও সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল৷ ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস ও ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস একই সুরে শিশুবিক্রির জন্য ২০১৪ -১৫ -তে জলপাইগুড়ির অ্যাডহক ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে দায়ী করেছে৷ কিন্ত্ত সেই কমিটির কার্যকলাপ তাদের তদন্তের আওতার বাইরে বলে জানিয়েছেন সিআইডি আধিকারিকরা৷ যদিও এর ব্যাখ্যা তাঁরা দেননি৷ ওই অ্যাডহক কমিটি গঠন করে তত্কালীন প্রশাসনিক কর্তারাও ভুল করেছিলেন বলে দুই কমিশন মত প্রকাশ করলেও তা নিয়ে সিআইডি কোনও উত্সাহ দেখাচ্ছে না৷

সিআইডি হেফাজত শেষ হওয়ায় আদালতে হাজির করা হলে জলপাইগুড়ির ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার সুস্মিতা ঘোষও বলেন , ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্ত হচ্ছে৷ বিশেষ কাউকে কাউকে দোষী প্রমাণ করতেই যেন জেরা চলছে৷ আমি জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম , এ ভাবে অ্যাডহক কমিটি তৈরি করা যায় না৷ নতুন করে সিডব্লিউসি গঠনের জন্য বলেছিলাম৷ ’ আদালত এ দিন সুস্মিতাক তিন দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে৷ সিআইডি এ দিন চন্দনা চক্রবর্তীর বেসরকারি সংস্থার দুই কর্মী সঞ্জীব সরকার ও অন্নপূর্ণা রায় এবং হোমের দুই কর্মী রুনা চক্রবর্তী ও দীন্তি ঘোষের বয়ান আদালতে রেকর্ড করায়৷

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল