এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রেলের কর্মী তাপস বাগচীর জীবনের লক্ষ্য আর পাঁচ জনের থেকে বেশ খানিকটা আলাদা। আর তাই তো তিনি স্থির করেছেন বিভিন্ন রেল স্টেশন থেকে সেই সব শিশুকে তিনি উদ্ধার করে নতুন জীবন দেবেন যারা ঘর ছাড়া। এক সন্ধেতে হাওড়া থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময়েবালি স্টেশনের এক কর্মীর থেকে পান SOS। জানতে পারেন স্টেশনে এক ছোট্ট মেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যাকে বার বার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। ফোন পেয়ে আর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করেননি তাপস বাবু। পৌঁছে যান বালি স্টেশনে। সন্ধে হয়ে যাওয়ায় সেই সময়ে মেয়েটিকে কারও কাছে রাখার ব্যবস্থা না করতে পেরে নিয়ে আসেন কোননগরে নিজের বাড়িতেই।
এই ঘটনার ১২ বছর পর, গত মঙ্গলবার হাওড়া স্টেশনে তাপস বাগচীর নজরে আসে এক কিশোর। স্টেশনে পড়ে থাকা খাবার খুঁটে খাচ্ছিল সে। দেখে ভবঘুরে মনে না হলেও, সে যে ক্ষুধার্থ, তা বেশ স্পষ্ট ছিল। তাকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়ে পেট ভরে খাবার খাওয়ান। কথা বলতে বলতে জানতে পারেন ছত্তিসগড়ের দুর্গ-এ থাকে সে এবং একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। কয়েক বছর আগে বাবাকে হারিয়েছে সে। থাকে স্কুলে হস্টেলে এবং মাধ্যমিকে ৮৮ শতাংশ নম্বরও পেয়েছে। কোনও কারণে বিরক্ত হয়ে হস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে আসে সে। ট্রেনে করে চলে আসে এখানে। পরের কিছুদিন মানুষের থেকে পাওয়া খাবার এবং ডাস্টবিন থেকে তোলা খাবার দিয়েই পেট ভরিয়েছে সে। লজ্জায় কাউকে নিজের কথা বলতে পারেনি।
কিন্তু এবার আর ঘনশ্যাম সিং-কে নিজের বাড়ি নিয়ে আসতে হয়নি তাপস বাগচীকে। কয়েক বছর আগে কিছু বন্ধুর সঙ্গে মিলে তিনি তৈরি করেছেন Oistic সংস্থা। শ্রীরামপুরে জমি কিনে তৈরি করেছেন বাসস্থানও। বর্তমানে সেখানে ৬ জন ঘর ছাড়া শিশু থাকে। ঘনশ্যামকে সেখানেই নিয়ে যান তাপস বাবু। পরিষ্কার জামা কাপড় দেন এবং পরে যোগাযোগ করেন তার পরিবারের সঙ্গে।
তাপস বাবু জানিয়েছেন, ঘনশ্যামের মা কথা দেন বুধবারই হাওড়া পৌঁছে যাবেন তাঁর দাদা। তিনিই প্রয়োজনীয় নথি দেখিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন ভাগ্নেকে। কথা মতো বুধবার পরিচয় পত্র সঙ্গে নিয়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছান বীরেন্দ্র ঠাকুর। সিনিয়র রেল কর্মী পল্লবী গোস্বামীর উপস্থিতিতে ঘনশ্যামকে তুলে দেওয়া হয় তার মামার হাতে।
এই ঘটনার ১২ বছর পর, গত মঙ্গলবার হাওড়া স্টেশনে তাপস বাগচীর নজরে আসে এক কিশোর। স্টেশনে পড়ে থাকা খাবার খুঁটে খাচ্ছিল সে। দেখে ভবঘুরে মনে না হলেও, সে যে ক্ষুধার্থ, তা বেশ স্পষ্ট ছিল। তাকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়ে পেট ভরে খাবার খাওয়ান। কথা বলতে বলতে জানতে পারেন ছত্তিসগড়ের দুর্গ-এ থাকে সে এবং একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। কয়েক বছর আগে বাবাকে হারিয়েছে সে। থাকে স্কুলে হস্টেলে এবং মাধ্যমিকে ৮৮ শতাংশ নম্বরও পেয়েছে। কোনও কারণে বিরক্ত হয়ে হস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে আসে সে। ট্রেনে করে চলে আসে এখানে। পরের কিছুদিন মানুষের থেকে পাওয়া খাবার এবং ডাস্টবিন থেকে তোলা খাবার দিয়েই পেট ভরিয়েছে সে। লজ্জায় কাউকে নিজের কথা বলতে পারেনি।
কিন্তু এবার আর ঘনশ্যাম সিং-কে নিজের বাড়ি নিয়ে আসতে হয়নি তাপস বাগচীকে। কয়েক বছর আগে কিছু বন্ধুর সঙ্গে মিলে তিনি তৈরি করেছেন Oistic সংস্থা। শ্রীরামপুরে জমি কিনে তৈরি করেছেন বাসস্থানও। বর্তমানে সেখানে ৬ জন ঘর ছাড়া শিশু থাকে। ঘনশ্যামকে সেখানেই নিয়ে যান তাপস বাবু। পরিষ্কার জামা কাপড় দেন এবং পরে যোগাযোগ করেন তার পরিবারের সঙ্গে।
তাপস বাবু জানিয়েছেন, ঘনশ্যামের মা কথা দেন বুধবারই হাওড়া পৌঁছে যাবেন তাঁর দাদা। তিনিই প্রয়োজনীয় নথি দেখিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন ভাগ্নেকে। কথা মতো বুধবার পরিচয় পত্র সঙ্গে নিয়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছান বীরেন্দ্র ঠাকুর। সিনিয়র রেল কর্মী পল্লবী গোস্বামীর উপস্থিতিতে ঘনশ্যামকে তুলে দেওয়া হয় তার মামার হাতে।