এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : পূবালি হাওয়ার সঙ্গে ঝিরঝিরে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি। জলের রুপোলি শস্য জালে পড়ার এটাই সেরা সময়। আর এই ইলিশ যদি গঙ্গা কিংবা রূপনারায়ণের হয় তাহলে তো কথাই নেই! কিন্তু, বেশ কয়েকবছর ধরেই এই নদীর ইলিশের অতুলনীয় স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাঙালি। এ বছরও ভরা বর্ষাতে নদীতে জাল দিয়ে কার্যত দেখা নেই ইলিশ মাছের। গঙ্গা ও রূপনারায়ণে হারিয়ে যাচ্ছে ভোজনরসিক বাঙালির প্রিয় ইলিশ। কিন্তু, কেন হারিয়ে গেল গঙ্গা কিংবা রূপনারায়ণের ইলিশ? গঙ্গা এবং রূপনারায়ণের বিখ্যাত ইলিশ হারিয়ে যাওয়ার কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন 'ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব অ্যানিমেল অ্যান্ড ফিশারিজ সায়েন্সের অ্যাকোয়া কালচার'-এর বিভাগীয় প্রধান শিবকিরণ দাস। তিনি বলেন, 'নদীর মোহনাতে অতিরিক্ত যন্ত্রচালিত নৌকা ও ছোট ট্রলার ইলিশ ধরে নিচ্ছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই খোকা ইলিশ। এছাড়া বিপরীত স্রোত থাকায় মিষ্টি জলের গঙ্গা ও রূপনারায়ণ সহ বেশ কিছু নদীতে মাছ ঢুকতে পারছে না। পাশাপাশি পলি পড়ার কারণে এই নদীগুলোর গভীরতা ও জলের স্রোত কমে গিয়েছে। যা নদীতে ইলিশের গতিপথে অপ্রতিকূল হয়ে উঠেছে। এর উপর রয়েছে নদীতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ। সবমিলিয়ে, এই সমস্ত নদীতে মিষ্টি জলে ডিম পাড়তে আসছে না ইলিশের দল।'
গঙ্গা, রূপনারায়ণে আসতে না পারায় রুপোলি শস্যের ঝাঁক বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে চলে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শিবকিরণবাবু।যন্ত্রচালিত নৌকায় যে ছোট ইলিশ ধরা পড়ছে, সে কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন মৎস্যজীবীরাও। বিমল ধারা নামে এক মৎস্যজীবী বলেন, 'ডিজেল পুড়িয়ে যন্ত্রচালিত নৌকা নিয়ে গেলে যে সামান্য কিছু মাছ মিলছে তাও ছোটো মাপের। ফলে লোকসান হচ্ছে।' এ দিকে, বাংলাদেশের ইলিশ আমদানিও বন্ধ। তাই পদ্মা, মেঘনার মত নদীর ইলিশ বাঙালির নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। কিছু স্টোরেজের মাছ পাওয়া গেলেও তার দাম বাজারে আকাশছোঁয়া। ফলে এখন সমুদ্রের ইলিশই ভরসা ব্যবসায়ী থেকে ইলিশপ্রেমীদের কাছে।
যদিও ভোজনরসিক বাঙালির মতে, নদীর ইলিশের যে স্বাদ তা সমুদ্রের মাছে পাওয়া যায় না। তবে নদীতে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে তৎপর রাজ্য মৎস্য দফতর। 'এই সময় ডিজিটাল'-এর তরফে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'নদীতে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মোহনাতে ছোট ইলিশ ধরতে নিষেধ করা হয়েছে। ছোট ইলিশ সহ মৎস্যজীবী ধরা পড়লে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। পাশাপাশি বছরে ৬১ দিন ইলিশ মাছ ধরার উপর যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে। মাছের আড়তগুলিতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, যাতে কেউ ছোট মাছ ধরতে না পারেন।'সরকারের এই তৎপরতার সুফল আগামী বছর মেলে কিনা, ভোজনরসিক বাঙালি আবার নদীর ইলিশের স্বাদ পায় কিনা, এখন সেটাই দেখার!
গঙ্গা, রূপনারায়ণে আসতে না পারায় রুপোলি শস্যের ঝাঁক বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে চলে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শিবকিরণবাবু।যন্ত্রচালিত নৌকায় যে ছোট ইলিশ ধরা পড়ছে, সে কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন মৎস্যজীবীরাও। বিমল ধারা নামে এক মৎস্যজীবী বলেন, 'ডিজেল পুড়িয়ে যন্ত্রচালিত নৌকা নিয়ে গেলে যে সামান্য কিছু মাছ মিলছে তাও ছোটো মাপের। ফলে লোকসান হচ্ছে।' এ দিকে, বাংলাদেশের ইলিশ আমদানিও বন্ধ। তাই পদ্মা, মেঘনার মত নদীর ইলিশ বাঙালির নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। কিছু স্টোরেজের মাছ পাওয়া গেলেও তার দাম বাজারে আকাশছোঁয়া। ফলে এখন সমুদ্রের ইলিশই ভরসা ব্যবসায়ী থেকে ইলিশপ্রেমীদের কাছে।
যদিও ভোজনরসিক বাঙালির মতে, নদীর ইলিশের যে স্বাদ তা সমুদ্রের মাছে পাওয়া যায় না। তবে নদীতে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে তৎপর রাজ্য মৎস্য দফতর। 'এই সময় ডিজিটাল'-এর তরফে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'নদীতে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মোহনাতে ছোট ইলিশ ধরতে নিষেধ করা হয়েছে। ছোট ইলিশ সহ মৎস্যজীবী ধরা পড়লে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। পাশাপাশি বছরে ৬১ দিন ইলিশ মাছ ধরার উপর যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে। মাছের আড়তগুলিতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, যাতে কেউ ছোট মাছ ধরতে না পারেন।'সরকারের এই তৎপরতার সুফল আগামী বছর মেলে কিনা, ভোজনরসিক বাঙালি আবার নদীর ইলিশের স্বাদ পায় কিনা, এখন সেটাই দেখার!