ছএই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ছটপুজো উপলক্ষ্যে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে রামকৃষ্ণপুর গঙ্গাঘাটে। হাওড়া সিটি পুলিশ এবং পুরসভার যৌথ উদ্যোগে ব্যারিকেড দিয়ে ঘাট ঘিরে ফেলার কাজ চলছে। সোমবার সকালে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী ও ভাইস-চেয়ারম্যান সৈকত চৌধুরী শহরের বিভিন্ন গঙ্গাঘাট পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন। গঙ্গাঘাট পরিচ্ছন্নতা থেকে পুলিশি নিরাপত্তা সহ যাবতীয় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। যদিও এখনও অধিকাংশ ঘাটে আলোর ব্যবস্থা হয়নি। তবে শীঘ্রই সমস্ত আয়োজন হয়ে যাবে আশ্বাস দিয়ে রামকৃষ্ণপুর ঘাট পরিদর্শনের পর পুর প্রশাসক জানান, মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই বিভিন্ন গঙ্গাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ এবং যথাযথ আলোর ব্যবস্থা হয়ে যাবে। যাতে পুণ্যার্থীদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সেদিকে নজর রাখা হবে। পুর প্রশাসকদের পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিশের তরফ থেকে বিভিন্ন গঙ্গাঘাটেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ছটপুজোর দিন প্রতিটি গঙ্গাঘাটে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। কড়া নজরদারি চলবে। গঙ্গার ঘাটগুলিতে ইতিমধ্যে ব্যারিকেড করা হয়েছে। এছাড়াও দড়ি বেঁধে বিপদসীমা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। যাতে বিপদসীমা কেউ পেরিয়ে এগিয়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। সিটি পুলিশের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, যাতে কোনরকম অঘটন না ঘটে, সেজন্য কড়া নজরদারি ও ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় সাদা পোশাকে সিটি পুলিশ আধিকারিকেরা মোতায়েন থাকবেন বলে খবর।
হিন্দি ভাষাভাষী ও উত্তর ভারতের মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় উৎসব ছট পুজো। বর্তমানে রাজ্যেও বহু হিন্দিভাষী ও উত্তর ভারতের মানুষ বসবাস করেন। ফলে এ রাজ্যেও ছটপুজো নিয়ে উন্মাদনা কম নয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও এ বছর ছটপুজোয় দু'দিন ছুটি ঘোষণা করেছে। সোমবার পুণ্যার্থীরা গঙ্গায় স্নান করে বাড়িতে গিয়ে লাউ-ভাত খেয়ে থাকেন । এটিকে বলা ‘না-হায়ে খায়’। মঙ্গলবার ‘খরনা’ অর্থাৎ সারাদিন পুজো করে সন্ধ্যায় প্রসাদী লাউয়ের পায়েস গ্রহণ করবেন। তারপর বুধবার ‘সন্ধ্যা আরাগ’ অর্থাৎ সারাদিন উপবাস করে সূর্যাস্তের সময় গঙ্গাঘাটে গিয়ে সূর্যপুজো করবেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে সূর্যোদয়ের সময় আবার সূর্যোপুজো করে পুজো সম্পন্ন হবে। তারপরই জল, অন্ন গ্রহণ করবেন উপসীরা। ভোরের এই পুজোকে বলা হয় ‘পারাণ’। সকলের মঙ্গল কামনার অস্তাচলে যাওয়া সূর্য এবং পরদিন সূর্য ওঠার সময় গঙ্গাঘাটে বা স্থানীয় বিভিন্ন জলাশয়ের দাঁড়িয়ে ছটি মা (সূর্য)-র পুজো করেন পুণ্যার্থীরা।
হিন্দি ভাষাভাষী ও উত্তর ভারতের মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় উৎসব ছট পুজো। বর্তমানে রাজ্যেও বহু হিন্দিভাষী ও উত্তর ভারতের মানুষ বসবাস করেন। ফলে এ রাজ্যেও ছটপুজো নিয়ে উন্মাদনা কম নয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও এ বছর ছটপুজোয় দু'দিন ছুটি ঘোষণা করেছে। সোমবার পুণ্যার্থীরা গঙ্গায় স্নান করে বাড়িতে গিয়ে লাউ-ভাত খেয়ে থাকেন । এটিকে বলা ‘না-হায়ে খায়’। মঙ্গলবার ‘খরনা’ অর্থাৎ সারাদিন পুজো করে সন্ধ্যায় প্রসাদী লাউয়ের পায়েস গ্রহণ করবেন। তারপর বুধবার ‘সন্ধ্যা আরাগ’ অর্থাৎ সারাদিন উপবাস করে সূর্যাস্তের সময় গঙ্গাঘাটে গিয়ে সূর্যপুজো করবেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে সূর্যোদয়ের সময় আবার সূর্যোপুজো করে পুজো সম্পন্ন হবে। তারপরই জল, অন্ন গ্রহণ করবেন উপসীরা। ভোরের এই পুজোকে বলা হয় ‘পারাণ’। সকলের মঙ্গল কামনার অস্তাচলে যাওয়া সূর্য এবং পরদিন সূর্য ওঠার সময় গঙ্গাঘাটে বা স্থানীয় বিভিন্ন জলাশয়ের দাঁড়িয়ে ছটি মা (সূর্য)-র পুজো করেন পুণ্যার্থীরা।