অ্যাপশহর

লকডাউনে কামাই নেই, সাঁতরেই রোজ অফিসে হাজির 'বীর' বাঙালি!

গোটা ঘটনা জানার পর সঞ্জয়ের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত।

PTI 21 May 2020, 8:46 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: 'ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করুন।' প্রত্যেক দিন কাজে যাওয়ার সময় এই প্রার্থনা করেন ২৮ বছরের সঞ্জয় পাল। নদীয়ার এক সোনার দোকানের কর্মচারী সঞ্জয় ইদানিং নদীতে সাঁতার কেটে কাজে পৌঁছে যান। করোনাভাইরাস এবং লকডাউনের কারণে জলপথে পরিবহণ বন্ধ হয়। এর জেরেই গত ২০ দিন ধরে সাঁতরে কাজে পৌঁছচ্ছেন সঞ্জয়... নিজের ও পরিবারের পেটের তাগিদে।
EiSamay.Com Swimming
প্রতীকী ছবি


'আমি মোটেই ভালো সাঁতার জানি না। তবে আর কোনও উপায় নেই। তবে পাঁচ জনের পরিবারে খাবার জোগাড় করতে হুগলি নদীতে ২ ঘণ্টা সাঁতার কেটে কাজে পৌঁছই।' পশ্চিম বর্ধমানে নিজের বাড়ি থেকে PTI-কে জানান সঞ্জয়।

মাসিক ₹১০ হাজার বেতন। ছুটি নিলে ওই দিনের টাকা কাটা যায়। এমন অবস্থায় হুগলি নদীতে সাঁতার ছাড়া উপায় থাকে না সঞ্জয়ের কাছে। 'মালিক বলেছেন, ছুটি নিলে টাকা কাটবে। আগে বোট পেয়ে যেতাম। লকডাউনে তা বন্ধ। তাই সাঁতরে কাজে পৌঁছতে হচ্ছে।'

গোটা ঘটনা জানার পর সঞ্জয়ের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত।

খবরটি ইংরেজিতে পড়তে ক্লিক করুন

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল