অ্যাপশহর

তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, প্রতিবাদে ব্যান্ডেল-চুঁচুড়ায় চলছে বন্‌ধ

রবিবার সকাল থেকে ব্যান্ডেল ও চুঁচুড়ায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ। ব্যান্ডেল বাজার, বালির মোড়, চকবাজার, রবীন্দ্রনগর বাজার ও খড়ুয়া বাজার খোলেনি। মাছ থেকে সবজি বাজার বন্ধ।

EiSamay.Com 30 Jun 2019, 12:11 pm
EiSamay.Com bandel station shootout
ব্যান্ডেল স্টেশনের ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্তারা।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই চলছিল খুনের হুমকি। শনিবার দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন হুমকির শিকার ওই তৃণমূল নেতা তথা ব্যান্ডেল পঞ্চায়েত প্রধান রীতু সিংয়ের স্বামী দিলীপ রাম। তার জেরেই রবিবার চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকায় চলছে ২৪ ঘণ্টার বন্‌ধ।

রবিবার সকাল থেকে ব্যান্ডেল ও চুঁচুড়ায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ। ব্যান্ডেল বাজার, বালির মোড়, চকবাজার, রবীন্দ্রনগর বাজার ও খড়ুয়া বাজার খোলেনি। মাছ থেকে সবজি বাজার বন্ধ। দু-একটি জায়গায় চায়ের দোকান খোলা রয়েছে। ঘটনার পর থেকে শনিবার দুপুরেই চুঁচুড়া বনধের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। চুঁচুড়া প্রধান বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনও দূরপাল্লার বাস বা ট্রেকার ছাড়েনি এদিন। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু টোটো বা অটো চলছে। এলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকায় এলাকা রয়েছে পুলিশি টহলদারি।

শনিবার সাতসকালে ভরা ব্যান্ডেল স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওঠার মুখে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে দিলীপ রামকে (৪২) গুলি করে দুষ্কৃতীরা। চোখের সামনে গুলিতে খুন হতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অপেক্ষারত যাত্রীরা। দিলীপের বাড়ি ব্যান্ডেলের লিচুবাগানে। রেলকর্মী দিলীপ রোজকার মতো নৈহাটিতে যাওয়ার জন্য লাইন টপকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে যাচ্ছিলেন। সে সময় খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে তিন আততায়ী। মাথার পিছনে গুলি লাগায় রেললাইনের স্লিপারের উপর লুটিয়ে পড়েন দিলীপ। দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েই হুগলি স্টেশনের দিকে পালিয়ে যায়।

দিলীপকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। চুঁচুড়া থেকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় শ্রীরামপুরের কাছে মারা যান তিনি। দিলীপের স্ত্রী রিতু সিং ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের প্রধান। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী লালার ভাই বিরজু সিং অনেক দিন ধরে দিলীপকে হুমকি দিচ্ছিল। বিরজু ও তার দলবল স্বামীকে খুন করেছে বলে ইমামবাড়া হাসপাতালে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন রিতু। দিলীপের দেহ লিচুবাগানে আসার পর ভেঙে পড়ে এলাকার লোকজন। মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, দিলীপ রামকে খুন করার জন্য রীতিমতো রেকি করা হয়েছিল। আততায়ীরা ছিল যাত্রীদের মধ্যেই। কয়েকদিন আগে ঝাড়খণ্ড থেকে ফোনে খুনে হুমকি দেওয়া হয় দিলীপ রামকে। ফলে মনে করা হচ্ছে ঘটনার পেছনে ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের যোগাযোগ থাকতে পারে। এই ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন এলাকার বিধায়ক অসিত মজুমদার। অসিত বলেন, ‘দিলীপ আমাদের দলের একনিষ্ঠ সংগঠক ছিল। ভোটের আগে থেকেই ওকে বিরজু নানা ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল। ৩০ এপ্রিল পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল