West Bengal News : লড়়াইটা একেবারেই সহজ ছিল না। প্রতিনিয়ত সমাজের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তার জন্য শুনতে হয়েছিল গঞ্জনাও। তবে শত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিলেন তিনি। আর তার মাধ্যমেই লড়াই চালিয়ে জয়ী হলেন। লোক আদালতের (Chinsurah Lok Adalat) বিচারকের আসনে বসছেন রূপান্তরকামী (Transgender Judge) সমাজ কর্মী। আর এভাবেই সমাজকে অনেক উপেক্ষার জবাব দিলেন তিনি। তাঁর ভাবনার মননের বিচার করত পরিবার সমাজ, এবার সেই অত্রি কর আদালতে বিচারকের আসনে! কুন্তিঘাটের রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ত্রিবেনীর বাসিন্দা অত্রি। তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার নিয়ে লড়াই করেন।ছোটদের পড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজ করেন। সু্প্রিম কোর্ট তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দিয়েছে কিন্তু এখনও অধিকারের লড়াই থামেনি। সেই লড়াই এবং সামাজিক কাজের জন্য অত্রি করকে লোক আদালতের বিচারকের সম্মান দেওয়া হয়েছে।
চুঁচুড়ায় হুগলি জেলা জজ কোর্টে লোক আদালত বসে। পাঁচটি বেঞ্চে সারে ছয় হাজার মামলার নিস্পত্তি হয়। ফৌজদারী, চেক বাউন্স, গাড়ি দূর্ঘটনা, শ্রম বিবাদ, বিদ্যুৎ বিল, বৈবহিক মামলা, ভূমি অধিগ্রহণ, রাজস্ব আদায় অন্যান্য নাগরিক বিষয়ক মামলার নিষ্পত্তি হয়। বেঞ্চে বিচারক হিসেবে, হাইকোর্টের বিচারপতি, আইনজীবী ও সমাজ কর্মীরা।
সাফল্যের পর কী বলছেন অত্রি?
অত্রি বলেন, "২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে সামনে আনার প্রচেষ্টা করা হয়নি। সেই জায়গা থেকে স্টেট ও ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটি যেটা করছেন সেটা অবশ্যই সাধুবাদের যোগ্য। এর আগেও একবার বিচারক দীপঙ্কর দত্ত আমাকে সম্মান পুরস্কার দিয়েছেন। এগুলো ভালো লাগে যে যারা একদিন আমাদের বিচার করেছেন তাঁরাই আমাদের ডেকেছেন আমাদের পাশে বসছেন সম্মান দিচ্ছেন। এটা আমাদের কাছে সম্মানের। জাজমেন্ট তো আমরা সারা জীবনই করি। আর লোকজন হয়তো আমাদের সম্পর্কে একটু বেশিই জাজমেন্টাল। তবে আজ মেন্টালটা বাদ দিয়ে শুধু জাজ করব। আমি নিজে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালাই। সেই কাজে ডিস্ট্রিক্ট ও স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি আমাকে প্রচুর সাহায্য করে।"
পাণ্ডুয়ার দাবরা গ্রামের শেখ বরকতউল্লা চাষের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ফসল নষ্ট হওয়ায় ঋণ শোধ করতে পারেননি। লোক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। শনিবার সেই মামলারও নিষ্পত্তি হয়। লোক আদালতে অনেক পুরনো মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় খুশি বাদী-বিবাদী দু’পক্ষই।
চুঁচুড়ায় হুগলি জেলা জজ কোর্টে লোক আদালত বসে। পাঁচটি বেঞ্চে সারে ছয় হাজার মামলার নিস্পত্তি হয়। ফৌজদারী, চেক বাউন্স, গাড়ি দূর্ঘটনা, শ্রম বিবাদ, বিদ্যুৎ বিল, বৈবহিক মামলা, ভূমি অধিগ্রহণ, রাজস্ব আদায় অন্যান্য নাগরিক বিষয়ক মামলার নিষ্পত্তি হয়। বেঞ্চে বিচারক হিসেবে, হাইকোর্টের বিচারপতি, আইনজীবী ও সমাজ কর্মীরা।
সাফল্যের পর কী বলছেন অত্রি?
অত্রি বলেন, "২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে সামনে আনার প্রচেষ্টা করা হয়নি। সেই জায়গা থেকে স্টেট ও ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটি যেটা করছেন সেটা অবশ্যই সাধুবাদের যোগ্য। এর আগেও একবার বিচারক দীপঙ্কর দত্ত আমাকে সম্মান পুরস্কার দিয়েছেন। এগুলো ভালো লাগে যে যারা একদিন আমাদের বিচার করেছেন তাঁরাই আমাদের ডেকেছেন আমাদের পাশে বসছেন সম্মান দিচ্ছেন। এটা আমাদের কাছে সম্মানের। জাজমেন্ট তো আমরা সারা জীবনই করি। আর লোকজন হয়তো আমাদের সম্পর্কে একটু বেশিই জাজমেন্টাল। তবে আজ মেন্টালটা বাদ দিয়ে শুধু জাজ করব। আমি নিজে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালাই। সেই কাজে ডিস্ট্রিক্ট ও স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি আমাকে প্রচুর সাহায্য করে।"
পাণ্ডুয়ার দাবরা গ্রামের শেখ বরকতউল্লা চাষের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ফসল নষ্ট হওয়ায় ঋণ শোধ করতে পারেননি। লোক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। শনিবার সেই মামলারও নিষ্পত্তি হয়। লোক আদালতে অনেক পুরনো মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় খুশি বাদী-বিবাদী দু’পক্ষই।