এই সময়, ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের হাতে ইটের গাঁথনি দিয়ে বাড়ির ছাদ ঢালাই করেছিলেন ব্যান্ডেল-বলাগড় শ্রীপল্লির সহদেব সরকার। কিন্তু মেরুদণ্ডে গুরুতর চোট পান তিনি। তার পর কেটে গিয়েছে আট বছর। শরীরের নীচের অংশ অসাড় হয়ে যাওয়ায় বিছানায় শয্যাশায়ী বছর বাহান্নর সহদেব। অভাবের সংসারে একমাত্র রোজগেরে অকেজো হয়ে যেতেই চোখে সর্ষেফুল দেখতে শুরু করেন সহদেবের স্ত্রী। সংসার খরচের চাপ সামাল দিতে গিয়ে নবম শ্রেণিতেই পড়াশোনায় ছেদ পড়ে একমাত্র ছেলে গৌতমের। ছাত্র থেকে দিনমজুর হয়ে যাওয়া ছেলের সামান্য রোজগারে হালে পানি পাচ্ছে না তিন জনের পরিবার। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে চুঁচুড়া সদর হাসপাতাল থেকে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র বের করেন সহদেব। সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করা হয় মহকুমাশাসকের দপ্তরে। কিন্তু মাসের পর মাস কেটে গেলেও মেলেনি সাহায্য। বাধ্য হয়েই সহদেবের স্ত্রী জয়াবতী ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে বেশ কয়েক বার ফোন করে পরিবারের অসহায়তার কথা জানান। তাঁদের বক্তব্য নথিভুক্ত করা আছে বলে জায়াবতীকে আশ্বস্ত করেছে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর। তার পর থেকেই সরকারি ভাতা পাওয়ার আসায় দিন গুনছে গোটা পরিবার।
ব্যান্ডেল চৌমাথা পেড়িয়ে ডানলপ কারখানার ডান দিকে লিচুবাগান থেকে কিছুটা সামনের দিকে এগোতেই রাস্তার ধারে একতলা বাড়ি সহদেবের। দিনের সিংহভাগ সময় তাঁর বিছানায় শুয়েই কাটে। চোটের কারণে হাঁটাচলা করতে না পারায় পায়ের নীচের দিক কিছুটা বেঁকে গিয়েছে। সহদবে বলেন, ‘পরিশ্রম করতে ভয় পেতাম না। দিনভর কঠোর পরিশ্রম করতাম। এখন কোনও রকম আধমরা হয়ে বেঁচে আছি।’ সহদেবের স্ত্রী জয়াবতী বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরে আমার স্বামীর কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ওঁর চিকিৎসা করাতে গিয়ে যেটুকু সম্বল ছিল, তা-ও শেষ হয়ে গিয়েছে। ছেলেটা মাঝপথে পড়াশোনা বন্ধ করে দিনমজুরি করছে। ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করে জানিয়েছি। আমাদের শুধু বলা হয়েছে, ঠিকানা রেজিস্টার করা আছে। আমরা গরিব মানুষ। শুনতে পাচ্ছি, ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করে অনেকের সমস্যা মিটেছে। সে কারণেই আশায় আছি, যদি কিছু হয়।’ স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘সহদেবের পরিবার বা ওই এলাকার কেউ আমাকে এ বিষয়ে আগে কিছু জানায়নি। তবে আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
ব্যান্ডেল চৌমাথা পেড়িয়ে ডানলপ কারখানার ডান দিকে লিচুবাগান থেকে কিছুটা সামনের দিকে এগোতেই রাস্তার ধারে একতলা বাড়ি সহদেবের। দিনের সিংহভাগ সময় তাঁর বিছানায় শুয়েই কাটে। চোটের কারণে হাঁটাচলা করতে না পারায় পায়ের নীচের দিক কিছুটা বেঁকে গিয়েছে। সহদবে বলেন, ‘পরিশ্রম করতে ভয় পেতাম না। দিনভর কঠোর পরিশ্রম করতাম। এখন কোনও রকম আধমরা হয়ে বেঁচে আছি।’ সহদেবের স্ত্রী জয়াবতী বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরে আমার স্বামীর কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ওঁর চিকিৎসা করাতে গিয়ে যেটুকু সম্বল ছিল, তা-ও শেষ হয়ে গিয়েছে। ছেলেটা মাঝপথে পড়াশোনা বন্ধ করে দিনমজুরি করছে। ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করে জানিয়েছি। আমাদের শুধু বলা হয়েছে, ঠিকানা রেজিস্টার করা আছে। আমরা গরিব মানুষ। শুনতে পাচ্ছি, ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করে অনেকের সমস্যা মিটেছে। সে কারণেই আশায় আছি, যদি কিছু হয়।’ স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘সহদেবের পরিবার বা ওই এলাকার কেউ আমাকে এ বিষয়ে আগে কিছু জানায়নি। তবে আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’