এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : চারদিকে জল থইথই। ঘরে কোমর সমান জল। রাস্তা নদীর আকার নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাত দুপুরে প্রসব যন্ত্রণায় কাতর হয়ে ওঠেন খানাকুলের শাবলসিংহপুর গ্রামের গৃহবধূ সরস্বতী ধারা। তাঁকে যখন কীভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন ভেবে পাচ্ছে না কৃষক পরিবার, ঠিক সেই সময়ই দেবদূতের মত হাজির হন হুগলি জেলা ক্যুইক রেসপন্স টিমের তিন সদস্য। তাঁরাই নিজেদের জীবন বাজি রেখে বোটে করে বছর ২৩-এর ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে যান। তারপর হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে একটি ফুটফুটে শিশুর জন্ম দেন সরস্বতী। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ রয়েছেন। সঠিক সময়ে জেলা ক্যুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা হাজির না হলে তাঁদের বাঁচানো যেত না। তাঁরা ক্যুইক রেসপন্স টিমের ওই সদস্যদের কৃতজ্ঞতাও জানাতেও ভোলেননি সরস্বতী ধারার পরিবার।
ক্যুইক রেসপন্স টিমের ওই সদস্যদের জন্যই আতঙ্কের প্রহর কাটিয়ে নতুন ভোর দেখতে পেল সরস্বতী ধারার পরিবার। গৃহবধূর কৃষক স্বামী জানান, রবিবার রাতে হঠাৎ করেই স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠে। কিন্তু ঘর-দোরে কোমর সমান জল। রাস্তাও নদীর আকার নিয়েছে। ফলে রাতদুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। সেই সময় গ্রামের এক যুবক বিশ্বজিৎ জেলা ক্যুইক রেসপন্স টিমকে ফোন করে খবর দেন। সেই ফোন পাওয়া মাত্রই মাঝরাত, অতিরিক্ত জলের কথা ভুলে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন ক্যুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা। উদ্ধারকারী টিমের সদস্য সুব্রত পাল বলেন, ‘প্লাবিত খানাকুলের মানুষদের সাহায্যের জন্য আমরা গত কয়েকদিন ধরে খানাকুল-২ বিডিও অফিসেই থাকছি।
রবিবার রাতে শাবলসিংহপুর গ্রামের বিশ্বজিৎ নামে এক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, সরস্বতী ধারা নামে গৃহবধূর প্রসব বেদনা উঠেছে। কিন্তু চারদিকে জলমগ্ন থাকায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছে না পরিবার। খবরটি পেয়েই আমরা আর দেরি করিনি। ওই গৃহবধূকে বাঁচাতে আমরা টিমের তিন সদস্য লাইফ জ্যাকেট নিয়ে স্পিডবোটে করে রাত দুপুরেই বেরিয়ে পড়ি।’ তারপর ওই গৃহবধূর বাড়ি খুঁজে তাঁকে বোটে করে উদ্ধার করেন তাঁরা। খানাকুলের ভীমতলা এলাকায় তুলনামূলক জল কম। সেখানে আগে থেকেই অ্যাম্বুলেন্সে খবর দিয়ে রেখেছিল জেলা ক্যুইক রেসপন্স টিম। তারপর সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই ওই গৃহবধূকে আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করায় হুগলি জেলা ক্যুইক রেসপন্স টিম। সোমবার ভোরে সেখানেই একটি ফুটফুটে সন্তান প্রসব করেন সরস্বতী। নিজেদের জীবন বাজি রেখে জেলা ক্যুইক রেসপন্স টিমের তৎপরতার জন্যই এই গৃহবধূর ফুটফুটে শিশুর জন্ম দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন আপ্লুত সকলেই।
ক্যুইক রেসপন্স টিমের ওই সদস্যদের জন্যই আতঙ্কের প্রহর কাটিয়ে নতুন ভোর দেখতে পেল সরস্বতী ধারার পরিবার। গৃহবধূর কৃষক স্বামী জানান, রবিবার রাতে হঠাৎ করেই স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠে। কিন্তু ঘর-দোরে কোমর সমান জল। রাস্তাও নদীর আকার নিয়েছে। ফলে রাতদুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। সেই সময় গ্রামের এক যুবক বিশ্বজিৎ জেলা ক্যুইক রেসপন্স টিমকে ফোন করে খবর দেন। সেই ফোন পাওয়া মাত্রই মাঝরাত, অতিরিক্ত জলের কথা ভুলে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন ক্যুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা। উদ্ধারকারী টিমের সদস্য সুব্রত পাল বলেন, ‘প্লাবিত খানাকুলের মানুষদের সাহায্যের জন্য আমরা গত কয়েকদিন ধরে খানাকুল-২ বিডিও অফিসেই থাকছি।
রবিবার রাতে শাবলসিংহপুর গ্রামের বিশ্বজিৎ নামে এক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, সরস্বতী ধারা নামে গৃহবধূর প্রসব বেদনা উঠেছে। কিন্তু চারদিকে জলমগ্ন থাকায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছে না পরিবার। খবরটি পেয়েই আমরা আর দেরি করিনি। ওই গৃহবধূকে বাঁচাতে আমরা টিমের তিন সদস্য লাইফ জ্যাকেট নিয়ে স্পিডবোটে করে রাত দুপুরেই বেরিয়ে পড়ি।’ তারপর ওই গৃহবধূর বাড়ি খুঁজে তাঁকে বোটে করে উদ্ধার করেন তাঁরা। খানাকুলের ভীমতলা এলাকায় তুলনামূলক জল কম। সেখানে আগে থেকেই অ্যাম্বুলেন্সে খবর দিয়ে রেখেছিল জেলা ক্যুইক রেসপন্স টিম। তারপর সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই ওই গৃহবধূকে আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করায় হুগলি জেলা ক্যুইক রেসপন্স টিম। সোমবার ভোরে সেখানেই একটি ফুটফুটে সন্তান প্রসব করেন সরস্বতী। নিজেদের জীবন বাজি রেখে জেলা ক্যুইক রেসপন্স টিমের তৎপরতার জন্যই এই গৃহবধূর ফুটফুটে শিশুর জন্ম দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন আপ্লুত সকলেই।