এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: একটি ভ্যাকসিন মেলে না, আবার দুটো! এক যুবককে পরপর দুবার করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি কোনও ক্যাম্প বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নয়, একেবারে হুগলি জেলার পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের। ওই হাসপাতালেরই এক স্বাস্থ্যকর্মী অন্যমনস্ক হয়ে পরপর দুটো ভ্যাকসিন দিয়েছেন বলে অভিযোগ। শনিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, একসঙ্গে দুবার করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া ওই যুবকের নাম সইফুদ্দিন দফাদার। গুপ্তিপাড়া রথতলা ঠাকুর পাড়ার বাসিন্দা সইফুদ্দিন গত বুধবার পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিতে যান। হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী সহকর্মীর সঙ্গে গল্প করতে-করতে তাঁকে পরপর দুবার ভ্যাকসিন দেন বলে অভিযোগ। তারপর তিনদিন পেরিয়ে গেলেও শারীরিক অস্বস্তি কাটেনি সইফুদ্দিনের। এরকম একটা ঘটনা ঘটানোর পর অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী বিষয়টি চেপে দিতে বলেছিলেন বলেও অভিযোগ। যদিও পান্ডুয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সইফুদ্দিন। পান্ডুয়া ব্লক মেডিক্যাল অফিসারও গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
সইফুদ্দিন জানান, শ্যালকের বিয়ে উপলক্ষ্যে পান্ডুয়া ঘোড়াগাছি তলায় শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন তিনি। তাই পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালেই ভ্যাকসিনের জন্য আধার কার্ড দিয়ে আবেদন করেন। আর সেটাই কাল হল! সইফুদ্দিনের কথায়, ‘ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় আমি অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে রেখেছিলাম। সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে গল্প করতে-করতে ভ্যাকসিন দিচ্ছিলেন। প্রথম ভ্যাকসিনটি দেওয়ার পর মুহূর্তেই আবার একটি সূচ ফুটিয়ে দেন।’
এরপর সইফুদ্দিন দুবার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বললে ওই স্বাস্থ্যকর্মী অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু ঘটনার সাক্ষী ছিলেন সইফুদ্দিনের শ্যালিকাও। তখন ওই স্বাস্থ্যকর্মী ঘটনাটি চেপে যেতে বলে সইফুদ্দিনকে প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ।
এদিকে, প্যারাসিটামল খেয়ে জ্বর কমলেও এখনও শরীরের ব্যথায় কাহিল সইফুদ্দিন। তাঁর কথায়, ‘পায়ের হাড়ের ভিতরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। রোদে বেরোলেই শরীর হাঁসফাঁস করছে।’ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তিনদিন পরেও সমস্যাগুলি থেকে যাওয়ায় স্থানীয় চিকিৎসকেরও দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাঁকে। ওই স্বাস্থ্যকর্মীর গাফিলতিতেই এই ভোগান্তি বলে দাবি সইফুদ্দিনের। তাই ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে পান্ডুয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত মাসেও জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকে এক ব্যক্তিকে অন্যমনস্ক হয়ে পরপর ৩ বার করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। একসঙ্গে ৩ বার ভ্যাকসিন নেওয়ার জেরে ধুম জ্বর সহ নানারকম সমস্যা নিয়ে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল।
সইফুদ্দিন জানান, শ্যালকের বিয়ে উপলক্ষ্যে পান্ডুয়া ঘোড়াগাছি তলায় শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন তিনি। তাই পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালেই ভ্যাকসিনের জন্য আধার কার্ড দিয়ে আবেদন করেন। আর সেটাই কাল হল! সইফুদ্দিনের কথায়, ‘ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় আমি অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে রেখেছিলাম। সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে গল্প করতে-করতে ভ্যাকসিন দিচ্ছিলেন। প্রথম ভ্যাকসিনটি দেওয়ার পর মুহূর্তেই আবার একটি সূচ ফুটিয়ে দেন।’
এরপর সইফুদ্দিন দুবার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বললে ওই স্বাস্থ্যকর্মী অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু ঘটনার সাক্ষী ছিলেন সইফুদ্দিনের শ্যালিকাও। তখন ওই স্বাস্থ্যকর্মী ঘটনাটি চেপে যেতে বলে সইফুদ্দিনকে প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ।
এদিকে, প্যারাসিটামল খেয়ে জ্বর কমলেও এখনও শরীরের ব্যথায় কাহিল সইফুদ্দিন। তাঁর কথায়, ‘পায়ের হাড়ের ভিতরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। রোদে বেরোলেই শরীর হাঁসফাঁস করছে।’ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তিনদিন পরেও সমস্যাগুলি থেকে যাওয়ায় স্থানীয় চিকিৎসকেরও দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাঁকে। ওই স্বাস্থ্যকর্মীর গাফিলতিতেই এই ভোগান্তি বলে দাবি সইফুদ্দিনের। তাই ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে পান্ডুয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত মাসেও জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকে এক ব্যক্তিকে অন্যমনস্ক হয়ে পরপর ৩ বার করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। একসঙ্গে ৩ বার ভ্যাকসিন নেওয়ার জেরে ধুম জ্বর সহ নানারকম সমস্যা নিয়ে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল।