অ্যাপশহর

সম্পর্কের দ্বন্দ্বেই কি আত্মঘাতী ছাত্রী? কাঠগড়ায় শিক্ষিকা

শুভশ্রীর প্রতিবেশী মৌলির চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মেয়েটি খুব মেধাবী ছিল। সরল সাদাসিধে পরিবারের একমাত্র মেয়ে। আমরা চাই যাই ঘটুক না কেন পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে আসল সত্যিটা সামনে আনুক।’

Ei Samay 9 Jul 2020, 10:35 pm
এই সময়, হুগলি: একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় স্কুলের পার্শ্বশিক্ষিকা তনয়া ঘোষের সঙ্গে পরিচয় হয় ছাত্রী শুভশ্রী বর্মনের। কোন্নগর অরবিন্দ রোডের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর সঙ্গে কয়েক দিনের আলাপচারিতায় শিক্ষিকার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ আকার নেয়। স্কুলে পড়ানোর সঙ্গে শুভশ্রীকে বাড়িতে গিয়ে পড়াতেন শিক্ষিকা তনয়া। শুভশ্রী উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কলকাতার কলেজে ভর্তি হয়ে বিএসসি প্রথম বর্ষে পড়লেও দু’জনের সম্পর্ক অটুট ছিল। সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে ৩০ জুন নিজের বাড়িতেই কীটনাশক পান করেন শুভশ্রী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল ও পরে হিন্দমোটরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হলে কয়েক দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার সকালে শুভশ্রীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় মৃত ছাত্রীর বাবা সুখেন বর্মন গৃহশিক্ষিকা তনয়া ঘোষ ও একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সোমনাথ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষিকার পরিবার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
EiSamay.Com konnagar student died by suicide
আত্মঘাতী ছাত্রী


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রী শুভশ্রীর সঙ্গে শিক্ষিকা তনয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে দু’জনের মোবাইল ফোনে। ২৭ জুন তনয়া শুভশ্রীর বাড়িতে যান। সে সময় কোনও বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। স্কুলের কাজ করার সুবাদে সোমনাথের সঙ্গে তনয়া ও শুভশ্রীর পরিচয় ছিল। সোমনাথ হরিপালে থাকলেও নিয়মিত তনয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। তনয়া ও সোমনাথের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়ে পড়তেই মানসিক চাপে পরে যায় শুভশ্রী। সেই কারণেই তনয়ার সঙ্গে তাঁর অশান্তি হয় বলে সন্দেহ পরিবারের। পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, শুভশ্রীর ফোন ঘেঁটে দেখা গিয়েছে সম্পর্কের টানাপোড়েনের ইঙ্গিত মিলেছে। তনয়ার সঙ্গে বিবাদের পর শুভশ্রী সোমনাথকে ফোন করে জানান বাড়িতে কীটনাশক লাগবে। সোমনাথ হরিপাল থেকে কীটনাশক এনে শুভশ্রীকে দেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এর পরেই শুভশ্রী কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন।

শুভশ্রীর প্রতিবেশী মৌলির চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মেয়েটি খুব মেধাবী ছিল। সরল সাদাসিধে পরিবারের একমাত্র মেয়ে। আমরা চাই যাই ঘটুক না কেন পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে আসল সত্যিটা সামনে আনুক।’ ছাত্রীর বাবা সুখেন বর্মন বলেন, ‘তনয়া ও সোমনাথ মিলে ষড়যন্ত্র করে আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। আমি ওদের কঠিন শাস্তি চাই।’ উত্তরপাড়া থানার তদন্তকারী অফিসার বলেন, মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সোমনাথকে আটক করা হয়েছে। সবদিক খোলা রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল