গোটা দেশ জুড়েই পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস (Independence Day 2022)। এমনকী, রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তেও সকাল থেকেই পালিত হচ্ছে এই দিন। সকালে রেড রোডে (Red Road) কুচকাওয়াচের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর দেশ স্বাধীন করতে যাঁরা বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তাঁরা কেমন আছেন স্বাধীনতার ৭৫ বছর (75th Independence Day 2022) পর? এখন ঠিক কেমন অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা? তা জানতেই এই সময় ডিজিটালের প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিলেন হুগলির (Hooghly) গোঘাটের বাসিন্দা রাধাকৃষ্ণ কর্মকারের বাড়িতে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। এখন তাঁর বয়স ৯৬ বছর। এই মুহূর্তে ঠিক কী অবস্থায় রয়েছেন তিনি?
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Subhas Chandra Bose) দেশপ্রেমে আকৃষ্ট হয়ে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে। কিশোর বয়সেই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতির সঙ্গে। তাঁর কাছে রাজনীতির অর্থ ছিল মানুষের সেবা করা। আর তার জন্যই স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই রাধাকৃষ্ণ কর্মকার হুগলির আরামবাগের গোঘাটের বাসিন্দা। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯৬ বছর। বয়সের ভারে এখন আর চোখে খুব ভালো করে দেখতে পারেন না। কানেও কম শোনেন। বাড়ি বলতে ভাঙাচোরা একটি মাটির বাড়ি। ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন স্বাধীনতা সংগ্রামী রাধাকৃষ্ণের কর্মকার এখন স্বাধীন দেশের মুক্ত বাতাসের শ্বাস নিচ্ছেন।
বয়সের ভারে জীর্ণ রাধাকৃষ্ণ বললেন, "সেদিন ও আজকের রাজনীতির মধ্যে অনেক তফাৎ।" তাই এখনকার রাজনীতির প্রতি আর তাঁর তেমন কোনও টান নেই। সেই খবরও খুব একটা তিনি রাখেন না। ব্রিটিশ মদতপুষ্ট জোতদার জমিদারদের বিরুদ্ধে তাঁরা সংগ্রাম করেছেন একটা সময়। ব্রিটিশদের মুখোমুখি হয়ে লড়াই করেছেন। তখন রাজনীতি এইরকম। তখনকার রাজনীতির সঙ্গে এখনকার রাজনীতির পার্থক্য অনেক। এখনকার রাজনীতি আর তাঁর ভালো লাগে না। তাই আর খবরও রাখতে চান না তিনি।
আগে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে তাঁর সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করতেন। কিন্তু, বর্তমানে তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে আক্ষেপ এই বর্ষীয়ান স্বাধীনতা সংগ্রামীর। ব্রিটিশ শাসনে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে হুগলির আরামবাগের গোঘাটে জন্ম হয়েছিল রাধাকৃষ্ণ কর্মকারের। ছোটবেলায় স্কুলে পড়াশোনার সময়ই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়। মানুষ হন মা ও দিদির কাছে। ছোটবেলা থেকেই ছিল দেশপ্রেম। নেতাজির অন্ধ ভক্ত ছিলেন। গোঘাটের বেঙ্গাই এলাকায় নেতাজিকে দেখেছিলেন খুব কাছ থেকে। মেদিনীপুরেও গিয়েছেন নেতাজির ভাষণ শুনতে। কংগ্রেস ভেঙে ফরওয়ার্ড ব্লক তৈরি করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। কিশোর বয়সেই দেশপ্রেমে ও কৃষক আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগদান করেছিলেন। আজীবন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন তিনি। যদিও বর্তমানে সে সবই ইতিহাস। এখন মাটির ভাঙা ঘরে সেই স্মৃতি আঁকড়েই বেঁচে রয়েছেন তিনি। আর স্বাধীনতা দিবস আসলেই সেই পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করেন।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Subhas Chandra Bose) দেশপ্রেমে আকৃষ্ট হয়ে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে। কিশোর বয়সেই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতির সঙ্গে। তাঁর কাছে রাজনীতির অর্থ ছিল মানুষের সেবা করা। আর তার জন্যই স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই রাধাকৃষ্ণ কর্মকার হুগলির আরামবাগের গোঘাটের বাসিন্দা। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯৬ বছর। বয়সের ভারে এখন আর চোখে খুব ভালো করে দেখতে পারেন না। কানেও কম শোনেন। বাড়ি বলতে ভাঙাচোরা একটি মাটির বাড়ি। ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন স্বাধীনতা সংগ্রামী রাধাকৃষ্ণের কর্মকার এখন স্বাধীন দেশের মুক্ত বাতাসের শ্বাস নিচ্ছেন।
বয়সের ভারে জীর্ণ রাধাকৃষ্ণ বললেন, "সেদিন ও আজকের রাজনীতির মধ্যে অনেক তফাৎ।" তাই এখনকার রাজনীতির প্রতি আর তাঁর তেমন কোনও টান নেই। সেই খবরও খুব একটা তিনি রাখেন না। ব্রিটিশ মদতপুষ্ট জোতদার জমিদারদের বিরুদ্ধে তাঁরা সংগ্রাম করেছেন একটা সময়। ব্রিটিশদের মুখোমুখি হয়ে লড়াই করেছেন। তখন রাজনীতি এইরকম। তখনকার রাজনীতির সঙ্গে এখনকার রাজনীতির পার্থক্য অনেক। এখনকার রাজনীতি আর তাঁর ভালো লাগে না। তাই আর খবরও রাখতে চান না তিনি।
আগে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে তাঁর সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করতেন। কিন্তু, বর্তমানে তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে আক্ষেপ এই বর্ষীয়ান স্বাধীনতা সংগ্রামীর। ব্রিটিশ শাসনে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে হুগলির আরামবাগের গোঘাটে জন্ম হয়েছিল রাধাকৃষ্ণ কর্মকারের। ছোটবেলায় স্কুলে পড়াশোনার সময়ই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়। মানুষ হন মা ও দিদির কাছে। ছোটবেলা থেকেই ছিল দেশপ্রেম। নেতাজির অন্ধ ভক্ত ছিলেন। গোঘাটের বেঙ্গাই এলাকায় নেতাজিকে দেখেছিলেন খুব কাছ থেকে। মেদিনীপুরেও গিয়েছেন নেতাজির ভাষণ শুনতে। কংগ্রেস ভেঙে ফরওয়ার্ড ব্লক তৈরি করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। কিশোর বয়সেই দেশপ্রেমে ও কৃষক আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগদান করেছিলেন। আজীবন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন তিনি। যদিও বর্তমানে সে সবই ইতিহাস। এখন মাটির ভাঙা ঘরে সেই স্মৃতি আঁকড়েই বেঁচে রয়েছেন তিনি। আর স্বাধীনতা দিবস আসলেই সেই পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করেন।