প্রদীপ চক্রবর্তী ■ হুগলি
করোনা প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের নির্দেশে হুগলির শ্রীরামপুর ও চন্দননগর মহকুমার পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় নতুন করে কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত হল। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকেই কনটেনমেন্ট জোনের নিয়ম কার্যকরী হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই পর্বে কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার উপরেই জোর দিচ্ছে প্রশাসন।
এদিন জেলা প্রশাসনের বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর মহকুমার উত্তরপাড়া কোতরং, ডানকুনি, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি পুরসভা ও শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, চণ্ডীতলা ২ ব্লকের বরিজহাটি ও চণ্ডীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত, জাঙ্গিপাড়া ব্লকের রাজবলহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে। চন্দননগর মহকুমার মধ্যে ভদ্রেশ্বর পুরসভা ও চন্দননগর পুরনিগমের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডকেও কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই মহকুমার গ্রামীণ এলাকা সিঙ্গুরের মির্জাপুর বাঁকিপুর ও বোরাই পহলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু এলাকা কনটেনমেন্ট জোনের আওতাধীন।
জোনগুলিতে লকডাউনের নিয়ম মানতে হবে বাসিন্দাদের। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বাইরে বেরনো যাবে না। এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও দুধের মতো সামগ্রী ছাড়া সমস্ত দোকান বাজার বন্ধ রাখতে হবে। বাইরে বেরোলে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ওই সমস্ত এলাকায় গণপরিবহণও বন্ধ থাকবে। জিটি রোডের মত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বাস চললেও গলির ভিতরে অটো, টোটো, মোটরবাইক কিছু নিয়েই যাতায়াত করা যাবে না। নতুন কনটেনমেন্ট জোনে ‘স্টে হোম’কেই গুরুত্ব দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। কোথাও কোন সমস্যা হলে কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দারা জেলার কন্ট্রোল রুমে ফোন করলে প্রশাসনের সহযোগিতা পাবেন। নতুন কনটেনমেন্ট জোনের আওয়াতায় পড়েছে চণ্ডীতলা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও, এডিএ ও বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং ফুড সাপ্লাইয়ের অফিস। চণ্ডীতলা ২ এর বিডিও বলেন, ‘প্রথমদিকের লক ডাউনে ৭০% ও পরে ৫০% কর্মী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল। সেই ভাবেই সরকারের নির্দেশিকা মেনে কাজ করব।’ জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকা আসা না পর্যন্ত কনটেনমেন্ট জোনে পুরোনো লকডাউনের নিয়ম কার্যকরী হবে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে সেই ব্যবস্থা করা হবে।’
চবে জেলায় সংক্রমণের হার বৃদ্ধির এই পরিস্থিতির জন্য লকডাউন পর্বে ডানকুনি ও ব্যান্ডেলে একাধিক শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে গাদাগাদি করে ভিনরাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় ফেরাকেই দায়ী করেছে জেলা প্রশাসন। লকডাউন পর্বে দু’ডজনের বেশি ট্রেনে জেলায় প্রায় ৫৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। ডানকুনি ও ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক অন্যান্য জেলায় বাড়ি ফিরেছেন। লকডাউনের প্রথম দিকে প্রশাসন কনটেনমেন্ট জোনে জেলায় কড়া নজরদারি চালানোয় সংক্রমণের গতি কম ছিল। আনলক পর্বে বাজার দোকান খুলে যেতেই সামাজিক দূরত্ববিধি না মেনেই মানুষের ভিড় জমে যেতেই সংক্রমণের হার বৃদ্ধি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
লকডাউনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি কেউ ত্রাণ বিলি করেছে কেউ কমিউনিটি কিচেন করে মানুষকে খাবার তুলে দিয়েছে। সেই কর্মসূচি পালনের সময়ও সামজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। যে কারণে শাসক বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়াও উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তরাও সংক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এক পুলিশকর্মীর অনেকদিন ধরে পেট খারাপ ছিল, কয়েকদিন পর তিনি আর কোনও কিছুর গন্ধ পাচ্ছিলেন না। পেট খারাপের চিকিৎসা করে সমস্যার প্রতিকার না হওয়ায় পুলিশকর্মীর লালারস পরীক্ষায় দেখা গেল তিনি করোনা পজিটিভ। কিন্তু করোনার কোনও উপসর্গই তাঁর ছিল না।
অল বেঙ্গল সিটিজেন ফোরামের সভাপতি শৈলেন পর্বতের বক্তব্য, ‘লকডাউন শিথিল হতেই সরকারি ও বেসরকারি কারখানা ও বাজার দোকান খুলে দেওয়া হল। পর্যাপ্ত বাস না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করেই নিত্যযাত্রীরা যাতায়াত করেছেন। তাতেই সংক্রমণ গ্রামের তুলনায় শহরাঞ্চলে দ্রুত ছড়াচ্ছে।’
করোনা প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের নির্দেশে হুগলির শ্রীরামপুর ও চন্দননগর মহকুমার পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় নতুন করে কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত হল। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকেই কনটেনমেন্ট জোনের নিয়ম কার্যকরী হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই পর্বে কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার উপরেই জোর দিচ্ছে প্রশাসন।
এদিন জেলা প্রশাসনের বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর মহকুমার উত্তরপাড়া কোতরং, ডানকুনি, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি পুরসভা ও শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, চণ্ডীতলা ২ ব্লকের বরিজহাটি ও চণ্ডীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত, জাঙ্গিপাড়া ব্লকের রাজবলহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে। চন্দননগর মহকুমার মধ্যে ভদ্রেশ্বর পুরসভা ও চন্দননগর পুরনিগমের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডকেও কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই মহকুমার গ্রামীণ এলাকা সিঙ্গুরের মির্জাপুর বাঁকিপুর ও বোরাই পহলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু এলাকা কনটেনমেন্ট জোনের আওতাধীন।
জোনগুলিতে লকডাউনের নিয়ম মানতে হবে বাসিন্দাদের। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বাইরে বেরনো যাবে না। এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও দুধের মতো সামগ্রী ছাড়া সমস্ত দোকান বাজার বন্ধ রাখতে হবে। বাইরে বেরোলে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ওই সমস্ত এলাকায় গণপরিবহণও বন্ধ থাকবে। জিটি রোডের মত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বাস চললেও গলির ভিতরে অটো, টোটো, মোটরবাইক কিছু নিয়েই যাতায়াত করা যাবে না। নতুন কনটেনমেন্ট জোনে ‘স্টে হোম’কেই গুরুত্ব দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। কোথাও কোন সমস্যা হলে কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দারা জেলার কন্ট্রোল রুমে ফোন করলে প্রশাসনের সহযোগিতা পাবেন। নতুন কনটেনমেন্ট জোনের আওয়াতায় পড়েছে চণ্ডীতলা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও, এডিএ ও বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং ফুড সাপ্লাইয়ের অফিস। চণ্ডীতলা ২ এর বিডিও বলেন, ‘প্রথমদিকের লক ডাউনে ৭০% ও পরে ৫০% কর্মী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল। সেই ভাবেই সরকারের নির্দেশিকা মেনে কাজ করব।’ জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকা আসা না পর্যন্ত কনটেনমেন্ট জোনে পুরোনো লকডাউনের নিয়ম কার্যকরী হবে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে সেই ব্যবস্থা করা হবে।’
চবে জেলায় সংক্রমণের হার বৃদ্ধির এই পরিস্থিতির জন্য লকডাউন পর্বে ডানকুনি ও ব্যান্ডেলে একাধিক শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে গাদাগাদি করে ভিনরাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় ফেরাকেই দায়ী করেছে জেলা প্রশাসন। লকডাউন পর্বে দু’ডজনের বেশি ট্রেনে জেলায় প্রায় ৫৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। ডানকুনি ও ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক অন্যান্য জেলায় বাড়ি ফিরেছেন। লকডাউনের প্রথম দিকে প্রশাসন কনটেনমেন্ট জোনে জেলায় কড়া নজরদারি চালানোয় সংক্রমণের গতি কম ছিল। আনলক পর্বে বাজার দোকান খুলে যেতেই সামাজিক দূরত্ববিধি না মেনেই মানুষের ভিড় জমে যেতেই সংক্রমণের হার বৃদ্ধি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
লকডাউনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি কেউ ত্রাণ বিলি করেছে কেউ কমিউনিটি কিচেন করে মানুষকে খাবার তুলে দিয়েছে। সেই কর্মসূচি পালনের সময়ও সামজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। যে কারণে শাসক বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়াও উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তরাও সংক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এক পুলিশকর্মীর অনেকদিন ধরে পেট খারাপ ছিল, কয়েকদিন পর তিনি আর কোনও কিছুর গন্ধ পাচ্ছিলেন না। পেট খারাপের চিকিৎসা করে সমস্যার প্রতিকার না হওয়ায় পুলিশকর্মীর লালারস পরীক্ষায় দেখা গেল তিনি করোনা পজিটিভ। কিন্তু করোনার কোনও উপসর্গই তাঁর ছিল না।
অল বেঙ্গল সিটিজেন ফোরামের সভাপতি শৈলেন পর্বতের বক্তব্য, ‘লকডাউন শিথিল হতেই সরকারি ও বেসরকারি কারখানা ও বাজার দোকান খুলে দেওয়া হল। পর্যাপ্ত বাস না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করেই নিত্যযাত্রীরা যাতায়াত করেছেন। তাতেই সংক্রমণ গ্রামের তুলনায় শহরাঞ্চলে দ্রুত ছড়াচ্ছে।’