অ্যাপশহর

‘রাজনীতিতে এসে বোধ হয় ঠিক করিনি’, তৃণমূল বিধায়কের গলায় এ কীসের সুর!

তৃণমূল বিধায়ক Manoranjan Byapari সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন,’রাজনীতিতে এসে বোধহয় ঠিক করিনি’। কেন একথা লিখেছেন তিনি? জানালেন নিজেই…

EiSamay.Com 2 Jul 2021, 4:50 pm

হাইলাইটস

  • লেখক হিসেবেও বেশ সুপরিচিত বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
  • সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে এই তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, রাজনীতিতে এসে বোধহয় তিনি ঠিক করেননি!
  • সদ্য ভোটে জয়ী হওয়া বিধায়কের গলা কেন হঠাৎ এই সুর!
  • তা নিয়েই তোলপাড় চলছিল নেটপাড়ায়।


EiSamay.Com Mla
ফাইল ফটো (ছবি সৌজন্যে ফেসবুক)
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় রিক্সা চালাতেন তিনি। এখন অবশ্য টোটো কিনেছেন। লেখক হিসেবেও বেশ সুপরিচিত বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। কিন্তু সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে এই তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, রাজনীতিতে এসে বোধহয় তিনি ঠিক করেননি! সদ্য ভোটে জয়ী হওয়া বিধায়কের গলা কেন হঠাৎ এই সুর! তা নিয়েই তোলপাড় চলছিল নেটপাড়ায়।
ঠিক কী লিখেছেন এই বিধায়ক? বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি।সেখানে লেখেন,'আমি হাঁপিয়ে যাচ্ছি। সত্যিই আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে রাজনীতিতে এসে আমি বোধহয় ঠিক করিনি। যখন দূরে ছিলাম, যখন তেমন ভাবে কিছু জানতাম না, খানিক সুখে ছিলাম। এখন সব দেখে জেনে - সরাসরি যুক্ত হয়ে আর কোনো রাতেই ভালো মতো ঘুমাতে পারছি না। কী এক কষ্টে মাঝরাতে উঠে পায়চারী করতে বাধ্য হই।' শুধু তাই নয়, তিনি আরও লিখেছেন, 'ওরা আমাকে ঈশ্বরের সমতুল শক্তিমান বলে মনে করে, যার কাছে যা চাওয়া যায় তা পাওয়া যায়। কিন্তু আমি যে অতি তুচ্ছ নগন‍্য একজন মানুষ। আমি যদি পারতাম তাহলে সবার সব চোখের জল সব হাহাকার, না পাবার বেদনা এক নিমিষে মুছে দিতাম।'


অমানবিকতা... জিভ জড়িয়ে যেতেই ট্রোলের শিকার, মোক্ষম জবাব তৃণমূল বিধায়কের
কিন্তু একুশের নির্বাচনে জয়ী হওয়া এই বিধায়কের গলায় কেন এই ‘হতাশা’-র সুর! প্রশ্ন উঠছিল বিভিন্ন মহলে। এবার এই যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিলেন বিধায়ক নিজেই। এই প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে 'এই সময় ডিজিটাল'-কে মনোরঞ্জন ব্য়াপারী বলেন, 'প্রতিদিন প্রচুর মানুষ নিজেদের সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসছে। অনেকে ঘর চায়ছেন, অনেকে কাজ।এত সমস্যা দেখে আমি মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত। যদি হাজার কোটি টাকা ফান্ড থাকত, তাহলে সব সমস্যার সমাধান করে দিতাম। কিন্তু কেন্দ্র সরকার তো রাজ্যের প্রাপ্য় টাকাই দিচ্ছে না। কেন্দ্রীয় অসহযোগীতার মধ্যে রাজ্য যতটুকু পারছে করছে। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করে যাচ্ছেন। তাঁর মানবিকতার উপর প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই। কিন্তু তাঁর হাতেও সব ক্ষমতা নেই। কেন্দ্র সাহায্য না করলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণা কাছ থেকে দেখার পরেই ফেসবুকে এই পোস্ট করি।' তাঁর কথায়, ‘মানুষ বলছে , দাদা আপনি পারবেন, একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিন। সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনছি মন দিয়ে। চেষ্টা করছি সমাধান করার। কিন্তু সমস্যা এতই যে সব সমাধানের সাধ্য পুরোপুরি আমার হাতে নেই।’

আতসকাচে কাঁথি ব্যাঙ্কের 'ভূতের টাকা'
অর্থাৎ এই পোস্টের মধ্য দিয়ে মানুষের সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণ নিয়েও সরব এই বিধায়ক। তাঁর আক্ষেপ, 'যদি সবার সব সমস্যার সমাধান করতে পারতাম...'

পরের খবর