West Bengal News : একগুচ্ছ জনমুখী সরকারি প্রকল্প চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। কয়েকমাস অন্তর করা হচ্ছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar Camp) ক্যাম্প। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারি পরিষেবা প্রদানের এই আয়োজনগুলিতে স্কুল বহির্ভূত একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদাধিকারীদের। শিক্ষা বহির্ভূত কাজে নিয়োজিত থাকার কারণে শ্রেণিকক্ষে ছেলে-মেয়েদের দায়িত্ব থেকে সরে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। সেই নিয়েই এবার প্রতিবাদের পথে হাঁটতে শুরু করল প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন। সরকারি প্রকল্পের ভারে শ্রেণিকক্ষে গিয়ে পড়াতে ভুলতে বসেছে প্রধান শিক্ষকরা। এমনই দাবির ইঙ্গিত দেওয়া হল প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা সংগঠনের সম্মেলন থেকে। এক প্রকার বাধ্য হয়ে তাঁরা ১৮ টি প্রকল্পের জন্য কাজ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রধান শিক্ষক সংগঠনের। Advanced Society for Headmasters and Headmistresses-দের একটি সম্মেলন হয়ে গেল আরামবাগ হাই স্কুলে (Arambagh high school ) ।
এদিন মহাকুমার বিভিন্ন জায়গার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকারা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। জানা গিয়েছে, শিক্ষার মান উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এদিন এই সম্মেলনে আলোচনা হয়। তাঁদের মূল দাবি, যথাযথ যৌতুক বিজ্ঞানভিত্তিক ও মনোবিজ্ঞান সম্মত সিলেবাস তৈরি করতে হবে। সেই অনুযায়ী বিদগ্ধ শিক্ষক মণ্ডলী দ্বারা পাঠ্যপুস্তক প্রস্তুত করতে হবে। সিলেবাস কমিটিতে কেন্দ্রের শিক্ষক প্রতিনিধি থাকা আবশ্যিক করতে হবে। পাশাপাশি পর্ষদের কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। অবিলম্বে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যালয়গুলিতে সমস্ত প্রকার শূন্যপদ নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলিতে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিষয়গুলির জন্য বিশেষজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকার পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ করতে হবে। এই রকম নানা দাবি নিয়ে আরামবাগ হাই স্কুলে হেডমাস্টার ও হেডদিদিমনিদের নিয়ে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দহর কুণ্ডু শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রণব কুমার নায়ক বলেন, " ক্লাস নেওয়া তো আমরা ভুলেই গিয়েছি। প্রশাসনিক কাজ আমরা করতে পারি। কিন্তু তার বাইরেও এত কাজ করতে হচ্ছে। শিক্ষা বহির্ভূত এত কাজ হচ্ছে, যে আমাদের সঙ্গে ছাত্র -ছাত্রীদের সেই সম্পর্ক আর থাকছে না।" প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ সালে এই সংগঠন অনুমোদন পায়। মহকুমা স্তরে সম্মিলনী হওয়ার পর আগামী দিনে এই সংগঠন জেলা ও রাজ্য স্তরেও সম্মেলনের আয়োজন করবে বলে জানা গিয়েছে। সম্মলেন থেকে শিক্ষার মানোন্নয়ন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করার দাবি উঠে আসে।
এদিন মহাকুমার বিভিন্ন জায়গার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকারা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। জানা গিয়েছে, শিক্ষার মান উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এদিন এই সম্মেলনে আলোচনা হয়। তাঁদের মূল দাবি, যথাযথ যৌতুক বিজ্ঞানভিত্তিক ও মনোবিজ্ঞান সম্মত সিলেবাস তৈরি করতে হবে। সেই অনুযায়ী বিদগ্ধ শিক্ষক মণ্ডলী দ্বারা পাঠ্যপুস্তক প্রস্তুত করতে হবে। সিলেবাস কমিটিতে কেন্দ্রের শিক্ষক প্রতিনিধি থাকা আবশ্যিক করতে হবে। পাশাপাশি পর্ষদের কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। অবিলম্বে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যালয়গুলিতে সমস্ত প্রকার শূন্যপদ নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলিতে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিষয়গুলির জন্য বিশেষজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকার পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ করতে হবে। এই রকম নানা দাবি নিয়ে আরামবাগ হাই স্কুলে হেডমাস্টার ও হেডদিদিমনিদের নিয়ে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দহর কুণ্ডু শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রণব কুমার নায়ক বলেন, " ক্লাস নেওয়া তো আমরা ভুলেই গিয়েছি। প্রশাসনিক কাজ আমরা করতে পারি। কিন্তু তার বাইরেও এত কাজ করতে হচ্ছে। শিক্ষা বহির্ভূত এত কাজ হচ্ছে, যে আমাদের সঙ্গে ছাত্র -ছাত্রীদের সেই সম্পর্ক আর থাকছে না।" প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ সালে এই সংগঠন অনুমোদন পায়। মহকুমা স্তরে সম্মিলনী হওয়ার পর আগামী দিনে এই সংগঠন জেলা ও রাজ্য স্তরেও সম্মেলনের আয়োজন করবে বলে জানা গিয়েছে। সম্মলেন থেকে শিক্ষার মানোন্নয়ন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করার দাবি উঠে আসে।