এই সময়, কলকাতা ও তমলুক: দুই সাংসদ শিশির ও দিব্যেন্দু অধিকারীর জন্য 'ওয়াই প্লাস' ক্যাটেগরি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকার পূর্ব মেদিনীপুরের ওই দুই সাংসদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার তোড়জোড় শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। খাতায়-কলমে শিশির ও তাঁর সেজো ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলের সাংসদ। শিশির অধিকারীর মেজো ছেলে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দু গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। এর পর অমিত শাহর নির্বাচনী সভামঞ্চে শিশিরও পদ্ম শিবিরে নাম লেখান। তবে এখনও তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়েননি তিনি। এমনকী, তৃণমূল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদত্যাগও করেননি। তাঁর সেজো ছেলে দিব্যেন্দু এখনও তৃণমূলে। বিধানসভা ভোটের পর দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব পূর্ব মেদিনীপুরের বহু তৃণমূল নেতাকে 'শোকজ' করলেও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ আনেনি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রের বিশেষ নিরাপত্তা পেলেও তাঁর বাবা ও ভাইয়ের জন্য এতদিন বরাদ্দ ছিল রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা। এ বার তাঁদের জন্যও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা হলো। শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা কাঁথি এসে পৌঁছন বলে জানা গিয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনো ইস্তক রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কিছু রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছিলেন বাংলার বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের ৬৬ জনের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ দলের বাকি বিধায়কদের জন্যও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চান।
তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ-বিক্ষোভ দলের মধ্যে। সম্প্রতি এই নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগও করতে চেয়েছেন যুব মোর্চার এক রাজ্য সহ-সভাপতি। রাজ্য বিজেপির আদি নেতাদের যুক্তি, তৃণমূল থেকে আসা অল্প পরিচিত নেতাদেরও ভোটের আগে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বরাদ্দ করা হয়েছিল। অথচ রাজ্য বিজেপির বহু শীর্ষ পদাধিকারী একাধিক বার আক্রাম্ত হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের দিকে ফিরে তাকায়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ৮০ বছরের শিশির অধিকারীকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরে। দলের রাজ্য নেতাদের একাংশের যুক্তি, শিশির অধিকারী বাড়ি থেকে কালেভদ্রে বেরোন। তাঁকে 'ওয়াই প্লাস' নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে, অথচ রাজ্য বিজেপির বহু শীর্ষ নেতাকে কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় ছুটতে হচ্ছে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারনা, শিশির ও দিব্যেন্দুকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হলো শুভেন্দুর মুখ চেয়ে। বিজেপি সূত্রের খবর, দলবদলুদের অনেকেই তৃণমূলে ফেরার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন। শুভেন্দুকে নিয়ে বিজেপির বিশেষ দুশ্চিন্তা না থাকলেও তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদের কেউ কেউ যে ফের তৃণমূলে সক্রিয় হয়ে উঠবেন না, তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়!
তবে রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, 'এই ভাবে সুবিধে পাইয়ে দিয়ে কাউকে দলে ধরে রাখা যায় না। আক্রান্ত কর্মীরা দেখছেন, তাঁদের নিয়ে অমিত শাহদের মাথাব্যথা নেই। দলবদলুদের সুরক্ষা নিয়েই কেন্দ্রের যত উদ্বেগ। অদূর ভবিষ্যতে পার্টি চালানোই মুশকিল হবে।'
বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনো ইস্তক রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কিছু রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছিলেন বাংলার বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের ৬৬ জনের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ দলের বাকি বিধায়কদের জন্যও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চান।
তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ-বিক্ষোভ দলের মধ্যে। সম্প্রতি এই নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগও করতে চেয়েছেন যুব মোর্চার এক রাজ্য সহ-সভাপতি। রাজ্য বিজেপির আদি নেতাদের যুক্তি, তৃণমূল থেকে আসা অল্প পরিচিত নেতাদেরও ভোটের আগে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বরাদ্দ করা হয়েছিল। অথচ রাজ্য বিজেপির বহু শীর্ষ পদাধিকারী একাধিক বার আক্রাম্ত হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের দিকে ফিরে তাকায়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ৮০ বছরের শিশির অধিকারীকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরে। দলের রাজ্য নেতাদের একাংশের যুক্তি, শিশির অধিকারী বাড়ি থেকে কালেভদ্রে বেরোন। তাঁকে 'ওয়াই প্লাস' নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে, অথচ রাজ্য বিজেপির বহু শীর্ষ নেতাকে কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় ছুটতে হচ্ছে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারনা, শিশির ও দিব্যেন্দুকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হলো শুভেন্দুর মুখ চেয়ে। বিজেপি সূত্রের খবর, দলবদলুদের অনেকেই তৃণমূলে ফেরার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন। শুভেন্দুকে নিয়ে বিজেপির বিশেষ দুশ্চিন্তা না থাকলেও তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদের কেউ কেউ যে ফের তৃণমূলে সক্রিয় হয়ে উঠবেন না, তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়!
তবে রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, 'এই ভাবে সুবিধে পাইয়ে দিয়ে কাউকে দলে ধরে রাখা যায় না। আক্রান্ত কর্মীরা দেখছেন, তাঁদের নিয়ে অমিত শাহদের মাথাব্যথা নেই। দলবদলুদের সুরক্ষা নিয়েই কেন্দ্রের যত উদ্বেগ। অদূর ভবিষ্যতে পার্টি চালানোই মুশকিল হবে।'