অ্যাপশহর

Madhyamik Result 2022: প্রাইভেট টিউটর ছাড়াই মাধ্যমিকে তৃতীয় এগরার দেবশিখা

গৃহশিক্ষক নেই, কেবল নিজস্ব পরিশ্রম আর বাবা, মা এবং কাকার গাইডেই মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান পেল এগরার দেবশিখা প্রধান। ৬৯১ নম্বর পেয়ে এবছর মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে দেবশিখা (Debshikha Pradhan)। এবার তার লক্ষ্য বাবার স্বপ্ন পূরণ করা, ডাক্তার হওয়া। কিশোরীর কথায়, "বাবা আমাকে অ্যাপ্রণ পরে দেখতে চায়। তাই ডাক্তার হতে চাই।"

Produced byShukla Bhattacharjee | Lipi 3 Jun 2022, 12:04 pm
গৃহশিক্ষক নয়, কেবল নিজস্ব পরিশ্রম আর বাবা, মা এবং কাকার গাইডেই মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান ছিনিয়ে নিল পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) জেলার এগরার দেবশিখা প্রধান (Debshikha Pradhan)। এবছর মাধ্যমিকে ৬৯১ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে দেবশিখা। ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী দেবশিখা প্রধান। স্কুলের প্রতিটি পরীক্ষাতেই ফার্স্ট, সেকেন্ডের মধ্যে থাকত। মাধ্যমিকের শীর্ষ তালিতায় স্থান করাই লক্ষ্য ছিল তার। এবার তার লক্ষ্য বাবার স্বপ্ন পূরণ করা, ডাক্তার হওয়া। কিশোরীর কথায়, বাবা আমাকে অ্যাপ্রণ পরে দেখতে চায়। বাবার স্বপ্ন পূরণ করাই এখন আমার লক্ষ্য। তাই মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান অধিকার করেও গা ভাসাতে নারাজ দেবশিখা। বরং আর ভালভাবে পড়াশোনায় মনোযোগ দিয়ে সফলতা ধরে রাখাই তার লক্ষ্য।
EiSamay.Com Debshikha Pradhan
মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান পেয়েছে দেবশিখা প্রধান।


Madhyamik 2022: বইপোকা নয়, পরীক্ষার আগে মাত্র ৪-৫ ঘণ্টা পড়েই বাজিমাত মাধ্যমিকে দ্বিতীয় কৌশিকীর!

দেবশিখার বাবা উৎপল কুমার প্রধান পেশায় গৃহশিক্ষক। আর পাঁচটা ছাত্রের মতো নিজের মেয়েকেও নিজেই টিউশন দিতেন উৎপলবাবু। মাঝে-মধ্যে তাঁর স্কুল শিক্ষক ভাই গাইড করতেন। এছাড়া তাঁর স্নাতক পাশ স্ত্রী এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও যতটা সম্ভব মেয়েকে পড়াশোনায় গাইড দিতেন বলে জানান উৎপলবাবু। গৃহশিক্ষক না থাকায় কোনও অভিযোগও নেই দেবশিখার। তার কথায়, "আমার যেখানে যা সমস্যা হত বাবা, কাকা গাইড করে দিতেন। কখনও কোনও সমস্যা হয়নি।"

Purba Bardhaman: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের! রাস্তার ওপর বেধরক মার স্বামীকে
গৃহশিক্ষক ছাড়াই মাধ্যমিকে তৃতীয়। এই সাফল্যের চাবিকাঠি কী? কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েই দেবশিখার জবাব, "বাবা, কাকা যা বলতেন, সেই মতোই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গাইডেন্সও ভীষণ কাজে এসেছে। দিনে ১১-১২ ঘণ্টা পড়তাম।" তবে উৎপলবাবু প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে যেভাবে ছোট-ছোট প্রশ্ন-উত্তর করে দিতেন, টিপস দিতেন, সেগুলি ভীষণ কাজে এসেছে বলে জানায় দেবশিখা।

Madhyamik 2022: "পড়া পড়া খেলা"-তেই বাজিমাত, সাফল্যের মন্ত্র শেয়ার সেকেন্ড বয় রৌনকের
রাতে কতক্ষণ পড়াশোনা করতে? পূর্ব মেদিনীপুরের চোরপালিয়া স্কুলের ছাত্রী দেবশিখার জবাব, "আমি ভোরে উঠতে পারি না। তাই রাত ১২টা-১টা পর্যন্ত পড়তাম। পরীক্ষার সময় আরেকটু বেশিক্ষণ রাত জাগতাম।"

Bardhaman News: কলকাতা দেখার ইচ্ছে, বাবা-মাকে না জানিয়েই তিলোত্তমা পাড়ি ৫ নাবালক ভাইবোনের, তারপর?
কেবল পড়াশোনা নয়, আঁকা এবং আবৃত্তিতেও পারদর্শী দেবশিখা। Facebook, গেম বা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি কোনদিনই তেমন ঝোঁক ছিল না তার। পড়াশোনার চাপে বর্তমানে সেভাবে আঁকায় সময় দিতে না পারলেও দেবশিখার অবসর কাটানোর অন্যতম সঙ্গী আবৃত্তি পাঠ। তবে উৎপলবাবু মেয়েকে ডাক্তার হিসাবে দেখতে চান। তাই বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে আবৃত্তি চর্চা পাশে সরিয়ে রেখে এখন পড়াশোনাই ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠেছে দেবশিখার। আর বড় মেয়ের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার এই সাফল্যে গর্বিত দেবশিখার বাবাও।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
Shukla Bhattacharjee

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল