অ্যাপশহর

Bargabhima Temple: ফেসবুকে প্রেম, তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন বাংলাদেশের তরুণীর

ভালবাসা কখনও কাঁটাতারের বেড়া মানে না! সুদূর বাংলাদেশ থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে এসে বর্গভীমা-কে সাক্ষী রেখে এখানকার যুবকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন রুমা। এঁদের গাঁটছড়া বন্ধনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার রাতে আবারও দুই বাংলার মিলন ঘটল। বাংলাদেশের রুমা এবং তমলুকের মানসের সাতপাকে বাঁধা পড়ার সাক্ষী ছিলেন দুই পরিবার সহ বর্গভীমা মন্দির কর্তৃপক্ষ।

Produced byShukla Bhattacharjee | Lipi 15 Jun 2022, 3:30 pm
কাঁটাতারের বেড়া মানে না ভালবাসা। সেকথা আবার প্রমাণ করলেন মানস মাজি এবং রুমা মাল। সুদূর বাংলাদেশ থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে এসে এখানকার যুবকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন রুমা। তমলুকের বর্গভীমা-কে সাক্ষী রেখেই গাঁটছড়া বাঁধলেন তাঁরা। আর এই যুবক-যুবতির গাঁটছড়া বন্ধনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার রাতে আরও একবার দুই বাংলার মিলন ঘটল। বাংলাদেশের রুমা এবং তমলুকের মানসের সাতপাকে বাঁধা পড়ার সাক্ষী ছিলেন দুই পরিবার সহ বর্গভীমা মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রায় প্রতিদিন বর্গভীমা মাকে সাক্ষী রেখে বহু বিবাহ হয়ে থাকে। তবে এই বিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা এবং এই বিয়ে কেন্দ্র করে দুই দেশ, ভারত ও বাংলাদেশের মেলবন্ধন ঘটল বলে জানিয়েছেন বর্গভীমা মন্দিরের অন্যতম কার্যকর্তা অয়ন কুমার ভট্টাচার্য। ওপার বাংলার মেয়ের এপারে এসে সংসার বাঁধার সাক্ষী হতে রুমা-মানসের বিয়ের আসরে এদিন বিনা আমন্ত্রণেই স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
EiSamay.Com Manas Maji & Ruma Mal
তমলুকের যুবকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাংলাদেশের তরুণীর।


South 24 Parganas News: প্রেমের টানে নদী সাঁতরে, বাঘের ভয় উপেক্ষা করে এপার বাংলায় এলেন তরুণী
দুই বাংলার যুবক-যুবতির বিয়ের মতো এঁদের প্রেম-ভালবাসা গড়ে ওঠার কাহিনীও একেবারে সিনেমার মতো। ওপার বাংলার তরুণীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর মাথায় টোপর দিয়ে বর বেশে মানস তাঁদের প্রেম কাহিনীর গল্প শোনান। তিনি জানান, করোনা-পর্বে লকডাউনের সময় পড়াশোনা সূত্রে Facebook-এর মাধ্যমেই তাঁর প্রথম পরিচয় হয় বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার গাজিপুর এলাকার মেয়ে রুমার সঙ্গে। পড়াশোনার দৌলতে দুজনের মধ্যে সোশ্যাল মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তারপর ধীরে-ধীরে সেই বন্ধুত্ব কখন বন্ধুত্বের গণ্ডি টপকে প্রেমে পৌঁছে গিয়েছে, তা তাঁরাও বুঝতে পারেননি। তবে যখন বুঝলেন চারহাত এক করতে আর দেরি করেননি।

Digha: তিনবছরের খরা শেষে রূপোলি শস্যের ঢল! এবার ইলিশ অভিযানে সাগরে মৎস্যজীবীরা
মানিক যখন প্রথম পরিচয়, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম গড়ে ওঠার গল্প বলছেন, তখন কনে বেশে লাজুর মুখে পাশে দাঁড়িয়ে রুমা। মুখে কিছু না বললেও তাঁর চোখে খেলে উঠছিল অনাবিল আনন্দ। যদিও নতুন কনে বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে দাঁড়িয়ে আর সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি। তাই তাঁর বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাড়ি দেওয়ার কথা মানস-ই জানালেন।

Digha Weather: দিঘাগামী পর্যটকদের জন্য খারাপ খবর! সফর পণ্ড হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
প্রেমের টানে রুমা দেশ ছাড়লেও অবৈধ উপায়ে এদেশে আসেননি। একেবারে পাসপোর্ট-ভিসা নিয়েই দিন তিনেক আগে ভারতে আসেন রুমা। আর মেয়ের আব্দার রাখতে এবং তাঁর নতুন জীবনের সাক্ষী হতে রুমার পরিবারের সদস্যরাও ভিসা নিয়ে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় আসেন। মানসের পরিবারও ওপার বাংলার মেয়েকে ঘরে বউ করে তুলতে বাধা দেননি। বরং তাঁদের জীবনের পথ সুন্দর করার লক্ষ্যে বর্গভীমা মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে তাঁকে সাক্ষ্য রেখেই মন্দিরে বিয়ের আয়োজন করেন।

চিংড়ির মীন ভরসা, Rupnarayan নদে দিনযাপন দিনমজুরদের
বর্গভীমা মন্দিরের কার্যকর্তা কর্তৃপক্ষ অয়ন কুমার ভট্টাচার্য বলেন, দুই বাংলার দুই ছেলে-মেয়ের বয়সের বৈধ কাগজ-পত্র ও পরিবারের সম্মতিক্রমে মন্দিরে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। মন্দিরে বিয়ের পর মানসের বাড়িতে দুই পরিবার, মানসের আত্মীয়-পরিজন এবং প্রতিবেশীদের ভুঁড়িভোজেরও আয়োজন করা হয়। দুই বাংলার নবদম্পতিকে সুন্দর ভবিষ্যতের শুভেচ্ছা জানান আমন্ত্রিত সকলেই।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
Shukla Bhattacharjee

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল