এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিম বর্ধমানের ইস্পাতনগরীতে এক ঠিকাকর্মীর বিস্ফোরণে মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার চরম উত্তেজনা তৈরি হল। দুর্গাপুর প্রোজেক্ট লিমিটেড (DPL)-এর তাপবিদ্যুত্ কারখানার ভিতরে বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যান ওই ঠিকাকর্মী। ডিপিএলের ভিতরে কী করে এমন জোরালো বিস্ফোরণ ঘটল, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ। ডিপিএল কর্তৃপক্ষের কাছেও এই প্রশ্নের সদুত্তর নেই। বিস্ফোরণে কারখানার এক বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীও গুরুতর ঘায়েল হয়েছেন। জানা গিয়েছে, তাঁর অবস্থাও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে নিহতের নাম ওমপ্রকাশ চৌহান। ঠিকাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। মঙ্গলবার সকালে ডিপিএলের বাগান পরিচর্যার কাজ করছিলেন। সেসময় সাত নম্বর কনস্ট্রাকশন গেট এরিয়ার কাছে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে যায়। তাতেই মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর দেহ। ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন ওই কারখানার বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী বাম রুইদাস। তিনিও গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। ওই নিরাপত্তারক্ষীর অবস্থাও অত্যন্ত সংকটজনক।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ব্যারেজের একটি লকগেট সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, জলের ঘাটতির কারণে ডিপিএলে বিদ্যুত্ উত্পাদন আপতত বন্ধ রয়েছে।
বিস্ফোরণের খবরে পুলিশ এসে ডিপিএলের বাগান থেকে ওই ঠিকাকর্মীর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে, ময়নাতদন্ত করাতে দুর্গাপুর মহাকুমা হাসপাতালে পাঠায়। দুর্গাপুর প্রোজেক্ট লিমিটেডের পাওয়ার প্লান্ট বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার গোপীনাথ মাজি এ প্রসঙ্গে বলেন, 'পুলিশকে আগে তদন্ত শেষ করতে দিন। কারণ অনুসন্ধানে আমরাও বিভাগীয় তদন্ত চালাচ্ছি।'
মঙ্গলবার দুপুর ১১টা বেজে দশ মিনিটে ঘটনার সূত্রপাত। ডিপিএলের কারখানা কম্পাউন্ডে প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তাপবিদ্যুত্ কারখানার ৭ নম্বর গেটের কাছে তখন বাগান পরিচর্যা করছিলেন ঠিকাকর্মী ওমপ্রকাশ চৌহান। জোরালো বিস্ফোরণের জেরে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বিস্ফোরণের অভিঘাতে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। ওমপ্রকাশের কাছেই ছিলেন বাম রুইদাস। উড়ে যায় তাঁর দু'টি পা।
ডিপিএলের দাবি, বিদ্যুতের কেবল ফেটে এই বিস্ফোরণ ঘটেনি। আর এখানেই দানা বেঁধেছে প্রশ্ন! যদি বিদ্যুতের কেবল থেকে বিস্ফোরণ না হয়ে থাকে, তা হলে কীসের জেরে ঘটল ভয়াবহ বিস্ফোরণ? কোকওভেন থানার পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশের অনুমান, কোনও রাসায়নিক পদার্থ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরক দ্রব্য থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। ইতিমধ্যে কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্ষতিগ্রস্ত ৩১ নং লকগেট, ফের জলশূন্য হওয়ার আশঙ্কা দুর্গাপুর ব্যারাজে
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুকেশ জৈন জানান, ডিপিএলের রাসায়নিক থেকেই এই বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে মনে হচ্ছে। এর বাইরে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল না বলেই তাঁর অনুমান। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ডেটলাইন দুর্গাপুর: পিছু হঠল ডিভিসি
ডিপিএল তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার গোপীনাথ মাজির বক্তব্য, 'বিদ্যুত্ সংক্রান্ত কোনও বিস্ফোরণ হলে ঝলসে যেত দেহ। টুকরো টুকরো হয়ে যেত না।' কোনও বিস্ফোরক থেকেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস।
শিল্পাঞ্চলে এই বিস্ফোরণের খবরে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন। স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বলেন, 'যা থেকেই ঘটে থাক, নিরাপত্তায় যে গাফিলতি ছিল, সেটা পরিষ্কার। আমরা উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছি।'
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ব্যারেজের একটি লকগেট সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, জলের ঘাটতির কারণে ডিপিএলে বিদ্যুত্ উত্পাদন আপতত বন্ধ রয়েছে।
বিস্ফোরণের খবরে পুলিশ এসে ডিপিএলের বাগান থেকে ওই ঠিকাকর্মীর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে, ময়নাতদন্ত করাতে দুর্গাপুর মহাকুমা হাসপাতালে পাঠায়। দুর্গাপুর প্রোজেক্ট লিমিটেডের পাওয়ার প্লান্ট বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার গোপীনাথ মাজি এ প্রসঙ্গে বলেন, 'পুলিশকে আগে তদন্ত শেষ করতে দিন। কারণ অনুসন্ধানে আমরাও বিভাগীয় তদন্ত চালাচ্ছি।'
মঙ্গলবার দুপুর ১১টা বেজে দশ মিনিটে ঘটনার সূত্রপাত। ডিপিএলের কারখানা কম্পাউন্ডে প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তাপবিদ্যুত্ কারখানার ৭ নম্বর গেটের কাছে তখন বাগান পরিচর্যা করছিলেন ঠিকাকর্মী ওমপ্রকাশ চৌহান। জোরালো বিস্ফোরণের জেরে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বিস্ফোরণের অভিঘাতে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। ওমপ্রকাশের কাছেই ছিলেন বাম রুইদাস। উড়ে যায় তাঁর দু'টি পা।
ডিপিএলের দাবি, বিদ্যুতের কেবল ফেটে এই বিস্ফোরণ ঘটেনি। আর এখানেই দানা বেঁধেছে প্রশ্ন! যদি বিদ্যুতের কেবল থেকে বিস্ফোরণ না হয়ে থাকে, তা হলে কীসের জেরে ঘটল ভয়াবহ বিস্ফোরণ? কোকওভেন থানার পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশের অনুমান, কোনও রাসায়নিক পদার্থ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরক দ্রব্য থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। ইতিমধ্যে কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্ষতিগ্রস্ত ৩১ নং লকগেট, ফের জলশূন্য হওয়ার আশঙ্কা দুর্গাপুর ব্যারাজে
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুকেশ জৈন জানান, ডিপিএলের রাসায়নিক থেকেই এই বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে মনে হচ্ছে। এর বাইরে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল না বলেই তাঁর অনুমান। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ডেটলাইন দুর্গাপুর: পিছু হঠল ডিভিসি
ডিপিএল তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার গোপীনাথ মাজির বক্তব্য, 'বিদ্যুত্ সংক্রান্ত কোনও বিস্ফোরণ হলে ঝলসে যেত দেহ। টুকরো টুকরো হয়ে যেত না।' কোনও বিস্ফোরক থেকেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস।
শিল্পাঞ্চলে এই বিস্ফোরণের খবরে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন। স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বলেন, 'যা থেকেই ঘটে থাক, নিরাপত্তায় যে গাফিলতি ছিল, সেটা পরিষ্কার। আমরা উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছি।'
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।