অ্যাপশহর

ব্যারাজ মেরামতের কাজ শেষের দিকে, সন্ধের পর থেকে স্বাভাবিক হবে দুর্গাপুর

ব্যারাজ মেরামতের কাজ শেষ না হওয়ায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলের জন্য হাহাকার শুরু হয়ে যায়। বিশেষ করে বিধাননগর, ডিপিএল টাউনশিপ-সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জল পাচ্ছেন না। ডিএসপি কর্তৃপক্ষ স্টিল টাউনশিপে বিক্ষিপ্ত ভাবে জল সরবরাহ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছেন। জলের অভাবে ডিপিএল হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সোমবার সকাল থেকে নতুন করে হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

EiSamay.Com 5 Nov 2020, 3:48 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যারাজের লকগেট ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে জল। কলোনির বাসিন্দাদের জন্য তিন বেলার জায়গায় এখন জল সরবরাহ করা হচ্ছে দু'বেলা। চরম জলসঙ্কটে পড়ে বিপত্তির মুখে পড়তে হয়েছিল এলাকাবাসীদের। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে এদিন নবান্ন থেকে ঘোষণা করে হয়েছে।
EiSamay.Com durgapur barrage
লকগেট ভেঙে হু হু করে জল বেরিয়ে যাচ্ছে ব্যারাজ থেকে।


তিন বছরের স্মৃতি ফিরে এসেছিল গত সপ্তাহে। আচমকা দুর্গাপুর ব্যারাজের ৩১ নং লকগেট ভেঙে হু হু করে জল বেরতে থাকে। জলের স্রোতে গেটটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে কয়েক ফুট উঁচুতে উঠে বেঁকে যায়। ভেঙে যায় গেটের লোহার প্লেটের জোড়া দেওয়া রিপিট সমেত অ্যাঙ্গেল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, মৎসজীবীদের সুবিধার জন্য রাতের অন্ধকারে গেট তুলে ছাড়া হয়েছিল জল। পরে সেই গেট ঠিকমতো বসানো সম্ভব হয়নি বলেই বিপত্তি। যদিও সেচ ও ডিভিসির ইঞ্জিনিয়াররা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, জলের স্রোতেই ভেঙে গিয়েছে গেট। এদিন দুপুর দেড়টার পর থেকে ব্যারাজ জলশূন্য হতে থাকে। আশঙ্কা সত্যি করে প্রভাব পড়েছে মেজিয়া ও ডিপিএল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। ডিপিএলের উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ। উৎপাদন প্রবল ব্যাহত হচ্ছে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র মেজিয়ায়। সেখানে গত দু'দিনে উৎপাদন নেমে এসেছে ৫০ শতাংশে। আগামী দু'একদিনের মধ্যে দামোদর থেকে প্রয়োজনীয় জল না পৌঁছলে আরও বড় বিপর্যয় নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল।

ক্ষতিগ্রস্ত ৩১ নং লকগেট, ফের জলশূন্য হওয়ার আশঙ্কা দুর্গাপুর ব্যারাজে

অন্যদিকে, বিপর্যয়ের তিনদিন পরও ব্যারজ মেরামত না হওয়ায় জলসঙ্কট শুরু হয়ে যায় ইস্পাতনগরীতে। ৩১ নম্বর লকগেট ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জলের স্রোতে রাশ টানতে না পারায় তিন দিন পরেও মেরামতের কাজ শুরু করা যায়নি দুর্গাপুর ব্যারাজে। এই পরিস্থিতিতে শহরে দেখা দেয় তীব্র জলসঙ্কট। শহরবাসী লম্বা লাইন দিয়ে পুরসভার ট্যাঙ্কার থেকে জল সংগ্রহ করেছেন। লাইন এড়াতে অনেক শহরবাসী ২০ লিটারের জলের বোতল কেনেন। ডিপিএল টাউনশিপের হাসপাতালে সোমবার সকাল থেকে রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, হাত ধোওয়ার জলও নেই। দিনভর জলকষ্ট চলার পর ডিএসপি টাউনশিপে সন্ধ্যার দিকে জল এসেছে। বিধাননগরেও একই ছবি ধরা পড়ে।


এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-

পরের খবর